নানান ইস্যুতে মাঝে-মধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। কখনও শিল্পী সমিতির নির্বাচন কিংবা পদ নিয়ে, কখনও বা ভিন্ন ইস্যুতে। এবার ‘জালিয়াতি’র অভিযোগে খবরের শিরোনামে এলেন নিপুণ।
গত ১৬ জুলাই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি পোস্ট করেন তিনি। মূলত এরপরই নিপুণের বিরুদ্ধে ‘জালিয়াতি’র অভিযোগ তুলেছে সংগঠনটি।
অনৈতিকভাবে সমিতির প্যাড ব্যবহার করে কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে নিপুণ মনগড়া বিবৃতি দিয়েছেন বলে অভিযোগ এনেছে সমিতির বর্তমান কমিটি।
গত ৩০ জুলাই সমিতির ষষ্ঠ সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হলে নিপুণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশের একটি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিপুণ সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এটা করতে পারেন না। তিনি অনৈতিকভাবে কাছে থাকা প্যাড ব্যবহার করে মনগড়া বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি সমিতিকে বিব্রত করেছেন, যা জালিয়াতির পর্যায়ে পড়ে। এ কারণে সভায় কমিটির সকলে একমত হয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছে।’
তারা আরও জানান, দুই একদিনের মধ্যে নোটিশ পাঠানো হবে নিপুণকে। শুধু তাই নয়, জবাব সন্তোষজনক না হলে চিত্রনায়িকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায় নিপুণের মুঠোফোন।
গত ১৬ জুলাই সমিতির প্যাড ব্যবহার করে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ওই বিবৃতিতে ‘সাবেক’ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সই করেছেন নিপুণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেটি পোস্ট করার পরই তোপের মুখে পড়েন তিনি। তাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় নেটদুনিয়ায়।
এর আগেও সমিতির বর্তমান কমিটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় নিপুণকে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নিয়ে ‘বাজে মন্তব্য’ করায় সমিতি থেকে তার সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে দেওয়া ওই চিঠির জবাব দিয়েছেন নিপুণ।
ওই চিঠির জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে শিল্পী সমিতি। বর্তমান সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলেই নিপুণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
