• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
বিএনপি এককভাবে সরকার গঠন করতে চায় না: মির্জা ফখরুল
ভারতে পাচার হওয়া ২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত
পাচার হওয়া ২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বেনাপোল চেকপোস্টে তাদের হস্তান্তর করা হয়। ফেরতের বিষয়টি তত্ত্বাবধান করে রাইটস যশোর, জাস্টিস এন্ড কেয়ার ও মহিলা আইনজীবী সমিতি নামে তিনটি এনজিও সংস্থা। পুলিশ ও মানবাধিকার কর্মকর্তারা জানায়, সংসারে অভাব অনটনের সুযোগ নিয়ে ভালো কাজের কথা বলে দালাল চক্র দুই থেকে সাত বছর আগে তাদের সীমান্ত পথে ভারতে নেয়। পরে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ফেলে চলে আসে। এ সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে ভারতীয় মানবাধিকার কর্মীরা তাদের ছাড়িয়ে বিভিন্ন শেল্টার হোমে রেখে দেয়। পরে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সহায়তায় ট্রাভেল পারমিটে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পায়। ফেরত আসা কিশোর ও কিশোরীরা সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। এদের কেউ ভালো চাকরি, কেউ বাসাবাড়িতে কাজের কথা বলে নিয়ে গেলেও প্রতারণা করে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জোরপূর্বক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পাচারকারীদের আস্তানা থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরতে পেরে খুশি উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিরা। বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের পোর্টথানা থেকে গ্রহণ করেছে তিনটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। তারা এই ২৪ জনকে আইনি সহায়তা ও কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করে দেবে। আরটিভি/এএইচ/এস
যশোরে চলছে খেজুরের রস আহরণের প্রস্তুতি
ভারতে পালানোর সময় আ.লীগ নেতা কিরণ আটক
শেষ ইচ্ছা পূরণ হয়নি মেধাবী শিক্ষাথী আব্দুল্লাহর
সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না, চলমান প্রক্রিয়া: হাসান আরিফ
২ বছর পর বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু
দুই বছর পর ফের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকৃত চালের প্রথম চালানে এসেছে ১০৬ টন।  সোমবার (১৮ নভেম্বর) বন্দর থেকে চালানটি খালাস করা হয়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির। এর আগে, রোববার রাতে ভারত থেকে চালবোঝাই তিনটি ট্রাক বন্দরে ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। যশোরের মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই চালের আমদানিকারক। আমদানি করা নন বাসমতি চালের এলসি মূল্য ৪৫ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার; যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ ১৮ হাজার। অর্থাৎ আমদানি করা প্রতিকেজি চালের দাম পড়েছে প্রায় ৫২ টাকা।  বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির বলেন, রাতে বেনাপোল বন্দরে আসা চাল শুল্কায়নের পর দ্রুত ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আমদানিকারক মাহবুবুল আলম বলেন, আমদানি করা এ চাল নেওয়া হবে ঢাকার বাজারে। সীমান্তের ওপারে তার আরও ১০০ টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশর অপেক্ষায় রয়েছে। পণ্য চ্যানেলটির সিএন্ডএফ এজেন্ট হোসেন অ্যান্ড সন্স। আরটিভি/এমকে-টি
বাসে মিলল হেলপারের রক্তাক্ত মরদেহ, পাশে ছিল রক্তমাখা চাকু
যশোরে যাত্রীবাহী বাসের ভেতরে পড়েছিল বাপ্পি হোসেন (২৬) নামে এক বাস হেলপারের রক্তাক্ত মরদেহ।  শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে বাসের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  নিহত বাপ্পি হোসেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। সরদার ট্রাভেলস নামে ওই বাসটির চালক এনামুল মৃধা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বাসটি নিয়ে যশোরে মনিরুদ্দিন পেট্রোল পাম্পের পাশে রাখেন। এরপর তিনি ও সুপারভাইজার উজ্জ্বল বাসায় চলে যান। বাসের হেলপার বাপ্পিকে গাড়িতে রেখে যান। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এসে বাসের ভেতর বাপ্পিকে মৃত অবস্থায় পান। পাশে একটি রক্তমাখা চাকু পড়েছিল। কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) বাবুল আক্তার গণমাধ্যমকে জানান, বাপ্পির শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে, কারা বাপ্পিকে হত্যা করেছে তা উদ্ঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। আরটিভি/এএএ/এসএ
সিনেপ্লেক্সে রূপান্তরিত হলো বিখ্যাত মণিহার সিনেমা হল
দেশের বিখ্যাত সিনেমা হল হিসেবে সিনেমা প্রেমীদের কাছে একনামে পরিচিত যশোরের মণিহার। হাজারের অধিক আসনের ঐতিহ্যবাহী এ হলটিতে এবার আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে। মণিহার সংস্কার করে রূপান্তরিত করা হয়েছে সিনেপ্লেক্সে। যার নাম রাখা হয়েছে ‘মণিহার সিনেপ্লেক্স’। মণিহার কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৬৬ আসনের সিনেপ্লেক্সটি। শুক্রবার ( ১৫নভেম্বর)  থেকে সিলভার স্ক্রিনে ডলবি সাউন্ড সিস্টেমে এ সিনেপ্লেক্সে সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা।   মণিহার সিনেমা হলের ম্যানেজার ফারুক হোসেন আরটিভিকে বলেন, মণিহার কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৬৬ আসনের সিনেপ্লেক্স। যার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামীকাল ১৫ নভেম্বর থেকে সিলভার স্ক্রিনে ডলবি স্যারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেমে এ সিনেপ্লেক্সে সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা। দর্শকদের সুবিধার্থে চালু করা হয়েছে অনলাইন টিকিট ব্যবস্থাপনা।  এদিকে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মিঠু জানান, মণিহার সিনেমা হলটি আর থাকবে না। আগামী দুই বছরের মধ্যে সিনেমা হলটি সংস্কারের মাধ্যমে আরও দুটি সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। যাতে এ অঞ্চলের দর্শকরা আধুনিক প্রযুক্তির সকল সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। আশা করছি ব্যবসা সফল হবে।  যশোরকে বলা হয় দেশের প্রথম ডিজিটাল শহর। সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু এই যশোরে ১৯৮৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ৪ বিঘা জমির ওপর দৃষ্টিনন্দন সিনেমা হলটি চালু করা হয়। দর্শকের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার যশোরের আরওে চারটি সিনেমা হল বন্ধ হলেও টিকে আছে মণিহার। আরটিভি/এএ/এসএ
বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল উদ্বোধন
যশোরের বেনাপোলে ভেহিক্যাল টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এ স্থল বন্দরে তিনি এ টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। উদ্বোধনকালে উপদেষ্টা বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে স্থলপথের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ বন্দরের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০টি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক এবং ৪৫০ থেকে ৫০০টি বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে আগমন করে। কিন্তু বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের পর ব্যবহারযোগ্য কোনো টার্মিনাল না থাকায় অধিকাংশ পণ্যবাহী ট্রাক সড়কের ওপর অবস্থান করতো। ফলে সেখানে সার্বক্ষণিক যানজটের কারণে স্বাভাবিক আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হতো। নবনির্মিত কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটি নির্মাণের ফলে পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের পর এ টার্মিনালে নিরাপদে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে বেনাপোল স্থলবন্দরের দক্ষতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে এবং আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত যানের টার্নরাউন্ড টাইম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে। একইসঙ্গে বন্দরের যানজট নিরসন হবে এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। উপদেষ্টা কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে দুপুরে স্থলবন্দরের কর্মকর্তাকর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়। মতবিনিময় সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা স্থলবন্দরের ইক্যুইপমেন্ট সরবরাহ, আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধিকরণ, বন্দরের অভ্যন্তরে যানজট নিরসন, নতুন ওয়্যারহাউজ/শেড নির্মাণ, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইক্যুইপমেন্ট হ্যান্ডলিংয়ের ব্যবস্থাকরণ, বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি দুর্নীতি নির্মূলকরণ ও বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় অংশের চেয়ে উন্নত সেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বেনাপোল স্থলবন্দরে নবনির্মিত কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটি ৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করে নির্মাণ করা হয়েছে। টার্মিনালটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫০০টি ট্রাক ধারণের সক্ষমতা রয়েছে। এখানে পার্কিং ইয়ার্ড, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, সব সংস্থার কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য কার্গো ভবন, টার্মিনাল ব্যবহারকারীদের বন্দর সেবা ভবন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আধুনিক ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা ও সিসিটিভি স্থাপন, আধুনিক মানের ওয়াশ ব্লক, ১০০ মেট্রিক টন ক্ষমতার ওয়েব্রিজ স্কেল ও ড্রেনেজ সিস্টেমসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের লক্ষে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যানজট নিরসন এবং স্থলপথে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে ২০২২ সালে ৩২৯.২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ আরম্ভ করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান ও যশোর জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলামসহ অন্যান্য সরকারি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আরটিভি/এএএ   
বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের উদ্বোধন আজ
দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলে বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়াতে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১ একর জমিতে নির্মাণ হয়েছে অত্যাধুনিক কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন কার্গো-ভেহিকেল টার্মিনালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এর ফলে বন্দরের পণ্যজট ও যানজট যেমন মুক্ত হবে, তেমনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহুগুণ বাড়বে। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যেমন গতিশীল হবে, তেমনি রাজস্ব আহরণও দ্বিগুণ বাড়বে। টার্মিনালটি নির্মাণে কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এসএসআর গ্রুপ। এ টার্মিনালে একসঙ্গে দেড় হাজার পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিংসহ নানান সুবিধা পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, সরকার ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের পাশে বেনাপোল বন্দরে ৪১ একর জায়গায় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু করে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণ। এখানে একসঙ্গে পণ্যবাহী দেড় হাজার ট্রাক পার্কিং, ট্রাকচালকদের জন্য অত্যাধুনিক তিনটি টয়লেট কমপ্লেক্স ও থাকা, খাওয়ার সু-ব্যবস্থায় ব্লাক বিল্ডিং, ফায়ার সার্ভিস, কেমিকেল শেড থাকছে। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুর রহমান জানান, টার্মিনালটিতে সেবাটি শুরু হলে বন্দরে চলমান নানা সমস্যার ৯০ শতাংশ সমাধান হবে। বাণিজ্য সুবিধা বাড়াতে রাজস্বও আগামীতে দ্বিগুণ বাড়বে। এটি সরকারের এ যাবৎকালের বেনাপোল বন্দরে সবচেয়ে বড় প্রকল্প। ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, আগে দিনে ৬০০ থেকে ৭০০ ট্রাকে পণ্য আমদানির চাহিদা থাকলেও জায়গার অভাবে ৩০০ থেকে ৪০০ ট্রাকের বেশি পণ্য আমদানি সম্ভব হতো না। রাসায়নিক পণ্যগারের অভাবে প্রায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ছাড়াও ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছিলেন। এ ক্ষেত্রে দাবি ছিল জায়গা অধিগ্রহণ করে বন্দর আধুনিকায়নের। বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনা করে অবশেষে সরকার বেনাপোল বন্দরে কার্গো-ভেহিকেল টার্মিনাল তৈরি করেছে। টার্মিনালটিতে সেবা শুরু হলে বন্দরে চলমান সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান বলেন, প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়। বন্দর আধুনিকায়ন হয়েছে, এতে আমরা খুশি। এটির সেবা শুরু হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যেমন গতিশীল হবে, তেমনি রাজস্ব আহরণ দ্বিগুণ বাড়বে।  বন্দরের প্রকল্প প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, কাজের মান ঠিক রাখতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন অর্থ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত কলকাতা দূতাবাস কর্মকর্তারা টার্মিনাল পরিদর্শন করে সন্তোস প্রকাশ করেছেন। আরটিভি/এমএ-টি
যশোরে বাঁশবাগানে মিলল শিশুর মরদেহ, আটক ১
যশোরের ঝিকরগাছায় স্বর্ণের কানের দুলের জন্য সাদিয়া খাতুন (৭) নামে এক শিশুকে হত্যা করেছে মাদকাসক্ত এক নারী। চম্পা খাতুন নামে ওই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত সাদিয়া হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটিকোমরা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাবলুর রহমানের মেয়ে।   বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিকরগাছা থানার ওসি বাবলুর রহমান খান। মৃত সাদিয়া ওই গ্রামের বাবু হোসেনের মেয়ে। বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয় সাদিয়া। সারাদিন খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে রাত ১১টার দিকে স্থানীয়রা তার বাড়ির পাশে একটি বাঁশবাগানে মরদেহ দেখতে পান। এ সময় তারা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার অফিস ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, সাদিয়া নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল আমরা পরিদর্শন করেছি। তিনি আরও বলেন, স্বর্ণের কানের দুলের লোভে প্রতিবেশী ফুপু চম্পা বেগম এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে নিহতের পরিবারের ধারণা‌। সকালে ডিবি পুলিশ যশোর পৌরশহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বর থেকে চম্পাকে আটক করা হয়। চম্পা ওই গ্রামের আনিছুর রহমানের মেয়ে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরটিভি/এমকে/এসএ