রংপুরের এক গাইনি চিকিৎসক ভালবাসার টানে নরসুন্দর প্রেমিকের হাত ধরে হয়েছেন দেশান্তর। তবে গাইনি চিকিৎসকের বাবার অভিযোগ তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে।
২১ মাস আগে কোতোয়ালি থানায় করেছিলেন অপহরন মামলা।
গতকাল মঙ্গলবার রংপুর নগরীর কেরানী পাড়া এলাকায় অবস্থিত সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রংপুর সিআইডির পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির পুলিশ সুপার জানান, গত বছরের মার্চ মাসে রংপুরে গাইনি চিকিৎসক ডা. আয়েশা ছিদ্দিকা মিতুকে অপহরণের অভিযোগে তার বাবা ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর রংপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, নগরীর আলমনগর কলোনির রফিকুল ইসলাম ওরফে বাপ্পি তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। সে পেশায় একজন নাপিত।
এ ঘটনায় দীর্ঘদিন পুলিশ চেষ্টা করেও অপহৃত চিকিৎসক মিতুকে উদ্ধার করতে না পারায় মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশের কাছে দেওয়া হয়। সিআইডি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইউনুছ এরপর দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে গাইনি ডা. মিতুকে সোমবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার চাঁনমিয়া হাউজিং এর একটি বাসা থেকে উদ্ধার করেন ও অপহরণকারী বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করেন।
সিআইডির পুলিশ সুপার জানান, গাইনি বিভাগের চিকিৎসক মিতু এর আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে বাপ্পীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার আগের স্বামীর ঘরে একটি ছেলে সন্তান এবং বাপ্পীর ঘরেও একটি সন্তান রয়েছে। তারা অনেক দিন আগেই বিয়ে করে সংসার করে আসছিলেন বলে সিআইডিকে জানিয়েছেন।
চিকিৎসক মিতুর সঙ্গে ৮-৯ বছর ধরে বাপ্পীর প্রেমের সম্পর্ক। এর আগেও একবার তারা পালিয়ে গিয়েছিলেন। অনেক বুঝিয়ে মিতুকে বাড়িতে আনা হলেও আবারও তারা পালিয়ে যান। অপহৃত বাপ্পী পেশায় ‘নাপিত’ হলেও তিনি মিতুর বাবার ব্যবসায় ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতেন। দুজনে ঢাকায় চলে যাওয়ার পর দীর্ঘ ২১ মাস ধরে গাইনি চিকিৎসক রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চেম্বার দিয়ে সেখানে রোগী দেখতেন। সেখানে যা রোজগার হতো তাই দিয়ে বাসা ভাড়াসহ তাদের সংসার খরচ চলতো বলে মিতু জানিয়েছেন।
সিআইডি পুলিশ জানায়, যেহেতু মিতুর বাবা অপহরণ মামলা করেছে, সে কারণে তাদের উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
জেবি
