আসন্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নেমেছে জস বাটলারের ইংল্যান্ড। আর নেমেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।
নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তুলেছে দলটি। ব্রিস্টলে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩৪ রান করেছে ইংল্যান্ড। ২৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়ারাও তুলেছে ৮ উইকেটে ১৯৩ রান।
ব্রিস্টলে ৪২৭ রানের ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত ৩৪ রানের জয়ে শেষ হাসি হেসেছে ইংলিশরা।
ব্রিস্টলে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকে ইংল্যান্ড। ওপেনার জেসন রয় ব্যর্থ হলেও বাটলার ৭ বলে ২টি চার ও ২টি ছয়ে ২২ রান করে ঝড়ের সূচনা করেন।
তিনে নামা ডেভিড মালান ও চারে নামা জনি বেয়ারস্টো সেই ধারা ধরে রেখে মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকে। মালান ১টি চার ও ৪টি ছয়ে ২৩ বলে ৪৩ রান করে আউট হয়ে ফিরলে মঈন আলী ব্যাটিংয়ে নামেন।
বেয়ারস্টোর সঙ্গে যিনি মাত্র ৩৫ বলে ১০৬ রানের জুটি গড়ে প্রোটিয়ানদের বোলিং আক্রমণ কচুকাটা করেন। মঈন মাত্র ১৬ বলে ২টি চার ও ৬টি ছয়ে ফিফটি তুলে নেন। যা ইংলিশদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে রেকর্ড। এর আগে লিয়াম লিভিংস্টোনের ১৭ বলে ফিফটি ছিল ইংলিশদের রেকর্ড।
মঈন শেষ পর্যন্ত ৫২ রানে ফিরে যান। অপরপ্রান্তে বেয়ারস্টো ৫৩ বলে ২টি চার ও ৬টি ছয়ে করেন ৯০ রান। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল লুঙ্গি এনগিডি। এই পেসার ৩৯ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনার রিজা হেনড্রিকস ছাড়া টপ অর্ডারের অন্য কোনও ব্যাটসম্যান বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেননি। হেনড্রিকস ৩৩ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে করেন ৫৭ রান।
শেষ ১০ ওভারে প্রায় দেড়শ’ রানের প্রয়োজন থাকা ম্যাচ থেকে আগেই ছিটকে যায় প্রোটিয়ানরা। তবে ছয়ে নেমে অভিষিক্ত ট্রিসটান স্টাবসের ঝড়ে আবার ম্যাচে ফেরে প্রোটিয়ানরা। মাত্র ২৮ বলে ২টি চার ও ৮টি ছয়ে ৭২ রান করেন স্টাবস। তবে এই ব্যাটসম্যানকে সঙ্গ দিতে পারেননি আর কেউ। তাই শেষ পর্যন্ত হার দেখেই মাঠ ছাড়তে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
ইংলিশদের পক্ষে রিচার্ড গ্লেসন ৫১ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। এছাড়াও রিস টপলে ও আদিল রশিদ ২টি করে উইকেট শিকার করেন। ব্যাট হাতে ফিফটির পর বল হাতে ১ উইকেট শিকার করায় ম্যাচসেরা হয়েছেন মঈন আলী।