• ঢাকা সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
logo

রোনালদো-এমবাপ্পে রোমাঞ্চের অপেক্ষা

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৬
রোনালদো, এমবাপ্পে
ছবি- সংগৃহীত

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। এ ম্যাচের মাধ্যমে ফের দুই পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী নিজেদের মধ্যকার প্রতিযোগিতা ঝালিয়ে নেবার সুযোগ পাচ্ছে। সব ছাপিয়ে অবশ্য দুই দলের দুই অধিনায়ক ও সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ওপরই পুরো বিশ্বের নজর থাকবে।

হামবুর্গে শেষ আটের এ লড়াইয়ে আগে দুই দলের কেউই জার্মানিতে এখন পর্যন্ত নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো খেলোয়াড়ই পেনাল্টি ছাড়া ওপেন প্লেতে কোনো গোল করতে পারেনি। এ নিয়ে ৪ ম্যাচে তারা মাত্র তিনটি গোল করেছে। এর মধ্যে এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে একটি করেছে। বাকি দুটি আত্মঘাতী গোল। শেষ ষোলোতে ইয়ান ভারটোনগেনের আত্মঘাতী গোলে বেলজিয়ামকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট পায় ফরাসিরা।

অন্যদিকে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোতে ১২০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর শ্যুটআউটে জয়ী হয়ে শেষ আটের টিকেট পেয়েছে পর্তুগাল। গোলরক্ষক ডিয়েগো কস্তা স্লোভেনিয়ার তিনটি শটই রুখে দিয়ে পর্তুগালকে জয় উপহার দেন। অতিরিক্ত সময়ে রোনালদো পেনাল্টি মিস করায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে পেনাল্টি শ্যুটআউটের প্রয়োজন হয়। ওই ম্যাচে বেশ কিছু গোলের সুযোগ নষ্ট করায় ৩৯ বছর বয়সী রোনালদোর নামের পাশে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোতে গোল করার রেকর্ডও যোগ হয়নি। আর গোল মিস হবার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন পর্তুগিজ সুপারস্টার।

শেষ ষোলোর ম্যাচের পর কোচের মন্তব্য, ‘একজন খেলোয়াড় যে কিনা সব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, দেশের জন্য অনেক কিছু অর্জন করেছেন, তার জন্য এই ধরনের আবেগ স্বাভাবিক। তার এই আবেগ না দেখালেও চলতো। এ কারণেই আমি তাকে এতটা পছন্দ করি। রোনালদো এমনই।’

এদিকে ৩ বছর আগে ইউরোতে গ্রুপ পর্বে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল ও ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে রোনালদো জোড়া গোল করলেও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে অমীমাংসিত ছিল। নকআউট পর্বে যখনই এই দুই দল মুখোমুখি হয়, তখনই বিজয়ী দল শিরোপা জিতেছে।

প্যারিসে ২০১৬ ইউরো ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে পর্তুগাল জয়ী হয়েছিল। ইউরো ৮৪’তে মিশেল প্লাতিনির অতিরিক্ত সময়ের গোলে সেমিফাইনালে ফ্রান্স জয়ী হয়েছিল। ২০০০ সালের সেমিফাইনালে জিনেদিন জিদানের পেনাল্টিতে গোল্ডেন গোলে ফ্রান্স জয়ী হয়েছিল। এ ছাড়াও ঠিক ১৮ বছর আগে মিউনিখে ২০০৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফের জিদান ফ্রান্সকে জয় উপহার দিয়েছিলেন।

মন্তব্য করুন

  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইউরো থেকে বিদায়ের পর যে বার্তা রোনালদোর
ইউরো থেকে রোনালদোর বিদায়, সেমিফাইনালে ফ্রান্স 
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ, ফলের অপেক্ষা
তিস্তা প্রকল্প পেতে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় চীন: ইয়াও ওয়েন