আত্মবিশ্বাসই ম্যাচ জিতিয়েছে: আবু হায়দার
ডেভিড মালানের ৫১ বলে ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসকেও ছাপিয়ে গেছে আবু হায়দার রনির ৮ বলে ১২ রান। রনির এই ১২ রানের জাদুকরি ইনিংসে ভর করেই আসরের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ২৭তম ম্যাচে টস হেরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আগে ব্যাট করে ১৬০ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় ওয়ারিয়র্সদের সামনে। ব্যাটিংয়ে নেমে ৫১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন কুমিল্লার অধিনায়ক ডেভিড মালান। টিকে থাকেন শেষ ওভারের পঞ্চম বল পর্যন্ত।
মূলত মালানের ব্যাটে ভর করেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। লিয়াম প্লাঙ্কেটের করা ইনিংসের শেষ ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন ১৬ রান। প্রথম বলে ১ রান নিয়ে স্ট্রাইকে গিয়েই বাউন্ডারি হাঁকান আবু হায়দার রনি।
পরের বলে আর বাউন্ডারি নয়, লং-অনে ওভার বাউন্ডারি আসে রনির ব্যাটে। চার নম্বর বলে প্রান্ত বদল করে স্ট্রাইকে যান মালান। পঞ্চম বলে দুই রান নিতে গিয়েই ঝামেলা বাঁধান অধিনায়ক। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তার ব্যাটে আসে ৫১ বলে ৭৪ রান।
শেষ বলে ৩ রান লাগে। নতুন ব্যাটসম্যান মুজিব উর রহমানের বাউন্ডারিতে ২ উইকেটের (সানজামুলের রিটায়ার্ড হার্ট) জয় নিশ্চিত করে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
এতে নায়ক বনে যান আবু হায়দার রনি। উপস্থিত হোন সংবাদ সম্মেলনেও। এমন ব্যাটিংয়ের রহস্যটাও জানালেন তিনি।
তার মতে, আত্নবিশ্বাসই এমন ব্যাটিং করার রহস্য। ৮ বলে ১২ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংসটাকে অবিশ্বাস্য মনে করছেন না এই বোলার।
‘হ্যাঁ, আমার আত্মবিশ্বাস ছিল কারণ আমি পাওয়ার ব্যাটিং নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত কাজ করছি। এইরকম অবস্থায় কিভাবে কাজ করা যায় সেটা জেনেছি। আর মালান ছিল। একটা সাহস ছিল যে পারব আমরা।’
তবে রনির পরিকল্পনায় ছিল মালানকে কিভাবে স্ট্রাইক দেয়া যায়। কেন না, সেট ব্যাটসম্যান হিসেবে মালানের পক্ষে কাজটা যত সহজ ছিল রনির পক্ষে ততোটা না।
‘আমার পরিকল্পনা ছিল মালানকে কিভাবে স্ট্রাইক দেওয়া যায়। শেষ ওভারে যখন খেলা চলে এসেছে এক দেয়ার অবস্থা ছিল না। কারণ রান ছিল ১৬। আমিও চেষ্টা করেছি মেরে রান নেয়ার।’
এমআর/ওয়াই
মন্তব্য করুন