পহেলা ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৫তম জাতীয় কবিতা উৎসবে ১০ হাজার কবিতাপ্রেমীর সমাগম ঘটবে বলে ধারণা জাতীয় কবিতা পরিষদের কর্তাব্যক্তিদের।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ’।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এরই মধ্যে ৩০০ কবি কবিতা পাঠের জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন। এ বছর জাতীয় কবিতা উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য ‘বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা।’ এবারের কবিতা উৎসব উদ্বোধন করবেন দেশের অন্যতম প্রধান কবি আসাদ চৌধুরী।
কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত বলেন, ‘বাংলাদেশের কবিরা চিরকালই প্রগতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বিগত ৩৪টি আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষার সংগ্রামী কবিরা এ উৎসবে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নির্যাতিত মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন। এ উৎসবকে আমরা কবিতার মিলনমেলায় পরিণত করতে পেরেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, জাতীয় কবিতা উৎসব কবিতার বৃহত্তম এ ঐতিহ্যবাহী আয়োজন শুধু বাংলাদেশের নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এক অনন্য উৎসব, যা এরই মধ্যে সারা বিশ্বে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেছে। সূচনালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার কবিতানুরাগী ও শ্রোতার অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে এ উৎসব যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তার নজির পৃথিবীতে বিরল।
উল্লেখ্য, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে কবিতা উৎসব শুরু ১৯৮৭ সালে। কালের পরিক্রমায় এই উৎসব সাড়ে তিন দশক অতিক্রম করেছে। দু’দিনব্যাপী এ উৎসবে কবিতাপাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করা হয়।