• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
logo
মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে হত্যা
মাগুরায় মাদকাসক্ত ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত
নেশার টাকা না পেয়ে বৃদ্ধ বাবাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে এক ছেলে।  রোববার (১ ডিসেম্বর) মাগুরা সদর উপজেলার আঠারখাদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সুরমান শেখ (৭৫)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা। তার মরদেহ মাগুরা সদর হাসপাতালের অস্থায়ী মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাগুরা সদর উপজেলার আঠারখাদা গ্রামের চা বিক্রেতা সুরমান শেখের ছোট ছেলে মফিজুর শেখ (৩৫) দীর্ঘ দিন ধরে নেশাগ্রস্ত। নানা সময় বাবাকে নেশার টাকার জন্য নির্যাতন করে আসছিলেন। গত কয়েক দিন আগে বাবা-ছেলের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বাবাকে নিজের নামে জমি লিখে দিতে বলেন ছেলে মফিজুর। এতে বাবা অস্বীকৃতি জানালে মফিজুর আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি ধারালো ছুরি দিয়ে বাবার পেটে আঘাত করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর মাদকাসক্ত মফিজুরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি মফিজুর নেশাগ্রস্ত ছিল। বিভিন্ন সময় তার বাবার কাছে নেশার টাকার জন্য হুমকি দিত এবং মারধর করত। অভিযুক্ত ছেলেকে আমরা আটক করেছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় সদর থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। আরটিভি/এএএ   
মাগুরায় তাবলিগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ
মাগুরায় উপজেলা মহিলা আ.লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
মানুষের মাঝে কোনো বৈষম্য থাকবে না: জামায়াত আমির 
পরাজিত শক্তির সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে বিএনপি: নিতাই রায়
দাফনের ৫৭ দিন পর মরদেহ উত্তোলন 
মাগুরার মহম্মদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত এক শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ৫৭ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম আহাদ বিশ্বাসের (১৭)। সোমবার দুপুরে মহম্মদপুর সদরের পূর্বনারায়ণপুর কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করে মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর ফের দাফন করা হবে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহম্মদপুর থানার ওসি ঠাকুর দাশ মণ্ডল। যদিও সোমবার দুপুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত অপর শিক্ষার্থী সুমন শেখের (১৮) মরদেহ উত্তোলন করতে গেলে অসম্মতি জানায় পরিবার। স্থানীয়রা জানান, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে মহম্মদপুর থানা ভবনের অদূরে গুলিতে নিহত হন আহাদ ও সুমন। নিহতের মধ্যে আহাদের বাড়ি উপজেলা সদরের ব্যাপারীপাড়ায় ও সুমন শেখের বাড়ি উপজেলার বালিদিয়া এলাকায়। এ ঘটনায় আহাদের বাবা মো. ইউনুছ শেখ বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ ও নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। আর নিহত সুমন শেখের বাবা মো. কানু শেখ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এসব মামলায় অভিযুক্তদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দুই ছাত্র গুলিতে নিহত হন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের মরদেহ দাফন করা হয়েছিল। দুপুরের পর সুমন শেখের মরদেহ উপজেলার বালিদিয়া কবরস্থান থেকে উত্তোলন করতে গেলে তার বাবা মো. কানু শেখ অসম্মতি জানান। ফলে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে যান। সুমন শেখের বাবা মো. কানু শেখ বলেন, ‘আমি আমার ছেলের মরদেহ কবর থেকে তুলতে চাই না। আমার ছেলে গণঅভ্যুত্থানে গুলিতে নিহত হয়েছে। কবর থেকে মরদেহ তুললে অমর্যাদা হবে।’ মহম্মদপুর থানার ওসি ঠাকুর দাশ মণ্ডল বলেন, ‘হত্যা মামলার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। একটি উত্তোলন করা হয়েছে, অপরটি নিহতের বাবার বাধায় উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।’ আরটিভি/এমকে-টি
মাগুরায় যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযান, অস্ত্র-গুলিসহ আটক ১
মাগুরার মহম্মদপুরে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম রাশেদুজ্জামান (২৬)। এ সময় রাশেদ নামে ওই যুবকের কাছে থেকে ১টি রিভলভার, ৪ রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালিশংকরপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঠাকুর দাশ মণ্ডল। গ্রেপ্তার রাশেদুজ্জামান কালিশংকরপুর গ্রামের আকরাম মোল্লার ছেলে। জানা যায়, গোপন তথ্যে যৌথবাহিনী জানতে পারে যে রাশেদুজ্জামানের বাড়িতে অস্ত্র ও গুলি রয়েছে। পরে সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযান চালালে তার বাড়িতে থাকা ট্রাংক থেকে একটি দেশীয় রিভলভার ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ১৫০ সিসির একটি কালো পালসার মোটরসাইকেল, একটি চাকু এবং ২৮ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে মহাম্মদপুর থানার ওসি ঠাকুর দাশ মণ্ডল বলেন, রোববার সকালে যৌথবাহিনীর সঙ্গে অভিযান করার সময় জানতে পারি যে রাশেদুজ্জামানের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র-গুলি আছে। পরে অভিযান চালিয়ে তার ঘর থেকে একটি দেশীয় তৈরি রিভলভার, চার রাউন্ড গুলি, একটি চাকু, নগদ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। রাশেদুজ্জামানকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তার নামে থানায় অস্ত্র আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলার কার্যক্রম শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
মাগুরায় ওসির প্রত্যাহার চেয়ে ছাত্রদের আল্টিমেটাম
মাগুরায় সদর থানার ওসি মেহেদী রাসেলকে প্রত্যাহারের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাগুরা জেলা শাখার প্যাডে ২ দফা দাবি উল্লেখ করে তারা মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন। স্মারকলিপিতে তারা মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেলকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে উল্লেখ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আটক ছাত্রদের পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের নির্দেশদাতা হিসেবে তাকে প্রত্যাহার, ৪ ও ৫ আগস্ট মাগুরায় আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করাসহ আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক শফিকুল ইসলাম বলেন, ত্রাণকার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমরা অনেকেই মাগুরার বাইরে অবস্থান করছি। এ অবস্থায় ছাত্রদের মধ্য থেকে দুইদফা দাবি পেশ করা হয়েছে সেটিও আমাদের দাবি। মাগুরার নবাগত পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্যাডে দুই দফা উল্লেখ করে ছাত্ররা স্মারকলিপি দিয়েছেন। কেবলমাত্র যোগদান করেছি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শরীরে বুলেট নিয়ে ৩৯ দিন পর সোহানের মৃত্যু, হয়েছেন আসামি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শোহান শাহ (২৯)। দীর্ঘ ৩৯ দিন বুকে বুলেট নিয়ে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।  বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে শ্রীপুর সদরে আলতাফ হোসেন মহিলা কলেজ রোডে শোহানদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার বাড়িতে মাতম চলছে। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন শোহানের মা। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন বাবা। শোহানের স্ত্রীর বিলাপ কিছুতেই থামছে না। শোহানের স্ত্রী শম্পা বেগম বলেন, তাদের বিয়ে হয়েছিল ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর। এরপর মধ্যে তিন বছর দুজন একসঙ্গে ঢাকায় সংসার পেতেছিলেন। বাকি সময় স্ত্রীকে গ্রামে পরিবারের সঙ্গে রেখে ঢাকায় চাকরি করেছেন শোহান। আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার। অর্থসংকটের কারণে ও একা ঢাকায় থাকত। অর্থের কারণে দুজন একসঙ্গেও থাকতে পারিনি। গত এক বছর বাড়িতে একটা নতুন ঘর দিচ্ছিল। সে আমাকে বলেছিল, শম্পা, আমি আর তুমি এই ঘরে থাকব। মঙ্গলবার ঢাকায় সিএমএইচে শোহান শম্পাকে বলেছিলেন, তুমি কেঁদো না। আমার কিছুই হবে না। তবে শোহান আর ফেরেননি। অস্ত্রোপচার করে শরীর থেকে বুলেট বের করা গেলেও রক্ত বন্ধ করা যায়নি। ১৮ ব্যাগ রক্ত দিয়েও বাঁচানো যায়নি শোহানকে। সংসারে অভাব থাকলেও ভালোবাসার কমতি ছিল না। স্বামী ছাড়া কেউ ছিল না আমার। সে সবসময় সব ধরনের পরিস্থিতিতে আমার পাশে থেকেছে। সে বলত, চিন্তা করো না, আমি তোমার পাশে আছি। আল্লাহ আমাকে একটা সন্তানও দেননি। আমি এখন কীভাবে বাঁচব? শোহানের বাবা শাহ সেকেন্দার বলেন, আমার ছেলে ছোটবেলা থেকেই স্মার্ট, কর্মঠ আর দায়িত্বশীল। ছোটবেলা থেকেই ইনকাম করে। বিশেষ করে বিয়ের পর একদিনও বসে থাকেনি। চাকরি না থাকলে বাড়িতে এসে রাজমিস্ত্রির কাজও করেছে। আমার পকেটখরচও সে দিত। যেদিন মারা গেল সেদিন সকালেও বিকাশে আমাকে এক হাজার টাকা পাঠিয়ে বলল, এই টাকাটা তুলে চলে আসেন। ছেলে হারানোর শোকে বিলাপ করতে করতে শোহানের মা সুফিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলে আমার মনের কথা বুঝত। কোনো কথা লুকালে ও বুঝে ফেলত। টাকা পাঠিয়ে বলত, মা তুমি আঁচলে গুঁজে রেখো না, যা লাগে কিনে খাও আমি আছি তো। আমার ইনকাম না খেয়ে তোমাদের মরতে দেব না। সুফিয়া বেগম বলেন, এখন এই কথা আমাকে কে বলবে? সবাই আছে শুধু আমার ছেলে নেই। জানা গেছে, মাগুরার শ্রীপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে প্রায় ১০ বছর আগে সংসারের হাল ধরতে চাকরিতে যান শোহান। সবশেষ ঢাকার রামপুরা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। তার বাবা শাহ সেকেন্দার এক দশকের বেশি সময় আগে নিজের ব্যবসা গুটিয়ে বেকার হয়ে পড়েন। তার একমাত্র ছোট ভাই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। মা-বাবা, স্ত্রী ও স্কুলছাত্র ছোট ভাইয়ের সব খরচের জোগান আসত একজনের বেতন থেকেই। অর্থ সাশ্রয়ের জন্য স্ত্রীকে বাড়িতে মা-বাবার কাছে রেখে ঢাকায় মেসে থেকে চাকরি করছিলেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে নতুন ঘর নির্মাণ করা হচ্ছিল। যেখানে স্ত্রীর সঙ্গে সুখের সংসার পাততে চেয়েছিলেন শোহান। তবে তাদের সেই স্বপ্ন আর পূর্ণ হলো না। গত ১৯ জুলাই ঢাকার রামপুরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন শোহান। এর ৩৯ দিন পর ২৭ আগস্ট ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গত বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শোহানের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ওই দিন বিকেলে শ্রীপুর গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই শ্রীপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল খালেক। সেখানে আসামি হিসেবে ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে। মামলার এজাহারে ১৮ নম্বর আসামি হিসেবে নাম রয়েছে শাহ সেকেন্দারের (এজাহারে সেকেন্দার শাহ লেখা হয়েছে) ছেলে শোহানের। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই দিন (২৪ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে শ্রীপুরের আলতাফ হোসেন মহিলা কলেজ মাঠে জড়ো হয়ে ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির করছিলেন আসামিরা। এ বিষয়ে শাহ সেকেন্দার বলেন, আমার ধারণা, ওর গুলি লেগেছে, এটা জেনেই এলাকার লোকজন ও পুলিশ ষড়যন্ত্র করে মামলায় তাকে আসামি করেছে। আমার ছেলেকে গুলি করা থেকে শুরু করে চিকিৎসায় বাধা দেওয়া, মিথ্যা মামলা দেওয়া সব অপরাধের ন্যায়বিচার চাই আমি।
এতিমখানার পাশে পড়েছিল যুবকের গলাকাটা মরদেহ
মাগুরা শহরের আল আমিন এতিমখানা এলাকায় অজ্ঞাত এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে আল আমিন ট্রাস্ট এতিমখানা সংলগ্ন একটি পুকুরপাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার। তিনি বলেন, ‘সকালে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে আল আমিন ট্রাস্ট এতিমখানা সংলগ্ন পুকুরপাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।’   তিনি আরও বলেন, ‘নিহত যুবকের পরনে ছিল কালো প্যান্ট ও গেঞ্জি। মরদেহের গলায় ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
মহম্মদপুরে মান্নান ও শালিখায় শ্যামল কুমার দে বিজয়ী
মাগুরার দু’টি উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবদুল মান্নান ও শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট শ্যামল কুমার দে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।  মঙ্গলবার (২১ মে) জেলা রিটার্নিং অফিস থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা বা কাউকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য থেকে এ খবর জানা গেছে। প্রার্থীদের এজেন্ট ও স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, মহম্মদপুর উপজেলায় ৬৪টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৫৪টি কেন্দ্র ৮৫০টি বুথে ভোট গ্রহণ হয়। মহম্মদপুর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬২জন ও শালিখা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৫০শতাংশ।  নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কঠোর। ভোট চলাকালে কোন বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেনি।