• ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

লিয়াকত আলী লাকীর বিচার চেয়ে থিয়েটারকর্মীদের ৭ দাবি

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি

  ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১৪:১৬
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সদ্য পদত্যাগ করা মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন থিয়েটার কর্মীরা।

সোমবার (১২ আগস্ট) শিল্পকলা একাডেমির সামনে এক সমাবেশে বিক্ষুব্ধ থিয়েটার কর্মীরা এ দাবি জানান।

এ সময় ‘বিক্ষুব্ধ থিয়েটার কর্মীগণ’ এর পক্ষ থেকে বিবৃতি পাঠ করেন প্রাচ্যনাটের শাহানা সুমি। এতে সাতটি দাবির কথা বলা হয়।

দাবিগুলো হলো -

১. লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ওঠা সকল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম আর দলীয় লেজুড়বৃত্তির অভিযোগ তদন্ত করে তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

২. শিল্পকলা একাডেমির অন্য যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম আর দলীয় লেজুড়বৃত্তির অভিযোগ রয়েছে, তাদের সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩. লিয়াকত আলি লাকীকে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

৪. গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও পথনাটক পরিষদকে মৌলিক রূপান্তরের পথে যেতে হবে। সব লোভ, ক্ষমতা আর স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থিয়েটারকে গুরুত্ব দিতে হবে।

৫. গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বদলাতে হবে। যেন তা স্বৈরাচারীর বশংবদ হয়ে না পড়ে, সে জন্য গঠনতন্ত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে।

৬. জুলাই হত্যাকাণ্ডে আদেশ দেওয়া, নিপীড়নে অংশ নেওয়া, হত্যায় সমর্থন তৈরির পিআর করা মানুষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যারা কেবল সমর্থন দিয়েছেন হত্যাকাণ্ডকে, তাদের যে যে মাধ্যমে সমর্থন দিয়েছেন, সেই মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।

৭. ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সুসম্পর্কের ভিত্তিতে লেজুড়বৃত্তি নয়, সর্বজনের সর্বপ্রাণের শিল্পচর্চার দিকে যেতে হবে।

সমাবেশে বাকার বকুল, কাজী রোকসানা রুমা, কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন, নাহিদ স্মৃতি, ফয়েজ জহির, মোহাম্মদ আলী হায়দার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশ শেষে আন্দোলনে সকল শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
লিয়াকত আলী লাকীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অভিনয়শিল্পী সংঘ থেকে লাকীকে অব্যাহতি
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হলেন সৈয়দ জামিল আহমেদ
বন্যার্তদের পাশে শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা