বগুড়ায় যুবলীগ নেতা লাখিন আটক
বগুড়ায় যুবলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার খায়রুল আলম লাখিনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভোরে শহরের লতিফপুর কলোনির বেলজিয়াম মাঠ এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন।
খায়রুল আলম লাখিন বগুড়া জেলা যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় নেতা।
এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং লায়ন ক্লাবের সঙ্গে জড়িত।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে লাখিনকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া লাখিনের নামে মামলা আছে কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে।
আরটিভি/এমকে/এস
মন্তব্য করুন
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই তরুণীর অনশন
ঝিনাইদহের হলিধানী ইউনিয়নে শাহীন নামে এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণী অনশন করেছেন।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাত ৭টায় সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুলের ছেলে শাহীনের বাড়িতে ওই দুই তরুণী অনশন করেন।
জানা যায়, শনিবার বিকেল থেকে রুনা নামে এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান নেন। রুনার দাবি শাহীন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে তার সঙ্গে প্রেম করে আসছেন। তাদের দুই পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় পরে তার পরিবার এই বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর রুনাকে পরিবার থেকে তার অমতে বিয়ে দিতে গেলে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে ওঠেন।
অন্যদিকে গত দুই মাস হলো সাদিয়া নামে আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন শাহীন। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর সাদিয়াও বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসেন। এমন ঘটনায় শাহীন ও তার পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি শাহীন দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত। এর আগেও এক সনাতন ধর্মাবলম্বী মেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণসহ একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন তিনি। তারা এর একটা সমাধান চান।
বিয়ের দাবিতে অনশন করা রুনা বলেন, শাহিনের সঙ্গে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের বিয়েতে দুই পরিবারই রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় আমার পরিবার আর মেনে নেয়নি। শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। আমি শাহিনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবো না। এ কারণে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাই আমি শাহিনের বাড়িতে এসেছি। আমি ওকেই বিয়ে করবো। শহিন যদি ওই মেয়েকে বিয়ে করে, তাও আমার কোনো সমস্যা নেই।
সাদিয়া খাতুন বলেন, শাহিনের সঙ্গে দুই মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এর আগে শাহিন আমাকে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে। আমি বাড়ি থেকে তার বাড়িতে আসি। তখন শাহিনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করায় সেদিন বিয়ে হয়নি। আজ আবার শাহিনের বাড়িতে আরেক মেয়ে বিয়ের দাবিতে এসেছে। আমি তো ওকে ভালোবাসি। শাহিন আমাকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে। আমাকে রেখে এখন আবার অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। তাই আমি আমার অধিকার আদায়ের জন্য শাহিনের বাড়িতে এসেছি।
এ বিষয়ে শাহিন জানান, তাকে বিয়ে করতে যে দুই মেয়ে আসছে, তাদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, এখন নেই। তবে তারা যেহেতু তাকে বিয়ে করতে বাড়িতে চলে আসছে, তাদের দুই জনকে বিয়ে করতে কোন আপত্তি নেই। সে দুইজনকেই বিবাহ করতে রাজি।
হলিধানী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার গণমাধ্যমকে বলেন, গাগান্না গ্রামের শাহিনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একই সঙ্গে দুই মেয়ে এসেছে এটা খুবই দুঃখজনক।
আরটিভি/এএএ
অনশনে বসা দুই তরুণীর একজনকে বিয়ে করলেন যুবক
ঝিনাইদহের হলিধানী ইউনিয়নে শাহীন নামে এক যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণী অনশন করেছেন। এর মধ্যে অনশনে বসা রুনা নামের একজনকে দুই লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করলেন শাহীন।
রোববার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান মিনুর বাড়িতে রুনা ও শাহীনের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
শাহীন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে। আর রুনা হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গতকাল রাতে পাশের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের এক তরুণী বিয়ের দাবিতে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে জেলা সদরের বাসিন্দা আরেক তরুণী বিয়ের দাবিতে তাঁর বাড়িতে আসেন। এক যুবকের বাড়িতে দুই তরুণীর অবস্থানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী আরও জানায়, প্রায় দুই বছর ধরে এক তরুণীর সঙ্গে শাহীনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তাঁদের দুই পরিবার বিয়েতে রাজিও ছিল। কিন্তু একপর্যায়ে মেয়ের পরিবার বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর পরিবার থেকে অন্যত্র বিয়ে দিতে গেলে ওই তরুণী পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। অন্যদিকে দুই মাস হলো আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শাহীনের। খবর পেয়ে তিনিও শাহীনের বাড়িতে যান বিয়ের দাবিতে।
শাহীনের চাচা শামছুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেলে এই মেয়ে আসে বিয়ের দাবিতে। পরে আরেক মেয়ে এলে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এখন সব সমস্যার সমাধান করে প্রথমে যে মেয়েটি এসেছিল, রুনার সঙ্গে শাহীনের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শাহীন বলেন, প্রথমে রুনাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। পরে সাদিয়া চলে আসায় সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়। পরে যখন সাদিয়া স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে যায় তখন রুনাকে বিয়ে করতে আর কোনো বাধা থাকে না। তারপরও সামাজিক অনেক ঝামেলা পেরিয়ে রাত ১১টায় রুনাকে বিয়ে করি।
রুনা বলেন, আমি প্রথম থেকেই শাহীনকে ভালোবাসি। তাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। পরে ওই মেয়ে এলে সমস্যা দেখা দেয়। ওই মেয়ে চলে যাওয়ায় আমাদের দুজনের বিয়েতে আর কোনো বাধা থাকে না। আমি শাহীনকে বিয়ে করতে পেরে আমার ভালোবাসা শতভাগ খাটি বলে মনে করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সন্তোষ কুমার বলেন, রাতেই একজনকে শাহীন বিয়ে করেছে। পরে এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় আরেক তরুণী বাড়ি ফিরে গেছে।
আরটিভি/একে
আপত্তিকর অবস্থায় পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রী, অতঃপর...
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রী তাসলিমার (২৮) সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুল বিশ্বাসকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী আজিজুল হক (৩০)। এ সময় নিজের স্ত্রীকেও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন তিনি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে পৌরসভার বকুলতলা (চন্নাপাড়া) এলাকায় আজিজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
নিহত আশরাফুল বিশ্বাস ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার আসগ্রাম গ্রামের ওয়াহাবের ছেলে। তিনি স্থানীয় এস এস ফ্যাশন পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আজিজের আহত স্ত্রী তাসলিমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজিজ-তাসলিমা দম্পতির ৬ ও ৪ বছরের দুটি সন্তান রয়েছে।
অভিযুক্ত আজিজ ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি প্রায় এক যুগ আগে চন্নাপাড়া এলাকায় জায়গা কিনে বসতবাড়ি নির্মাণ করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রির ঠিকাদার। ঘটনার পর থেকে আজিজুল পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, আজিজের স্ত্রী তাসলিমা বাড়ীর পাশেই এস এস ফ্যাশন পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। ওই কারখানায় চাকরি করার সুবাদে মালিক পক্ষের আশরাফুল বিশ্বাসের সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং আশরাফুল বিভিন্ন অযুহাতে তাসলিমার বাসায় আসা যাওয়া করতো। তাদের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে স্বামীর সন্দেহ হলে স্বামী আজিজ তাসলিমাকে একাধিকবার নিষেধ করে। পরে ওই কর্মকর্তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক নাই বলে স্বামীর কাছে অস্বীকার করে। সোমবার সকাল ৯ টার দিকে আজিজ কাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ বাসায় ফিরে ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ফেলেন। পরে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুল বিশ্বাসকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন তিনি। এ সময় খাটের নিচ থেকে ধারালো দা নিয়ে প্রেমিক আশরাফুল বিশ্বাসকে এলোপাতাড়ি কুপালে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্ত্রীর ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেন তিনি। চিকিৎকার শুনে স্থানীয়রা তার স্ত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, ‘পরকীয়ার সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে স্বামী পরকীয়া প্রেমিক ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছেন। এত ঘটনাস্থলেই প্রেমিক আশরাফুল মারা যান। আহত তাসলিমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আরটিভি/এমকে
আরটিভি/এমকে-টি
নারী ফুটবলারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় মৌ রানী দাস (১৭) নামে এক নারী ফুটবলারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ভাঙ্গাডহর গ্রামের নিজ ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মৌয়ের মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট মৌ। সে স্থানীয় নারী ফুটবল দলের নিয়মিত খেলোয়াড়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বসতঘরে থাকা ধানের উগারের (কাড়ি) ভেতরে মৌ দাসের গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় স্বজনরা। পরে থানা-পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
আরটিভি/একে/এসএ
গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ না ডাকায় তুলকালাম, শেষমেশ যা হলো
গ্রামীণ ব্যাংকের মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা শাখার ব্যবস্থাপককে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় গ্রাহকের সঙ্গে সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদের অসদাচরণের অভিযোগটি ‘সমাধান’ করার দাবি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঝিটকা বাজারের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমর সন্ন্যাসীর ছেলে সুব্রত সন্ন্যাসী বুধবার ওই শাখায় যান। এরপর ওই শাখার ব্যবস্থাপককে ‘ভাই’ সম্বোধন করা নিয়ে সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়।
তবে যাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত সেই শাখা ব্যবস্থাপক অদ্বৈত কুমার মৃধা বলছেন, গ্রাহকের সঙ্গে ঘটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়টি গ্রামীণ ব্যাংকের দুজন বিভাগীয় প্রধান, জোনাল প্রধান ও এরিয়া প্রধানকে নিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে বসে সমাধান হয়ে গেছে। এ ঘটনার জন্য সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ওই দিন গ্রাহক সুব্রতের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যাংকের ওই শাখায় আলাপচারিতার একপর্যায়ে সুব্রত সেকেন্ড ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদকে বলছেন, ‘সম্মান দিয়ে ভাই বলা কি অপরাধ? আপনাদের ভাই বলা যাবে না? স্যারই বলতে হবে?
উত্তরে আবুল কালাম বলছেন, ‘ভাই বলা যাবে না, স্যার বলবেন। আপনি ভদ্রতা দেখান। গ্রামীণ ব্যাংকের সবাইকে স্যার বলতে হবে।
সুব্রত কারণ জানতে চাইলে আবুল কালাম বলেন, ‘এটাই নিয়ম; এটা সবাই বলে।’ এরপর সুব্রত পাল্টা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আপনি এত তর্ক করেন কেন? আপনার কোনো সম্পর্কের ভাই উনি (ব্যবস্থাপক)?’ এ পর্যায়ে গ্রাহক সুব্রত সন্ন্যাসীর দিকে আঙুল তুলে ‘কথাবার্তা সাবধানে বলার হুমকি দেন’ আবুল কালাম।
সুব্রত আঙুল নামাতে বললে আবুল কালাম তার প্রতি মারমুখী হয়ে ব্যাংক থেকে বের করে দেন ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
নিখোঁজ মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে, গলায় ছিল রশি পেঁচানো
নিখোঁজের সাত দিন পর সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজ শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় বাড়ির পাশের পুকুরে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে মুনতাহার নিজ বাড়ির পুকুরে তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। মুনতাহা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
কানাইঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আওয়াল জানান, শিশুটির মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির গলায় রশি পেঁচানো ছিল। শরীরে ক্ষতচিহ্নও আছে।
মুনতাহার বাবা দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।
এর আগে, রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে মুনতাহাকে নিয়ে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন তার বাবা। পরে শিশুটি প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। বিকেল ৩টার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার থেকে মুনতাহাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।
আরটিভি/এফআই/এআর
মুনতাহাকে হত্যার পর পুঁতে রাখা হয় কাদামাটিতে, আটক ৩
সিলেটের কানাইঘাটে নিখোঁজ হওয়া শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনকে (৬) হত্যার পর পুঁতে রাখা হয় কাদামাটিতে। পুঁতে রাখা মরদেহটি খাল থেকে সরিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলার চেষ্টার সময় মা-মেয়েসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে মরদেহটি সরানোর চেষ্টাকালে জনতার সহায়তায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, মর্জিয়া আক্তার, তার মা আলীফজান ও আলীফজানের মা কুতুবজান। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা মর্জিয়ার বসতঘর গুড়িয়ে দেন।
নিহত মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, ঘটনার দিন রোববার (৩ নভেম্বর) আমার বাড়িতে খেলা করছিল মুনতাহা। ওইদিন শিশুটিকে ধরে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঘরের পাশে খালে পুঁতে রাখা হবে তা কল্পনা করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্বাস ছিল শিশুটিকে জীবিত পাবো। কিন্তু ঘরের পাশে তার মরদেহ মিলবে, তাকে হত্যা করা হবে কল্পনা করিনি। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিবেশী মর্জিয়া আক্তার ও তার মা আলীফজান মিলে তাকে হত্যা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মুনতাহাকে অপহরণের পর ওইদিনই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ঘরের পাশের একটি খালে কাদামাটিতে পুঁতে রাখা হয়।এরপর আলীফজান বেগম রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে মরদেহ সরানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা দেখে ফেলেন। এ সময় স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মর্জিয়া, তার মা ও নানিকে আটক করা হয়। এর মধ্যে আলীফজান ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
ওসি বলেন, শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে মর্জিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি। এরপর রোববার ভোরে মরদেহ উদ্ধারের পর তাকে আটক দেখানো হয়।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ খাল থেকে সরিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
আরটিভি/এফআই/এআর