বগুড়ায় সারাদিন কাজ করে ধানকাটা শ্রমিকরা নির্দিষ্ট মজুরি পাননি। মজুরি না পেয়ে তারা থানায় হাজির হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার জেলার শেরপুর উপজেলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকরা শেরপুর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।
বুধবার (২১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকালে প্রতিদিনের মতো শেরপুর শহরের রণবীবালা ঘাটপাড়-সংলগ্ন শ্রমিক হাটে কাজের সন্ধানে যান, উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে আব্দুল হান্নান, মির্জাপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর নামাপাড়া গ্রামের মৃত মনসুর মন্ডলের ছেলে হাফিজুর রহমান, একই গ্রামের মৃত সাহেব আলী প্রামাণিকের ছেলে আশরাফ আলী, মোহাম্মদ বেলাল হোসেনের ছেলে রিপন ও আবির হোসেন আকন্দের ছেলে হুমায়ুন কবির। শ্রমিক হাট থেকে উপজেলার মির্জাপুরের সরকার পাড়া গ্রামের রাজেক আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস তাদের পাঁচজনকে প্রতিজন ৭০০ টাকা মজুরি দেওয়ার শর্তে দেড় বিঘা জমির ধান কাটার কাজে নিয়ে যান। দিনভর ধান কেটে মালিকের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার পর কাজের মান খারাপ হয়েছে অভিযোগ তুলে আবদুল কুদ্দুস শ্রমিকদের গালাগালি করেন এবং মজুরি না দিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেন।
ভুক্তভোগী শ্রমিক আব্দুল হান্নান জানান, কাজ করে টাকা না পেয়ে তারা দিশাহারা হয়ে পরেছেন। পরে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। কাজ করিয়ে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক না দেওয়াটা অন্যায়। এমন ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে ভবিষ্যতে কেউ গরিব মানুষের শ্রমের মূল্য মেরে খেতে সাহস পাবে না।
শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের অভিযোগ আমরা হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এমকে-টি