ব্যস্ত সূচিতে ঠাসা আইসিসির ভবিষ্যৎ সূচি (এফটিপি)। একটা সিরিজ শেষ হতে না হতেই আরেকটা সিরিজ খেলতে দৌড়াতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, পরিবারের সঙ্গে একটু সময় কাটানোর অবস্থাটাও থাকে না। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে খেলাটাকে গুডবাই বলেছেন অনেক ক্রিকেটার। তবে মাত্র ৩১ বছর বয়সে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়াটা বেন স্টোকসের জন্য একটু তাড়াতাড়িই হয়ে গেল না!
মাত্র ১০৫টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেই ইতি টেনে দিলেন ক্যারিয়ারের। তবে খেলা চালিয়ে যাবেন টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী এই অল-রাউন্ডার আইসিসিকে অনেকটা খোঁচা দিয়ে বলেছেন, তিন ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যেতে হাঁপিয়ে উঠেছেন তিনি। তাই ওয়ানডেতে দলের চাওয়া মতো পারফর্ম করতে পারছেন না কারণ দেখিয়ে ছেড়েছেন ওয়ানডে। তবে সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন ভিন্ন কথা।
তার অবসরের পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, আইসিসি ব্যস্ত সূচি। শুধু নিজেকে সরিয়ে নিয়েই থামেননি, যা ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্যও উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন।
‘যত বেশি ম্যাচ হবে, ক্রিকেটের জন্য তত ভাল, তবে আপনি এর জন্য যাকে খেলাবেন সে যেন সেরাটা দিতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আপনাকে চাইতে হবে খেলোয়াড়রা যতটা সম্ভব ভালো খেলুক সবসময় খেলুক।’
স্টোকস আরও বলেন, ‘এটা শুধু আমি বা আমাদের ক্ষেত্রে নয়, আপনি এখন সারা বিশ্বে এটি দেখতে পাচ্ছেন, যেখানে একটা নির্দিষ্ট সিরিজে কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিচ্ছে। যেটিকে মনে করা হচ্ছে তারা বিরতি পাচ্ছে। সত্যি বলতে কি, আমরা গাড়ি নই যে জ্বালানি দিলেই চলব।’
গত মাসে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে, ভারতের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলার একদিন পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমেছে ইংল্যান্ড।
বেন স্টোকস আগামী এক বছরে ১০০ দিন মাঠে থাকার সূচি দেখিয়ে বলেন, ‘আমাদের টেস্ট সিরিজ চলছিল নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে, একই সময়ে একটি দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজও চলছিল; যা আমার কাছে নির্বোধ মনে হয়েছে।’