আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট
সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, এখন পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার মানুষ। দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছনোয় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকট। পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগও।
লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলার নদীর পানি নামতে শুরু করায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। তবে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িগুলো থেকে পানি ধীরগতিতে নামায় দুর্ভোগে বানভাসি মানুষ।
এদিকে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষজন তাদের ভিটে-মাটিতে ফিরতে শুরু করেছে। তবে মানুষজনের মধ্যে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।
গাইবান্ধার সবকটি নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে পানি কমলেও বাড়িঘর পানিতে ডুবে থাকায় উঁচু বাঁধ ও আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষ নিজেদের বাড়ি ঘরে ফিরতে পারছেন না। দুর্গম চরে পানিবন্দি মানুষের মাঝে বিভিন্ন পেটের পীড়া, চর্মরোগসহ নানা পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
মৌলভীবাজারের হাকালুকি ও কাউয়াদিঘি হাওর পাড়ের কয়েক লক্ষ মানুষ এক মাস ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এখনো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে শতশত গ্রাম।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি ১১ সেন্টিমিটার কমলেও তলিয়ে আছে ৫ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়ন।
তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা কমলেও কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিলেটে কুশিয়ারার পানি বেড়ে বিপদসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপরে বইছে। প্লাবিত হয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ-গোপালগঞ্জ ও জকিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা। বেড়েছে সুরমার পানিও। বইছে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
এছাড়া রাজবাড়ীতে নদীর পানি পরিমাপের তিনটি গেজ স্টেশন পয়েন্টের মধ্যে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়ার ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, গেলো ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে তীরবর্তী দেবগ্রাম ইউনিয়নের চর বরাট, অন্তরমোড়, রাখালগাছি, বেতকা, কাউয়ালজানি এবং দৌলতদিয়া ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
এসএস