তরুণ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। শিশুশিল্পী হিসেবে তার খ্যাতি ছিল আকাশচুম্বী। সেই ছোট্ট দীঘি এখন পুরোদস্তুর নায়িকা। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সিনেমা এবং ওয়েবসিরিজে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার অভিনীত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমা ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’। এবারই প্রথম অনুদানের সিনেমায় দেখা যাবে তাকে।
২০২০-২১ অর্থ বছরে অনুদানপ্রাপ্ত ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিতব্য এ সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ‘ঝিনুক মালা’ খ্যাত পরিচালক আব্দুস সামাদ খোকন। এতে দীঘির সঙ্গী হয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’র রাজচন্দ্র দাস চরিত্রে অভিনয় করা বাংলাদেশের যুবক গাজী আবদুন নূর।
কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন তার ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ উপন্যাসে আমেরিকায় বড় হয়ে ওঠা প্রভাবশালী বাঙালি ছেলে নাবিল আর গ্রামের অতি সরল নিরীহ এবং পরোপকারী যুবক শুভর মাঝখানে দাঁড় করিয়েছেন সুন্দরী মেয়ে মৌ-কে। যেখানে মৌ চরিত্রে রূপদান করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, শুভ রূপে হাজির হবেন গাজী আবদুন নূর এবং নাবিল হিসেবে দেখা মিলবে বাপ্পা সান্তনুর। প্রত্যেকেই নিজেদের চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। গল্পের প্রয়োজনে চরিত্রের পাশাপাশি স্থান ও সময় নির্ধারণেও কোন ছাড় দেননি নির্মাতা। হাড় কাঁপানো শীতের রাতেও ২-৩টা অবদি শুটিং করেছেন তারা।
‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ টিমের পারফরমেন্সে মুগ্ধ সিনেমাটির প্রযোজক তামান্না সুলতানা। তিনি ববাবরই সাহিত্যভিত্তিক গল্প বড় পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে আগ্রহী। সেই ধারাবাহিকতায় ইমদাদুল হক মিলনের ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ নিজেকে যুক্ত করেন এই নারী প্রযোজক। তার সেই প্রচেষ্টা সফলতার দিকেই এগোচ্ছে। সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা সিনেমাটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ সিনেমাটির সেন্সর বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন গুণী নির্মাতা কাজী হায়াত। চিত্রনায়িকা দীঘির প্রথম সিনেমার পরিচালকও তিনি। দীঘিকে তিনি তার প্রথম মিনির মতোই দেখতে চান। ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ দীঘির অভিনয় তাকে মুগ্ধ করেছে। শুধু তাই নয়, সিনেমাটি তার দেখা গত ছয় মাসের মধ্যে সেরা সিনেমার তকমাও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দীঘি।
এছাড়াও সেন্সর বোর্ডের আরেক সদস্য অরুণা বিশ্বাস ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ দেখে দীঘির প্রশংসা করেছেন, যা এই অভিনেত্রীকে বেশ স্বস্তি দিয়েছে। মৌ চরিত্রটি দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নিবে, এমনটাই প্রত্যাশা তার।
দীঘি জানান, ‘যেদিন সেন্সর বোর্ডের সবাই সিনেমাটি দেখতে যাচ্ছিলো, সেদিন সকালে আপু (তামান্না সুলতানা) আমাকে ম্যাসেজ দিয়ে বিষয়টি জানায়। তখন থেকেই নার্ভাস ফিল হচ্ছিল। আপু হল থেকে আমাকে ম্যাসেজ দিয়েই যাচ্ছিলো যে, কোন সিনটা দেখে কে কি মন্তব্য করছে। সেখানে অনেক গুণী মানুষরা ছিলেন। তারা যেভাবে প্রশংসা করেছে, আশা করি দর্শকদেরও ভালো লাগবে।’