ক্যালসিয়াম শরীরের অতিপ্রয়োজনীয় উপাদান। এই খনিজ উপাদানটি আমাদের হাড় ও দাঁত শক্ত করে, ক্ষয় রোধ করে। স্নায়ু, হৃদস্পন্দন, মাংসপেশির কাজেও লাগে। কৈশোরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম-জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে পরবর্তী সময়ে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিজনিত সমস্যাগুলো কম হবে।
সাধারণত দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের মধ্যে দিয়েই মানব দেহের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু অনেক মানুষ ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট। অর্থাৎ, তাদের দুধ সহ্য হয় না। কেউ কেউ আবার ভিগান (নিরামিষ) জীবনধারা গ্রহণ করছেন। ভিগানরা কোনো ধরনের প্রাণীর খাবার খান না। এই ধরনের মানুষরা প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পেতে যা খাবেন—
সয়াবিনের দুধ
সয়াবিনের দুধে গরুর দুধের তুলনায় কম পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকলেও পরিমাণ খুব একটা কম নয়। পাশাপাশি, এতে কোলেস্টেরল বাড়ার ঝুঁকিও থাকে না। গরুর দুধের তুলনায় সয়াবিনের দুধে সম্পৃক্ত ফ্যাটের মাত্রাও কম। ফলে যারা গরুর দুধ খেতে পারেন না, তাদের জন্য সয়াবিনের দুধ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
কাঠবাদাম
কাঠবাদামও ক্যালসিয়ামে ভরপুর একটি খাবার। এক কাপ কাঠবাদামে ২৪৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। পাশাপাশি, কাঠবাদামে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান।
টফু
বাঙালির রান্নাঘরেও এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে টফু। ভালো মানের টফুতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। খুব ভালো মানের হলে আধ কাপ টফুতেই ৮০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যেতে পারে।
সাদা বিন
সাদা বিন ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। ক্যালসিয়াম ছাড়াও এতে থাকে দ্রবণীয় ফাইবার, ফোলেট, আয়রন ও পটাশিয়াম। পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সাদা বিন বেশ কার্যকরী বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
ব্রকোলি
ব্রকোলি ও ক্রুসিফেরাস জাতীয় সবজিতে ক্যালসিয়ামে ভরপুর। এই ধরনের সবজির বিশেষত্ব, এখান থেকে প্রাপ্ত ক্যালসিয়াম খুব সহজেই দেহে শোষিত হতে পারে। পাশাপাশি, ব্রকোলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, আয়রন এবং পটাশিয়াম। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর।