• ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
logo
দুই নৌযানসহ ৭৯ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড
স্ত্রীর দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ায় নারীকে মারধর
বাগেরহাটের মোংলায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ায় শ্লীলতাহানি ও মারধরের শিকার হয়েছেন লাইজু আক্তার (২৮) নামে এক তরুণী। সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে বটতলা (মুন্সিপাড়া) এলাকায় প্রেমিক সাগর তালুকদারের (৩৫) পিতার বাড়িতে অবস্থান নেন লাইজু। অবস্থান নেওয়ার পরপরই তাকে পিটিয়ে জখম করে প্রেমিক মো. সাগর তালুকদারের পরিবারের সদস্যরা।  লাইজু মোংলা উপজেলার সিগনাল টাওয়ার এলাকার সলেমানের মেয়ে। তিনি মোংলা ইপিজেড এলাকায় একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরি করেন। সাগর তালুকদার বটতলা (মুন্সিপাড়া) এলাকার কুদ্দুস তালুকদারের ছেলে। লাইজু আক্তারের অভিযোগ, সাগর তালুকদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন সম্পর্কের পর ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করেন। বিয়ের পর তাকে ভাড়া বাসায় রাখে। ঠিকমতো ভরনপোশন দিত না। বাড়ি তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রেও তালবাহানা করতে থাকে সাগর। বিভিন্ন সময় ব্যবসা করবে বলে তার কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতো এবং চাপ দিতো ও মারধর করতো। উপায়ন্ত না দেখে তিনি বটতলা (মুন্সিপাড়া) এলাকায় সাগর তালুকদারের বাবার বাড়িতে অবস্থান নেন। অবস্থানে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিবারের লোকজন লাইজুকে পিটিয়ে জখম করে। পরে এলাকাবাসী লাইজুকে চিকিৎসার জন্য মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, আমার শ্বশুর এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলেন না। সুস্থ্য হলে আবার আমি স্বামীর বাড়িতে অনশন করে আত্মহত্যা করব। অভিযুক্ত সাগর তালুকদার জানান, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। স্ত্রীর দাবিতে বাড়িতে অনশন করছেন যিনি, তিনি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। সে জেনে শুনেই আমাকে বিয়ে করেছে। এ বিষয়ে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিভি/এএএ/এস
দুবলা চরে রাস মেলায় ২ ট্রলারে সংঘর্ষ, আহত ৩
হোটেলে গ্রিল-নান খেয়ে ৪০ জন অসুস্থ
কনটেইনার টার্মিনাল হলে চট্টগ্রামের ওপর চাপ কমবে: এম সাখাওয়াত
মোংলায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
৩ মাস পর উন্মুক্ত সুন্দরবন
দীর্ঘ ৩ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও পর্যটক ও জেলে-বাওয়ালীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন।  নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করছেন পর্যটক ও জেলে-বাওয়ালীরা।  ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট এই ৩ মাস মূলত বনের গাছপালা, বন্যপ্রাণী, পশুপাখি ও মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় এই সময়টাতে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বনবিভাগ। প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন হওয়ায় এক নতুন রূপে এখন সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি। বনবিভাগ সূত্র বলছে, সুন্দরবনের ৩১৯ প্রজাতির মাছ, ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা ও ১০৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বেশির ভাগেরই প্রজননকাল ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট। এই সময়ে বনের গাছপালার বীজ থেকে চারা গজায়, এতে গাছের সংখ্যা বেড়ে থাকে। আর প্রজননের ফলে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় প্রাণীজ ও জলজ সম্পদ। এই প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন করতেই সুন্দরবনের অভ্যন্তরে সব ধরনের নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়।  ফলে নির্দিষ্ট এ সময়ে বনে প্রবেশ থেকে বিরত রাখা হয় বননির্ভরশীল জেলে-বাওয়ালীদের। সেইসঙ্গে শব্দ ও পরিবেশ দূষণ রোধে বন্ধ থাকে পর্যটকবাহী পরিবহনও। এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, ‘প্রজনন মৌসুমের ৩ মাসে বনের প্রাণপ্রকৃতিতে ভিন্নতা এসেছে। গাছের চারা গজিয়ে সবুজে সমারোহ হয়েছে বন। আর বন্যপ্রাণীর প্রজননে বংশবিস্তারও ঘটেছে ব্যাপকভাবে। সেইসঙ্গে মাছের প্রজনন বাড়ায় নদী-খালে বেড়েছে মাছও। সবমিলিয়ে এ যেন এক সমৃদ্ধ সুন্দরবন।’
মাঙ্কিপক্সের ঝুঁকি এড়াতে মোংলায় সতর্কতা
বিশ্বের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্সের ঝুঁকি এড়াতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলায় সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজের নাবিকদের জাহাজ থেকে নামার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহিন রহমান। এ দিকে পোর্ট হেলথ কর্তৃপক্ষ ৬ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল টিমের প্রধান মোংলা পোর্ট হেলথের উপপরিচালক ডা. শেখ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।  তিনি বলেন, বন্দর থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা কাজ শুরু করেছি। বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজের নাবিকদের মাধ্যমে এ রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য সতর্ক রয়েছি। এ বিষয়ে রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহিন রহমান বলেন, মাঙ্কিপক্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বন্দরে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজের নাবিকদের জাহাজ থেকে নামার জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘পোর্ট হেলথ’কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, মোংলা বন্দরে আসা জাহাজের নাবিকদের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে এ রোগ যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বন্দরে জরুরি আইসোলেশন ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে চিঠিতে। 
হাসপাতালের নারী স্টাফকে যুবলীগ নেতার মারধর
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক নারী স্টাফকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। যুবলীগ নেতা হাসিব আমিন (৩৫) মোংলা পৌর কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের সভাপতি কবির হোসেনের আপন শ্যালক। শ্যালক হাসিব ওই নারী স্টাফকে মারপিটের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কবির হোসেন নিজেও। সরকারি হাসপাতালের স্টাফকে মারপিটের খবরে হাসপাতালে ব্যাপক মানুষের উপস্থিতি ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতালে ছুটে আসে পুলিশও। সোমবার (২৯ জুলাই) সকালে এ অভিযোগ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভুক্তভোগী নারী স্টাফ সাবিনা সুলতানা (২৮)। সাবিনা সুলতানা বলেন, পৌর কাউন্সিলর কবির হোসেন বেশ কয়েকজন লোককে সঙ্গে নিয়ে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক রোগীকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। ওই সময়ে মূলত হাসপাতালে রোগীদের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এ কথা জানাতেই কাউন্সিলর কবির হোসেনের শ্যালক হাসিব আমিনসহ অন্যান্যরা আমার ওপর চড়াও হন। পরবর্তীতে হাসিব আমাকে বেধড়ক মারপিট করেন। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহীনও ছুটে আসেন। আসে পুলিশও। এ ছাড়াও হাসিবের পক্ষ হয়ে আওয়ামী ও যুবলীগের নেতারা আসেন। এনিয়ে পরে হাসপাতালে চরম বাগবিতণ্ডাও হয়। পরে তারা আমাকে সরি বলে চলে যান।  সাবিনা সুলতানা বলেন, আমি এমন ‘সরি’ মানি না। হাসিব আমাকে যাওয়ার সময় পিটিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যান। আমি মামলা করবো, সরির মতো বিচার আমি মানি না।  বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘আমি মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি।’ 
‘সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে’
দেশের শৃঙ্খলা ফেরাতে সশস্ত্র বাহিনী বেশ সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।  বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) মোংলা সমুদ্র বন্দরে পরিদর্শন ও সার্বিক পরিস্থিতি দেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।  নৌবাহিনী প্রধান বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে যে কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড রুখতে সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তত রয়েছে। সরকারের নির্দেশনায় দেশের শৃঙ্খলা ফেরাতে সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।  নৌবাহিনী প্রধান আরও বলেন, সকলের গর্ব পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দেশের আমদানি-রপ্তানিসহ বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে মোংলা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই বন্দরকে ঘিরে গড়ে ওঠা শিল্প এলাকা, ইপিজেডসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।   এ সময় সাংবাদিকদের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য গণমাধ্যম সাহসী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।   দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান নৌবাহিনী প্রধান।   এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান ও খুলনা নৌ অঞ্চলের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল গোলাম সাদেকসহ পদস্থ কর্মকর্তারা।
জাহাজের পাখার সঙ্গে দড়ি পেঁচিয়ে ট্রলার ডুবি, জেলের মরদেহ উদ্ধার
মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-চ্যানেলের জয়খাঁ এলাকায় লাইটার জাহাজের ধাক্কায় মাছ ধরার ট্রলার ডুবে নিখোঁজ জেলে মহিদুল শেখের (২৫) মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। মৃত জেলে মহিদুল শেখ মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নের উলুবুনিয়া গ্রামের রশিদ শেখের ছেলে।  শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-চ্যানেলের মাদরাসার রোডের পশ্চিম পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মোংলা নৌপুলিশের ইনচার্জ সৈয়দ ফকরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মহিদুলের নিকট আত্মীয় ও স্থানীয়রা বলেন, আমরা ৪টি ট্রলার নিয়ে মহিদুলকে খুঁজতে থাকি। দুটি ট্রলার রামপালের দিকে আর দুটি ট্রলার নিয়ে মোংলার দিকে খুঁজতে থাকি। এমন সময় মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-চ্যানেলে মরদেহটি ভাসতে দেখি। পরে নৌপুলিশের সহায়তায় আমরা মরদেহটি উদ্ধার করি। মোংলা নৌপুলিশের ইনচার্জ সৈয়দ ফকরুল ইসলাম বলেন, সকালে মোংলা মাদরাসা রোডের পশ্চিম দিকের মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-চ্যানেলে ভেসে উঠে মহিদুল শেখের মরদেহটি। নিহতের ভাই মহিদুলের মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের সহযোগিতায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ভোর রাত ৪টার দিকে মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-চ্যানেলের জয়খাঁ এলাকায় এলপিজি পরিবহনকারী একটি জাহাজের পাখার সঙ্গে দড়ি পেঁচিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই সময় ট্রলারে থাকা জেলে তারিকুল সাঁতরে কূলে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন মহিদুল শেখ। নিখোঁজের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালায় থানা পুলিশ, নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নিহত মহিদুল শেখের ১০ মাসের ও ২ বছরের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
সুন্দরবনে কুমিরের আক্রমণে নিহত মৌয়াল
পূর্ব সুন্দরবনের করমজলে কুমিরের আক্রমণে এক মৌয়াল নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মোশাররফ গাজী (৫৫)। শনিবার (৮ জুন) দুপুরে গজালমারী খালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কুমিরের আক্রমণ থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন আরও তিনজন। তারা হলেন সেকান্দার মল্লিক (২৫), জাকারিয়া শেখ (৪৫) ও গৌরপদ মণ্ডল (৪৪)। নিহত মোশাররফ গাজীসহ সবার বাড়ি খুলনার দাকোপ উপজেলার পূর্ব ঢাংমারী গ্রামে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটনকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির। তিনি বলেন, ‘নিষিদ্ধ সময়ে মধু আহরণ করতে ৪ মৌয়াল বনে প্রবেশ করেছিলেন। শনিবার দুপুরে ফিরে আসার সময় কুমিরের আক্রমণের মুখে পড়েন। দুপুরের দিকে মোশাররফ গাজীকে একটি কুমির করমজলের গজালমারী খালে টেনে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় বাকি ৩ মৌয়াল নদী সাঁতরে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। পরে তিন ঘণ্টা পর করমজলের ভারানী এলাকা থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে পুলিশ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।’