• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
শিল্পের নতুন সম্ভাবনার পথে ‘বিগশট ক্রিয়েশন’র অনন্য উদ্যোগ
স্বামীকে নিয়ে তনির আবেগঘন স্ট্যাটাস
সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচিত এবং নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন মারা গেছেন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের স্থানীয় সময় রাত ৩টা ৩ মিনিটে মৃত্যু হয়েছে শাহাদাৎ হোসাইনের।স্বামীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তনি। ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তনি জানান, ‘সে আর নাই। ব্যাংকক সময় রাত ৩টা ৩ মিনিটে আমাকে সারাজীবনের মতো একা করে চলে গেছে। ’ তনির এই পোস্ট মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে মন্তব্যের ঘরে শোকবার্তা জানাচ্ছেন তনির ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ও নেটিজেনরা। এদিকে স্বামীর মরদেহ নিয়ে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তনি। বৃস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক পোস্টে তিনি লিখনে, সেইম ফ্লাইটে আমরা দুজন, কিন্তু আমি সিটে বসে আর তুমি। তনির সেই পোস্টে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ও নেটিজেনরা তার স্বামীর জন্য দোয়া চেয়েছেন। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহাদাৎ হোসাইন। লাইফ সাপোর্টে ভর্তি করা হয় তাকে। তখন তনি স্বামীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ফেসবুকে লিখেছিলেন, জীবনের সব থেকে কঠিন সময় পার করছি, আমি কোনোভাবেই তাকে হারাতে চাই না। সব কিছু অনিশ্চিত জেনেও আল্লার বিশেষ কোনো রহমতের আশায় অনেক কষ্ট করে আজকে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে আনিয়ে তারপর ব্যাংকক নিয়ে আসছি।  তনির দ্বিতীয় স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন একজন সফল ব্যবসায়ী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎ হোসাইনকে। তনি ও তার স্বামীর মধ্যকার বয়সের ব্যবধান নিয়ে সবসময় সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি। ফেসবুক লাইভে এলে ট্রলের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যোক্তা। তবে এসবে তার কোনো তোয়াক্কা নেই। তিনি দিনশেষে নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে চান বলেই অভিমত দিয়েছেন নানা সংবাদমাধ্যমে। আরটিভি/এএ   
মারা গেছেন নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী
এবার বিয়ে করলেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ শাম্মী ইসলাম নীলা
সামান্থার ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ
আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার
অভিমান আর ঘৃণা না পেলে জীবনটা আরও মধুর হতো: জয়
ছোট ও বড় পর্দার অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। অভিনয়ে, নির্মাণে, উপস্থাপনায়-নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন আড়াই  দশক ধরে। তবে সব ছাপিয়ে তার বড় গুণটি হচ্ছে, তিনি নিজেকে কখনও লুকান না। নিজের ও অন্যের সম্পর্কে যা ভাবেন সেটি প্রকাশ করে দেন অকপটে। প্রয়োজনে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতেও তিনি দ্বিধা করেন না। শোবিজে ২৫ বছর পথচলা উপলক্ষে সামাজিকমাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন জয়। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, অভিনয় ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পার করলাম। নানান উত্থান-পতন সাফল্য এবং ব্যর্থতায় যা অর্জিত হয়েছে তা হচ্ছে অভিজ্ঞতা। এরপর লিখেছেন, ‘মাঝে আলোচিত উপস্থাপক হওয়ার কারণে প্রচুর দর্শক পরিচিতির পাশাপাশি পেয়েছি আপনাদের অজস্র অভিমান। যদি শুধু অভিনেতাই হতে পারতাম! তাহলে হয়তো শুধু ভালোবাসাটাই পেতাম। সবশেষে তিনি লিখেছেন, অভিমান আর ঘৃণা না পেলে জীবনটা আরও মধুর হতো। এক জীবনে শত জীবনের বৈচিত্র্য নেওয়ার সুযোগ অভিনয় ছাড়া আর কোনো কাজে নেই। আমি এখন জিম্মি। বলেন তো জিম্মি কি?  আরটিভি/এএ /এস
দৌলতদিয়া পল্লীতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যা বললেন রুনা খান
দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। দিন যতই যাচ্ছে বয়স যেন কমছে। ৪১ বছর বয়সে এসেও রূপের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন এই অভিনেত্রী। মাঝে মধ্যেই ভক্তদের তাক লাগিয়ে দেন রুনা। কখনও অভিনয়ে, কখনও বা ফেসবুকে ছবি দিয়ে। এদিকে, রুনা খান অভিনীত নতুন সিনেমা ‘নীলপদ্ম’। ছবিটি এবারের ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসরে ‘বাংলাদেশ প্যানারোমা’ জায়গা পেয়েছে। এ সিনেমায় একজন যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুনা খান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই চরিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। জানা গেছে, ‘নীলপদ্ম’ ছবিটির শুটিং হয়েছে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতেই। সেখানে শুটিংয়ের কাজে প্রথমবারের মতো গিয়েছেন তিনি। সেখানে যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক অবস্থান অনুধাবন করার চেষ্টা করেছেন। কাজের ফাঁকে তাদের সময় পেয়েছেন, মিশেছেন একটু কাছ থেকেই। সেখানকার অভিজ্ঞতা নিয়ে রুনা খান বলেন, প্রথম গেলাম তো, মানুষ হিসেবে তাদেরকে খুব কাছাকাছিই দেখলাম। এই যে শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে যে সময়টা তাদের থেকে পেয়েছি, তারা এসে আমার সাথে গল্প করেছে। আমিও ঘরে বসে ওদের সঙ্গে গল্প করছি, ওরা আমার সঙ্গে সিসিমপুর নিয়ে গল্প করছে, ফ্যামিলি ক্রাইসিস নিয়ে গল্প করছে, ইউটিউবিং নিয়ে আলোচনা করেছে, শাকিব খানের সিনেমার কথা বলছে- মানে, আমি তুমি যা করি, ওরাও তাই করে। এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ওরা যৌনকর্মী, এটা ওদের পেশা। ওরা ওই কাজটা করেই জীবিকা নির্বাহ করে। আমাদের কাপড়টা ধোয়া হলেও যেমন অসুবিধা নেই, ওদের কাপরটা ধোয়া হলেও পরতে অসুবিধা নেই। এছাড়া আমি, তুমি আর ওদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, আমরা শুধু মানুষ।’ প্রসঙ্গত, নাটক, বড় পর্দার পাশাপাশি ওটিটি মাধ্যমের বেশ কয়েকটি কাজ যেমন, কষ্টনীড়, অসময়-এর মতো দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন রুনা খান। আরটিভি/এএ 
অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন প্রভাস, পাত্রী কে?
দক্ষিণী তারকা প্রভাস কাজ দিয়ে যেমন আলোচনায় থাকেন, তেমনি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও সমালোচনার শেষ নেই। বিশেষ করে অভিনেতার বিয়ের প্রসঙ্গে নেটিজেনদের চর্চা বরাবরই তুঙ্গে। তার সময়ের অনেকেই বিয়ে করে সংসারী হলেও তিনি এখনও সিঙ্গেলই রয়ে গেছেন।  এমনকি একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়ালেও শেষ পর্যন্ত কারও সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধেননি প্রভাস। বহুবার বিয়ের গুঞ্জনও শোনা গেছে তার। তবে তা বাস্তবে রূপ নেয়নি কখনও। এবার জানা গেল, সকল গুঞ্জন পেছনে ফেলে অবশেষে নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন প্রভাস।  এর আগে আনুশকা শেঠির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে প্রভাসের। গুঞ্জন উঠেছিল, অভিনেত্রীকেই নাকি বিয়ে করবেন তিনি। কিন্তু এবার শোনা যাচ্ছে অন্য এক পাত্রীর কথা। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা রামচরণের মন্তব্যে নতুন এই জল্পনার সূত্রপাত।  অভিনেতা জানান, খুব শিগগিরই নাকি বিয়ে করতে চলেছেন প্রভাস। পাত্রী নাকি অন্ধ্রপ্রদেশের গনপভরামের মেয়ে। এরপরই জল্পনা বাড়িয়ে দেন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় বিশ্লেষক মনোবালা বিজয়বালান। এক্স হ্যান্ডলে তিনি প্রভাসের নাম লিখে তার সঙ্গে নবদম্পতির ইমোজি জুড়ে দিয়েছেন।  এই পোস্টে দেখেই কৌতূহল প্রকাশ করতে শুরু করেন প্রভাস ব্কতরা। উচ্ছ্বসিত হয়ে তারা পাত্রী সম্পর্কে জানতে চান। যদিও নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, প্রভাসের বিয়ে জল্পনা নাকি এবারও স্রেফ গুঞ্জন।  পরবর্তী সিনেমার প্রমোশন হিসেবেই হয়তো বিয়ের কৌশল বেছে নিচ্ছেন এই তারকা। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত মুখ কুলুপ এঁটেছেন প্রভাস। বিয়ে নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।  আরটিভি/এইচএসকে  
মক্কায় এসেছি, তবুও বাজে মন্তব্য করছে মানুষ: নিলয়
শোবিজের দর্শকনন্দিত অভিনেতা নিলয় আলমগীর। ছোট-বড় দুই পর্দাতেই দর্শক মাতিয়েছেন অভিনেতা। কয়েকদিন আগেই পরিবার নিয়ে ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে গেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত ৮ জানুয়ারি খবরটি নিজেই জানিয়েছেন নিলয়। কিন্তু ওমরাহ পালনে যাওয়ার পর থেকেই নেটিজেনদের নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হচ্ছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ভীষণ বিরক্ত অভিনেতা। শনিবার (১১ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে আবারও পোস্ট দিয়েছেন নিলয়। পাঠকদের জন্য অভিনেতার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো— ‘এর আগেও আমি অনেক দেশে গিয়েছি। ছবি পোস্ট করেছি। এমনকি পাতায়া বা মায়ামি বিচ থেকেও ছবি পোস্ট করেছি। কিন্তু এত বাজে কমেন্টস আসেনি। মক্কাতে এসে ছবি দিলেই যত বাজে কমেন্টস আসা শুরু করে।  কারণটা কি কিছুই বুঝতে পারলাম না। পবিত্র নগরীতে এসেছি। ছবি দেখে ভালো লাগলে ভালো কমেন্টস করবেন, ভালো না লাগলে এড়িয়ে যাবেন। আল্লাহ আমাকে এই পবিত্র জায়গায় দ্বিতীয়বারের মতো আসার তৌফিক দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।  আল্লাহ যদি তৌফিক দেন আবার আসব, বারবার আসব। আপনিও আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন যাতে আপনিও আসতে পারেন এখানে। আল্লাহ কোনটা কবুল করবেন আর কোনটা করবেন না সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। বাজে কমেন্টসগুলো আপনার জীবনের হতাশার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। হিংসা থেকে দূরে থাকবেন জীবন সুন্দর হবে। এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি আরেকটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিলয় লিখেছিলেন, আমার নাটক দেখেই আমাকে চেনেন এবং আমার নাটক দেখেই আমার ভক্ত হয়েছেন। এখন আবার আমাকে বলছেন নাটক ছেড়ে দিতে। কিছুই তো বুঝতেছি না। আমি নাটক ছেড়ে দিলেই কি আপনি নাটক দেখা বন্ধ করবেন? সেটা তো করবেন না। অন্য আরেকজনের নাটক ঠিকই দেখবেন। নাটক যদি এতই খারাপ জিনিস হয়, তাহলে সবাই মিলে নাটক দেখা বন্ধ করে দেন, তাহলে নতুন নাটকও হবে না। আরটিভি/এইচএসকে/এস  
ঠাকুরগাঁওয়ে 'ইত্যাদি'র শুটিংয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় ফের হানিফ সংকেতের কড়া জবাব
ঠাকুরগাঁওয়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে মারামারি ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিচালক হানিফ সংকেত অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেন। তবে মধ্যরাতে স্বল্পসংখ্যক দর্শক নিয়ে আবারও শুটিং শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানের পরিকল্পক, নির্মাতা ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত একটি গণমাধ্যমকে বলেন, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এখানে কোনো ঝগড়া নেই, মারামারি নেই, হামলা নেই। সবাই পরে খুব দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, ‘আপনাদের ভালোবাসে, এটা তো অন্যায় না। ভালোবাসি বলেই এই ঘটনা ঘটেছে।’ এখানে কেউই মারামারি করতে আসেনি, হামলাও করতে আসেনি। এখানে এসেছিল উৎসুক জনতা। তারা এসেছে ‘ইত্যাদি’ দেখবে, আমাদের দেখবে, ‘ইত্যাদি’র শুটিং দেখবে বলে। ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে তিনি বলেন, অনুষ্ঠান শুরু করি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। সাড়ে ৬টা কি ৮টার সময় ঘটনার সূত্রপাত, যখন আমি মঞ্চে উঠলাম। ওঠার পর যখন কথা বললাম, তখনই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এরপর একটা নাচ করলাম। তারপর রবি চৌধুরী ও লিজার গানের অর্ধেকটা করলাম, তখন সেকেন্ড বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ রেখে রাত সাড়ে ৯টা কি ১০টার দিকে আবার শুরু করেছি। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শুটিং করেছি। এদিকে, ইত্যাদির শুটিং সেটে ঘটে যাওয়া বিষয়টি নিয়ে হানিফ সংকেত নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেও বেশ কিছু জায়গায় ঘটনাটি নিয়ে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অবশেষে কড়া জবাব দিলেন এই উপস্থাপক।  শুক্রবার (১০ জানুয়ারি)  দিবাগত রাতে হানিফ সংকেত তার ফেসবুকে লিখেন, ইত্যাদির ঠাকুরগাঁওয়ের ধারণ অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু কিছু মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সংবাদ ও মন্তব্য পড়ে কিছুটা অবাকই হয়েছি। ভেবেছিলাম এসবের কোন জবাব দেব না। কিন্তু এদের মন্তব্য ও সংবাদ দেখে মনে হচ্ছে অনুষ্ঠানস্থলে আমি নয় বোধহয় তারাই উপস্থিত ছিলেন। এদের মন্তব্য পড়ে মনে হয় অনুষ্ঠানস্থলে হামলা, মারামারি, ভাংচুর হয়েছে, যে কারণে আমি অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হই। অথচ ঠাকুরগাঁওবাসী এবং উপস্থিত দর্শকরাই জানেন এ ধরণের কোন ঘটনাই সেখানে ঘটেনি। আমরা দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রত্ননিদর্শনসহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে গিয়ে ইত্যাদি ধারণ করছি প্রায় তিন দশক ধরেই। ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠান পরিকল্পনা করার পর আমরা রাণীশংকৈল (রাজা টংকনাথের) রাজবাড়িতে ইত্যাদি ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেই এবং এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করি। আমরা ৬ হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা করি এবং সন্ধ্যা সাতটার দিকে অনুষ্ঠান শুরু করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আমরা জানতে পারি অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ অপেক্ষা করছেন অনুষ্ঠান দেখার জন্য। অনুষ্ঠানে দর্শক বাছাই, নৃত্য ও গান ধারণ করার পরই হঠাৎ করে বাঁশের ঘেরা সরিয়ে কয়েক হাজার লোক আমন্ত্রণপত্র না পেয়েও তাদের প্রিয় ইত্যাদি দেখার জন্য অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়ে। ফলে অনুষ্ঠানস্থলে সাময়িক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। আমরা পরিস্থিতি অনুধাবন করে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কিছু সময়ের জন্য অনুষ্ঠান ধারণ স্থগিত করি এবং পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার ধারণ শুরু করি। যদিও ইতোমধ্যে স্থগিতের কথা শুনে অনেক দর্শকই চলে যান। পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান ধারণ করি।  তিনি আরও লিখেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণ হামলা, ভাংচুর বা মারামারি নয়, ইত্যাদির প্রতি দর্শকদের ভালোবাসা। আর এই ভালোবাসার কারণেই তারা ইত্যাদির ধারণ দেখার জন্য সবাই উন্মুখ হয়ে ছিলেন। কিন্তু স্থানাভাবে দাঁড়াতেও পারছিলেন না। তাই চেয়ার সরিয়ে দাঁড়াবার স্থান করছিলেন। আর সে কারণেই এই চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এর ফলে কিছুটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। কিন্তু ঘটনাটিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে কেউ কেউ মিথ্যে তথ্য দিয়ে এবং রাজনৈতিক রঙ লাগিয়ে বিভিন্নভাবে অপপ্রচারের চেষ্টা করছেন। কিছু ‘মতলববাজ’ ব্যক্তি নিরাপদ দূরত্বে থেকে নানান পোস্ট দিয়ে নিজের মতলব হাসিলের চেষ্টাও করছে উল্লেখ করে তিনি লিখেন, যারা এই ঘটনাটির সঙ্গে রাজনীতিকে সংযুক্ত করতে চাইছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, ‘আমি যেমন কখনই কোন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হইনি, ইত্যাদিও তেমনি সবসময়ই থেকেছে রাজনীতিমুক্ত’। আর তাই দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও, গত ৬ই সেপ্টেম্বর প্রায় অর্ধলক্ষাধিক দর্শক নিয়ে ইত্যাদি শেরপুর পর্ব এবং ২৯ নভেম্বর কয়েক হাজার দর্শক নিয়ে ইত্যাদি বাগেরহাট পর্ব প্রচারিত হয় এবং প্রতিটি অনুষ্ঠান অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ধারণ করা হয়। সবশেষ তিনি লিখেন, আসলে আমরা ভিউবাজদের ভিউ বিড়ম্বনার স্বীকার হয়েছি। কোন অপপ্রচারই ইত্যাদির সঙ্গে দর্শকদের এই ভালোবাসার বন্ধন ছিন্ন করতে পারবে না। তার প্রমাণ ঠাকুরগাঁওয়ের ইত্যাদি দেখার জন্য দর্শকদের এই বাঁধভাঙা স্রোত। যা আমাদের অভিভূত করেছে। আর দর্শকদের এই ভালোবাসায় ধন্য হয়েই ইত্যাদি এ বছর পদার্পণ করেছে তার ৩৭তম বছরে। আরটিভি/এএ 
বাধ্য হয়েই বিয়ের পিঁড়িতে জোভান-তটিনী!
ছোট পর্দার দুই প্রিয় মুখ জোভান ও তটিনী। একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন তারা। এবার এই দুই তারকা বাধ্য হয়ে করেছেন বিয়ে! প্রেম ও বিয়ে নিয়ে অনেক গল্প উঠেছে পর্দায়। কিন্তু এতটা পরস্পরবিরোধী প্রেমিক-প্রেমিকার মজার ও সাসপেন্সে ভরা চিত্রনাট্য খুব বেশি দেখা যায়নি। যেমনটা দেখা যাচ্ছে সদ্য মুক্তি পাওয়া জোভান-তটিনীর ‘বিয়ের গণ্ডগোল’ থেকে।ন জয়নাল আবেদিনের চিত্রনাট্য আর মাসরিকুল আলমের গল্প ও পরিচালনায় নাটকটি নির্মিত হয়েছে সিএমভির ব্যানারে। গল্পটির প্রধান দুই চরিত্র অনিক আর তন্দ্রা। নাটকটির গল্পে দেখা গেছে, অনিকের মা মনিরা বেগম সাইকো টাইপের। কথায় কথায় আত্মহত্যা করার হুমকি দেন। তাই যখন বন্ধুর মেয়ে তন্দ্রার সঙ্গে অনিকের বিয়ে ঠিক করলেন, তখন প্রেমিকা থাকা সত্ত্বেও অনিকের বলার সাহস হলো না মাকে, যে সে বিয়ে করবে না। অন্যদিকে তন্দ্রারও প্রেমিক আছে। কিন্তু তার বাবা প্রচণ্ড রাগী। তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পুরো এলাকার কারোর নেই। আর তন্দ্রা তো ভীতু অনেক। তাই সেও বাধ্য হয়ে বিয়েতে রাজি হলো। নাটকটিতে, অনিক চরিত্রে দেখা যাচ্ছে ফারহান আহমেদ জোভানকে।আর তন্দ্রা চরিত্রে তানজিম সাইয়ারা তটিনীকে। নির্মাতা মাসরিকুল আলম জানান, নাটকটির গল্প তো এখন সবারই জানা। তবে আমরা চেষ্টা করেছি প্রেম আর ঘর পালানোর গল্প নিয়ে একটা ভিন্নমাত্রার গল্প দেখাতে। দর্শকদের প্রশংসা আর ইউটিউব ভিউ দেখে মনে হচ্ছে, সেই চেষ্টায় আমরা কিছুটা সফল। বলা উচিত, অন্যদের পাশাপাশি নাটকটির দুই প্রাণ জোভান ও তটিনী নিজ নিজ চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন। ‘বিয়ের গণ্ডগোল’-এ অভিনয় করেছেন মনিরা মিঠু, কচি খন্দকার, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, মিলি বাশার প্রমুখ।  আরটিভি/এএ/এআর  
নার্ভাস ছিলেন সাফা
মডেল-অভিনেত্রী সাফা কবির। একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি শোবিজে পা রাখেন। এরপর আরও বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন তিনি। ‘অল টাইম দৌড়ের উপর’ টেলিফিল্মে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন সাফা কবির। এরপর থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে নাটকের পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। এদিকে, সাফা কবির ‘প্রতিধ্বনি’  শিরোনামের একটি নাটকে সম্প্রতি অভিনয় করেছেন। তিনি সাধারণত যে ধরণের চরিত্রে অভিনয় করেন, এ নাটকে সে ধরণের চরিত্র নয়। তাই শুটিংয়ের সময় বেশ নার্ভাস ছিলেন। তারপরও কাজটি করে বেশ খুশি। হররধর্মী গল্পে নির্মিত নাটকটির গল্প এখনই বলতে চান না সাফা। তবে জানালেন ভালো লাগার মতো একটি কাজ হয়েছে। সাফা কবির বলেন, আমার কাছে মনে হয়, আজকাল এমন ধরনের চিত্রনাট্য কম পাই, যেটা আমাকে এক্সাইটেড করে বা যে গল্পটা পড়ে মনে হবে নতুনত্ব আছে। এই নাটকের চিত্রনাট্য পড়ে কাজটি নিয়ে এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করছিল। আমার ক্যারিয়ারে হরর কাজ তেমন একটা করা হয়নি। অনেক বছর আগে ভিকি জাহেদের একটা কাজ করেছিলাম। সেটাও পুরোপুরি হরর নয়। তাই শুরু থেকেই প্রতিধ্বনি নিয়ে আলাদা আগ্রহ ছিল। গল্প, লোকেশন, ক্যামেরা ওয়ার্ক সব মিলিয়ে দুর্দান্ত একটা কাজ হয়েছে। অপেক্ষায় ছিলাম কবে কাজটি আসবে। কারণ, এই নাটক নিয়ে দর্শকের রেসপন্সটা আমি জানতে চাই। শুটিংয়ের সময় ভয়ে ছিলেন উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, হরর কাজ করব, এটা ভেবে যেমন এক্সাইটেড ছিলাম; তেমনই ভয়েও ছিলাম। আমি এমনিতেই ভীতু প্রকৃতির। পুরনো এক বাড়িতে শুটিং হয়েছে। রাতে শুটিংয়ের সময় একেবারে নির্জন হয়ে যেত চারপাশ। আশপাশে কোনো বাড়িঘর নেই, অভিনয় করছি হরর গল্পে। সব মিলিয়ে ভয়ই লাগত। কিন্তু টিমটা ছিল পুরো এনার্জেটিক। সবাই এত কো-অপারেটিভ, এত সুন্দর কাজ করে, আমার তো মনে হয়, নাটকের প্রতিটি ফ্রেম দর্শকের ভালো লাগবে। নির্মাতা সিকদার ডায়মন্ড জানান, প্রতিধ্বনি পুরোপুরি হরর নয়, এটি একটি সাসপেন্স থ্রিলার গল্প। তবে এর সঙ্গে হররের যোগসূত্র আছে। এতে দেখা যাবে, অনেক দিন পর এক লেখক দেশে আসে। গল্প লিখতে সে চলে যায় গ্রামের বাড়ি। সেখানে তার সঙ্গে ঘটতে থাকে অতি প্রাকৃতিক ঘটনা। রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে নামে লেখক। প্রতিধ্বনিতে আরও অভিনয় করেছেন সুদীপ বিশ্বাস দীপ, অশোক বেপারী, সাদিয়া তাজিন প্রমুখ। গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন কিশোর কুমার দাশ। ১১ জানুয়ারি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পাবে নাটকটি।  আরটিভি/এএ