খালি পেটে এক কোয়া রসুনে ঠাণ্ডা গায়েব
সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে রোগবালাই দূরে থাকে। অনেকটা সময় পেট খালি থাকার পর এটি খেলে এর রস সহজে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে পারে বেশি পরিমাণে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মেটাবলিক রেটও একটু বেশি থাকে। তাই খালি পেটে রসুন খেলে উপকার মেলে অনেক।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস রসুন ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যানসারের চিকিৎসায়। লুই পাস্তুর এর অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণের কথা জানান। আর আধুনিক বিজ্ঞানীরা জানালেন, হৃদরোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকার কথা৷ ইউনিভার্সিটি অব কানেক্টিকাট স্কুল অব মেডিসিন–এর কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ টিমের মতে, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়া উচিত। কাঁচা রসুন খেলে হার্ট সুস্থ থাকে৷
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ রসুন রক্তে উপস্থিত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়তা করে রসুন। সকালে খালি পেটে রসুনের কোয়া খেলে সারারাত ধরে চলা বিপাকক্রিয়ার কাজ যেমন উন্নত হয়, তেমনই শরীরের দূষিত টক্সিনও মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে।
যাদের ঠাণ্ডা-সর্দি বেশি লাগে, তারা খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেয়ে দেখুন কতটা কার্যকরী। একটানা দু’সপ্তাহ সকালে রসুন খেলে ঠাণ্ডা-সর্দি লাগার প্রবণতা অনেকটাই কমে আসবে। হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে রসুন খুবই কার্যকর। হৃদস্পন্দনের হার নিয়ন্ত্রণ করতে ও হৃদপেশির চাপ কমাতে কাজ করে এটি। উচ্চ রক্তচাপের অসুখে ভুগছেন এমন রোগীদের ডায়েটে বেশ কার্যকর এই রসুন।
যকৃত ও মূত্রাশয়কে নিজের কাজ করতে সাহায্য করে রসুন। এ ছাড়া পেটে হজম থেকে শুরু করে নানা রকমের সমস্যায় রসুন বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কিছু ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত অসুখ- যেমন ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধে এটি ভূমিকা রাখে। স্নায়বিক চাপ কমিয়ে মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সক্ষম।
জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রসুন সকালে খালি পেটে খেতে হবে এমন নয়; বিকেল, দুপুর বা রাতে রসুন যেকোনো সময় খেতে পারেন৷ তবে খেতে হবে কাঁচা৷ হাইপ্রেসার বা কোলেস্টেরল থাকলে রসুনের ৩–৪টি কোয়া করে খান৷ এক্ষেত্রে প্রেসার বা কোলেস্টেরলের ওষুধ বন্ধ করবেন না৷ সঠিক খাবার, ব্যায়াম ও চেকআপ চালিয়ে যাবেন৷
আরো পড়ুন
এস/পি
মন্তব্য করুন