• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

অপমানের মূল্য ৬০ হাজার, অতপর কিশোরীর আত্মহত্যা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২৭ জানুয়ারি ২০১৮, ১৩:০৫

অপমান সইতে না পেরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বপ্না নামে এক কিশোরী।

শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ওই গ্রামের দিনমজুর মোতালেব মিয়ার মেয়ে স্বপ্না বেগমকে মাদরাসা আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করতো একই গ্রামের সাবেক মেম্বার স্বপন মিয়ার ছেলে দোকান কর্মচারী শান্ত মিয়া।

বৃহস্পতিবার মাদরাসা থেকে ফেরার পথে স্বপ্নাকে স্থানীয় পলাশ ইলেকট্রনিক্সের কর্মচারী শান্ত তাকে দোকানে ডেকে নেয়। শান্ত তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় শান্ত দোকানের ভেতরে তাকে আটকে রেখে দরজায় তালা দিয়ে চলে যায়। পরে দোকান মালিক দরজা খুলে স্বপ্নাকে দেখতে পান। বিষয়টি স্বপ্না বাড়িতে গিয়ে মা-বাবাকে জানায়।

--------------------------------------------------------
আরওপড়ুন: পটিয়ায় বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
--------------------------------------------------------

এক পর্যায়ে স্বপ্নার বাবা মোতালেব মিয়া ওয়ার্ড মেম্বার সাজু মিয়া ও গ্রাম্য মাতব্বরদের কাছে বিচার দাবি করেন। এ নিয়ে শুক্রবার গ্রাম্য সালিশে এই ঘটনার জন্য শান্ত মিয়ার বাবা স্বপন মিয়াকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু স্বপন মিয়া ৩০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। সালিশের পর স্বপ্নার মা বাড়িতে গিয়ে কন্যার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার সাজু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।

হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

আরও পড়ুন:

জেবি/এসএস

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অপছন্দের খাবার খেতে বাধ্য করতেন প্রেমিক, পাইলটের ‘আত্মহত্যা’
টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ছেলের মুখে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা শুনে মায়ের আত্মহত্যা
হাসপাতালের ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে যুবকের আত্মহত্যা