টাইমস অব ইন্ডিয়া
বাংলাদেশি পর্যটকদের ফেরাতে তৎপর কলকাতার ব্যবসায়ীরা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির বার্তা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তারা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশি পর্যটকদের জানানো হবে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভারত সরকার, পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তারা আশা করছেন, বাংলাদেশি পর্যটকদের আস্থা পুনরুদ্ধার করে আবারও ব্যবসার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলি খান বলেন, ‘অনেক নিয়মিত দর্শনার্থী, যারা চিকিৎসার জন্য আসতে চেয়েছিলেন, তারা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে সফর পিছিয়ে দিয়েছেন। অনেক পর্যটক ফিরে গেছেন, কারণ তারা কোনো প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ছিলেন। আমরা তাদের আশ্বস্ত করছি কলকাতা এবং ভারতের যেকোনো অংশে তারা সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
হোটেল মালিক পিন্টু বসাক বলেন, ‘গত দুই দশকে এই এলাকায় বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য একটি সম্পূর্ণ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, কলকাতা আগের মতোই অতিথিপরায়ণ।’
মার্কুইস স্ট্রিটের একটি রেস্টুরেন্টের মালিক এনসি ভৌমিক বলেন, ‘কলকাতার মিনি বাংলাদেশ শুধু একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র নয়, এটি দুই দেশের দীর্ঘ সম্পর্কের প্রতীক। এই কঠিন সময়ে আমরা ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে বিভ্রান্তি দূর এবং কলকাতার আন্তরিকতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাবমূর্তি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভুল ধারণার কারণে বাংলাদেশি পর্যটকদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই বাংলাদেশের অনেকে ভারত ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন বা নির্ধারিত সময়ের আগেই ফিরে এসেছেন। ফলে বর্তমানে মার্কুইস স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কলিন স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড এবং কেওয়াইডি স্ট্রিটের মতো এলাকাগুলোর ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। পর্যটকদের অনুপস্থিতিতে হোটেলগুলোর রুম ভাড়া ১০ থেকে ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, জমজমাট বাজার, বাংলাদেশি খাবারের রেস্টুরেন্ট ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য পরিচিত হলো কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকা।
আরটিভি/এফএ
মন্তব্য করুন