বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মশিউর রহমান মিশু (২৫) নামে এক শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে সারিয়াকান্দি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পরে সারিয়াকান্দি থানার পুলিশের অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শিক্ষক মিশু সারিয়াকান্দি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মন্টু বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক এবং ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল শিক্ষার্থী অভিযুক্ত মিশুর ভাড়া বাসায় সকাল ৭টা থেকে শুরু করে ৯টা পর্যন্ত গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাইভেট পড়তো। গত ৩ মাস প্রাইভেট পড়ার পর শিক্ষক মিশু ওই ছাত্রীকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিত এবং বিকৃত অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করতো। প্রাইভেট শেষে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিলেও বেশি পড়ানোর কথা বলে ওই শিক্ষার্থীকে একা রাখা হতো এবং তাকে দেরিতে ছুটি দেওয়া হতো। এমতাবস্থায় গত ৫ জুন সকালে প্রাইভেটের অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে বেশি পড়ানোর কথা বলে ঘরেই রাখা হয়। পরে সকাল ৯ টার পর প্রাইভেট ঘরের দরজা জানালা বন্ধ কওে দেয় শিক্ষক মিশু।
এরপর হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে মিশু। ওই শিক্ষার্থীকে বিষয়টিকে গোপন করার পরামর্শ দেয় মিশু এবং অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি প্রদান করা হয়। পরে ওই শিক্ষার্থী বাসায় এসে গত কয়েকদিন ধরেই মনখারাপ অবস্থায় ছিল। পরে তার মনখারাপের কারণ জানতে চাইলে ওই শিক্ষার্থী গত মঙ্গলবার তার পরিবারের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে সারিয়াকান্দি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ শিক্ষক মিশুকে গ্রেপ্তার করেছে।
শিক্ষার্থীর বাবা জানান, আমিও একজন শিক্ষক। শিক্ষক কারিকুলাম প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মিশুর সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছে। এরপর মিশুর কাছে তার মেয়েকে পড়তে দেন।
তিনি বলেন, একজন শিক্ষকের কাছে ছাত্রী যদি নিরাপদ না থাকে, তাহলে তারা আর তারা কোথায় নিরাপত্তা পাবে। একজন শিক্ষক হিসেবে সরকারের কাছে আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষক মিশুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া জেলার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরটিভি/এএএ