পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা জিতলেই এক ম্যাচ আগে সিরিজ জিতে যেত দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ভারতের জন্য সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচ।
এমন সমীকরণ মাথায় রেখে রাজকোটে লড়াইয়ে নামে দু’দল। তবে এই লড়াইয়ে ৮২ রানে জিতে ভারত সিরিজ সমতায় আনল ২-২ ব্যবধানে।
১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। ওপেনার টেম্বা বাভুমাকে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন চোটে পড়ে। আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কককে ১৪ রান করে ফেরেন রান-আউট হয়ে।
এরপর ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে শূন্য রানে ফেরান আবেশ খান। দলীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করা রাসি ভ্যান ডান দুসেনকেও ফেরান আবেশ। দুসেনের বিদায়ের পর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি প্রোটিয়া ব্যাটাররা।
একের পর এক উইকেট দিয়ে ১৬.৫ ওভারে অল-আউট হয় মাত্র ৮৭ রানে। ৮২ রানের জয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখল স্বাগতিকরা।
ভারতের পক্ষে ৪ উইকেট নেন আবেশ খান। ২ উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহাল ও ১টি করে উইকেট নেন হার্শাল প্যাটেল এবং আক্সার প্যাটেল।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারতের শুরুটাও ভালো হয়নি। ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াডকে ৫ রানে ফিরতে হয় লুঙ্গি এনগিদির বলে ক্যাচ দিয়ে। এরপর ৪ রান করে বিদায় নেন শ্রেয়াশ আইয়ার। আরেক ওপেনার ঈশান কিষানকে ২৭ রানে ফেরান এনরিক নরকিয়া।
অধিনায়ক ঋষভের ব্যাটের আসে ১৭ রান। তবে হার্দিক পান্ডিয়া ও দীনেশ কার্তিকের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। পান্ডিয়া ৪৬ (৩১) রান করে ফিরলেও ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি অর্ধশতক তুলে নেন কার্তিক। তার ৫৫ (২৭) রানের ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২ উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি। ১ উইকেট করে নেন মারকো জ্যানসেন, প্রটোরিয়াস, নরকিয়া ও কেষব মহারাজ।