বিশ্বে বেকারের সংখ্যা ১৯ কোটি ২৭ লাখ
২০১৬ সালে বৈশ্বিক চাকরি বাজারে বেকারত্বের হার বাড়ার পর গেলো বছরে তা কমেছে। ২০১৭ সালে বৈশ্বিক বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে। এ হিসেবে বিশ্বে এখনো বেকারের সংখ্যা ১৯ কোটি ২৭ লাখ মানুষ।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকায় ২০১৭ সালে ২৬ লাখ কর্মসংস্থান বেশি হয়েছে। এ কারণে ২০১৬ সালের তুলনায় বেকারত্বের হার কমেছে।
চলতি বছরও কিছুটা আশার কথা শুনিয়েছে সংস্থাটি। আইএলও মনে করছে, ২০১৮ সালে বৈশ্বিক বেকারত্বের হার দশমিক ১ শতাংশ কমে আসবে। তবে চাকরি খোঁজার মানুষের সংখ্যা বাড়ায় বেকারের সংখ্যায় তেমন পরিবর্তন আসবে না।
‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আইএলও এ তথ্য তুলে ধরেছে। যেখানে বিশ্বজুড়ে বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের অবস্থা এবং পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, গেলো কয়েক বছর উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শ্রমবাজার উন্নত হয়েছে। তবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির এই হার টিকে থাকবে না। শ্রমবাজারে চাকরি পাওয়ার সংখ্যা কমবে।
আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, নিম্ন মানের চাকরির সংখ্যা বাড়ছে। এটা একটা আশঙ্কার বিষয়।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৪০ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান নাজুক পর্যায়ের (ভালনারেবল)। এর অর্থ হচ্ছে তারা কম বেতনে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন। এসব চাকরিতে নিরাপত্তার বিষয়টি অবহেলিত। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতি চারজনে তিনজন এ ধরনের চাকরিতে আছেন।
এ বিশেষজ্ঞ বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে আরো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রমিকের উন্নয়নেও কাজ করতে হবে।
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিকদের উদাহরণ দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ ধরনের শ্রম পরিস্থিতির কারণে দরিদ্র শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া এবং নেপালের শ্রমিকদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত, কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিকরা বেশি নিয়োজিত রয়েছে। অন্যদিকে যে দেশগুলো নিয়োগপত্র ছাড়াই শ্রমিকদের খাটাচ্ছে তাদের মধ্যে চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন