ম্যাচ জয়ের জন্যে শেষ দুই ওভারে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। এমন সহজ সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ১৯তম ওভারের মার্ক অ্যাডায়ারের প্রথম বলেই লুক জংওয়েকে হারায় স্বাগতিকরা। এরপর পল স্টার্লিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে তৃতীয় বলে ফেরেন সিকান্দার রাজা। এরপরই থমকে যায় পুরো গ্যালারি।
এতে শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ রান, হাতে ছিল দুই উইকেট। শেষ ওভারে ব্যারি ম্যাকার্থি প্রথম ৩ বলে ৩ রান দিলে সমীকরণ আরও জটিল হয় স্বাগতিকদের। পরের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে খেলা আরও জমিয়ে তোলেন রিচার্ড এনগারাভা। কিন্তু পঞ্চম বলে এনগারাভা ফিরলে শেষ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২ রান। শেষ বলে ব্লেসিং মুজারাবানি ২ রান নিলে এক উইকেটের নাটকীয় জয় পায় জিম্বাবুয়ে।
ঘরের মাঠে এই জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে। দলকে জেতানোর দিনে বল হাতে ৩ উইকেটের পাশাপাশি রাজার ব্যাট থেকে এসেছে ৬৫ রানের দারুণ এক ইনিংস।
হারাতে ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই তাডিওয়ানাশে মারুমানিকে হারায় স্বাগতিকেরা। ম্যাকার্থির বলে হ্যারি টেক্টরকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার। এরপর উইলিয়ামসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। জশুয়া লিটল ফিরিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটারকে।
এরপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ওয়েসলি মাধেভের এবং রাজা। তবে এই জুটিও বড় হতে দেননি জর্জ ডকরেল। ব্যক্তিগত ২৫ রানে বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মাধেভেরে। এদিন রায়ান বার্ল ও ব্রায়েন বেনেটও বলার মতো কিছু করতে পারেননি। তবে একাই লড়াই করেছেন রাজা।
রাজাকে সঙ্গ দিয়েছেন ক্লাইভ মাদান্ডে। তবে শেষ দিকে তিনিও ফিরেছেন। এই উইকেটকিপারের ব্যাট থেকে ১১ বলে ২০ রান এসেছে। অন্যপ্রান্তে টানা চার ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে দলের জয় কিছুটা সহজ করেন রাজা। তার ৬৫ রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ইনিংসের শেষ বলে রোমাঞ্চর জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।
আইরিশদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাডায়ার, লিটল, ম্যাকার্থি এবং ক্রেইগ ইয়াং।
এর আগে, ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তুলে আইরিশরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেছেন অ্যান্ড্রু বালবির্নি। এ ছাড়া গ্যারেথ ডেলানি ২৬, হ্যারি টেক্টর ২৪ এবং রড টাকার ২১ রান করেছেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে রাজা তিনটি, এনগারাভা ও মুজারাবানি দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন।