রাজবাড়ী জেলার কালুখালীতে কিশোর নিরব (১৭) হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও প্রধান আসামি মো. কাইয়ুম শেখকে (৪৪) গ্ৰেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালুখালী থানার ওসি (তদন্ত) মো. জামাল হোসেন।
গ্ৰেপ্তারকৃত মো. কাইয়ুম শেখ কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্ৰামের মো. জমসেদ আলী শেখের ছেলে।
জানা যায়, গত ১২ মে সন্ধ্যায় কালুখালী থানার তদন্ত ওসি মো. জামাল হোসেন ও তার সঙ্গীয় ফোর্স তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার ঝিটকা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে কালুখালী থানার ওসি (তদন্ত) জামাল হোসেন বলেন, গত ২০ মার্চ কিশোর নীরব শেখ তার নিজ বাড়ি কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়িয়া গ্রামের মাধবপুর বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে গত ২১ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মোবাইল নম্বর থেকে নীরবের বাবার মোবাইলে ফোন করে নীরব শেখ তাদের কাছে জিম্মি আছে বলে জানায় এবং তাকে ছাড়িয়ে নিতে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
ওসি বলেন, পরবর্তীতে মুক্তিপণ দাবিকারীর মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এর দুদিন পর গত ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের বাগঝাপা সালেহপুর পদ্মা নদীতে কোমরে লোহার শিকল এবং প্লাস্টিকের বস্তা বাঁধা অবস্থায় নীরব শেখের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই নীরবের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় একটি অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওসি জামাল আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য থানা পুলিশ ও ডিবির সমন্বয়ে একাধিক টিম মাঠে নামে। মামলা তদন্তের একপর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামি মিজানকে (২২) কালুখালী উপজেলার বাগলপুর গ্রামে তার বসতবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়াও গত ১৯ এপ্রিল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা মুক্তিপণ দাবিকারী আরও এক আসামি নজরুল শেখকে (৩৩) ঢাকার সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের জোরপুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গত ১২ মে রাতে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আসামি মো. কাইয়ুম শেখকে (৪৪) মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার ঝিটকা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরটিভি/এমকে