কেরানীগঞ্জ থেকে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির টানা দুই বারের সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা জায়েদ খান শিমুর ভাইকে নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে নিজ বাসভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
জায়েদ খান অভিযোগ করেন, মিথ্যা ছড়িয়ে শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি গোষ্ঠী তার কমিটির দুর্নাম করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
শিল্পী সমিতির নির্বাচন ও শিমু হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে জায়েদ খান বলেন, আমি নাম ধরেই বলতে চাই যে, রিয়াজ ভাই কাঞ্চন ভাই আপনারা সম্মানিত মানুষ। এই নোংরামিগুলো কি আপনারা দেখছেন না? এগুলো কেন বন্ধ করছেন না আপনারা? আমি কাঞ্চন ভাইকে আবারও বলবো, আপনি একুশে পদক পাওয়া সম্মানিত লোক, এই নোংরামি বন্ধ করেন। এই রিয়াজ ভাই আজকে অভিনয় করে মেকি কান্না কাঁদতেছে। অথচ এই শিমু-খোকনদের মত শিল্পীদের সহযোগী তালিকায় নেয়ার সময় তো কাঞ্চন ভাই, রিয়াজ ভাই, ফারুক ভাই, আলমগীর ভাই সবাই ছিলেন। এটা সবাই জানে। তখন তো তারা কেউ কোনও আপত্তি করেননি।
জায়েদ খান জানান, শিমুর সাথে গত দুইবছরে আমার দেখা বা কথা হয়নি। আর এখন যা দেখছেন তা হলো সামনে ৩-৪ জনকে রেখে পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন অন্য কেউ। আমি দুই টার্ম নির্বাচিত হয়েছি, আমার সাফল্য অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে না।
-
আরও পড়ুন... অভিনেত্রী শিমু হত্যা: বন্ধুসহ স্বামী নোবেল আটক
সংবাদ সম্মেলনে জায়েদ বলেন, শিমুর হত্যাকারীকে যদি র্যাব আজকে না ধরতো তাহলে আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন হতো এফডিসিতে। আমার কি হইতো খালি চিন্তা করেন একবার! আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই র্যাব ও পুলিশকে।
এদিকে গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরই মধ্যে দুইজনের আটক করার খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক আরটিভি নিউজকে বলেন, মরদেহের গলায় অস্বাভাবিক দাগ পাওয়া গিয়েছে। যেটি বস্তায় ভরে সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়েছিলো। প্রত্যক্ষদর্শীদের খবরে ওই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
-
আরও পড়ুন... অভিনেত্রী শিমুর পরিচয়
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এর আগে শিমু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এসএস/টিআই