প্রথম লেগে ২-০ গোল ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এবার ফিরতি লেগে চেলসিকে তাদের ঘরের মাঠে একই ব্যবধানে হারালো স্প্যানিশ জায়ান্টরা। দুই লেগেই দাপুটে জয় নিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে উঠে গেল কার্লো আনচেলত্তির দল।
লিগে শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে আরেক ম্যাচের ফিরতি লেগে ন্যাপোলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে এসি মিলান। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের জয়ে ২০০৬-০৭ মৌসুমের পর এই প্রথমবার সেমিফাইনালে উঠল ইতালিয়ান জায়ান্টরা। সেবার অবশ্য শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল মিলানের দলটি।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল রাতে) চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে চেলসির মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে রিয়াল। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো জোড়া গোল করেন।
এই জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলের ব্যবধানে জয়ে রেকর্ড ১৫তম শিরোপা জয়ের পথে এগিয়ে গেল লস ব্লাঙ্কোসরা।
রাতের আরেক ম্যাচে নাপোলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে এসি মিলান। আগের লেগে ১-০ গোলে জয় পাওয়া মিলান দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল।
ইতালিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় পেতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছে নাপোলি। খেলার মোট ৩ ভাগের দুই ভাগ সময় বল দখলে রাখার পাশাপাশি ২৩টি শট নিয়েছে নাপোলি; যার মধ্যে ৪টি ছিল গোলমুখে। অন্যদিকে মিলানের ৬ শটের ৪টি ছিল গোলমুখে। কিন্তু দুই দল গোল পেয়েছে ১টি করে। যদিও দুই দলই একবার করে পেনাল্টি মিস করেছে।
২১তম মিনিটে পেনাল্টি মিস করেন মিলানের ফরাসি স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরু। তবে ৪৩তম মিনিটে সেই জিরুর গোলেই এগিয়ে যান মিলান। ৮২তম মিনিটে আবার পেনাল্টি মিস করেন নাপোলির জর্জিয়ান উইঙ্গার খভিচা কভারতসখেলিয়া। তবে যোগ করা সময়ে ভিক্টর ওসিমানের গোলে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে নাপোলি। কিন্তু আগের লেগে হেরে যাওয়ায় শেষ আট থেকেই বিদায় নিতে হলো তাদের।