পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলো মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও ভাঙনরোধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীরা।
স্থানীয় আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, শনিবার (২৮ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে তীব্র স্রোতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির ৭০ ভাগেরও বেশি অংশ নদীতে চলে গেছে। বাকী অংশটুকু নদীতে গেছে সকালে।
তিনি আরটিভি নিউজকে আরও বলেন, চরাঞ্চলের আজিমনগর, লেছড়াগঞ্জ ও সুতালড়ী-এই তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জন্য জন্য ২০১৪ সালে ৮১ লাখ টাকা খরচে তৈরি করা হয় আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি।
মো. বিল্লাল হোসেন আরটিভি নিউজকে আরও বলেন, গত বছর এটি নদী থেকে ১৫০ গজ দূরে থাকা অবস্থায় লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে এবারও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি।
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ, পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে একই উপজেলার সুতালড়ী রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া চলতি বছর, শতাধিক বাড়ি-ঘর, বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ইতিমধ্যেই নদীতে চলে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান।
নদী ভাঙন প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মাঈন উদ্দিন আরটিভি নিউজকে বলেন, বর্তমানে নদীতে প্রচন্ড স্রোত থাকার কারণে ভাঙনরোধে কিছুই করা সম্ভব নয়। বিগত সময়ে কিছু কিছু এলাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা সফল হইনি। চলতি মাসেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে চলে গেছে। আমরা সর্বাত্নক চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিদ্যালয়টিকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। একারণে আমরা এখন আর নদীতীরবর্তী চরাঞ্চলে কাজ করছি না। কেননা ৬০ লাখ টাকা খরচ করেও ৫০ লাখ টাকার স্থাপনা রক্ষা করা যাচ্ছে না।
এমআই