• ঢাকা রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
শাহরুখের সিনেমার গানে ডুয়া লিপার পারফর্ম
বিজয়ের মাসে নতুন সিদ্ধান্ত শাওনের
শুরু হয়েছে বাঙালির মহান বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ বিজয়। আর এই মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের এক সিদ্ধান্তের কথা জানালেন নির্মাতা ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। রোববার (১ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’ গানটি শেয়ার করে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন একটা করে দেশের গান ফেসবুকে শেয়ার করবেন তিনি।  ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বিজয়ের মাস ডিসেম্বর শুরু হলো আজ। ঠিক করেছি ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন একটা করে দেশের গান আমার ফেসবুক পাতায় দিব। যাদের ভালো লাগবে শুনবেন। যাদের ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে মানতে কষ্ট হয় তারা দয়া করে এড়িয়ে যাবেন, আমাকে অবন্ধু (আনফ্রেন্ড) করবেন। সবাইকে বাংলাদেশের বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা।’ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বিজয় দিবস। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে এদিন আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূখণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা।   মূলত এ দিনটিকে সামনে রেখেই প্রতিদিন একটি করে দেশত্ববোধক গান নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করবেন শাওন। আরটিভি/এইচএসকে   
আট বছর পর ‘লাল গোলাপ’ নিয়ে ফিরছেন শফিক রেহমান
দ্বিতীয়বার প্রবাসীর সংসারে অহনা
বাবা হারালেন প্রিয়া ডায়েস
পাকিস্তানি নারী টিকটকারের অপ্রীতিকর ভিডিও ভাইরাল
আমার কোনো অপরাধ নেই, অথচ অভিনয় করতে দেবে না: মামুনুর রশীদ
শিল্পকলা একাডেমিতে দেশ নাটকের ‘নিত্যপুরাণ’র প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই অস্থিরতা বিরাজ করছে নাটকপাড়ায়। এদিকে এমন পরিস্থিতিতে শিল্পকলার মঞ্চে অভিনয় থেকে নাট্যজন মামুনুর রশীদকে সাময়িক দূরে থাকার অনুরোধ করেছেন একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। এমন অনুরোধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একুশে পদকজয়ী এই অভিনেতা।  সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মামুনুর রশীদ। অভিনেতার দাবি, শিল্পকলা একাডেমির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর কথা শুনে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদ। তিনি সে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তারা যেটা বলছেন সেটা শুনেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন।  গণমাধ্যমকে মামুনুর রশীদ বলেন, আমাকে বিপ্লববিরোধী আখ্যা দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’—এই স্লোগান দেওয়া উচিত হয়নি বলে বিবৃতি দিয়েছিলাম। এই বিবৃতি কোনো বিপ্লববিরোধী বিবৃতি ছিল না। অভিনেতা আরও বলেন, পরবর্তীতে নিজেও গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছি। যখন ছাত্রদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছে তখন রাজপথে অবস্থান নিয়েছি। ছাত্র হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে মিছিল করেছি। অন্যায়ের প্রতিবাদে আওয়াজ তুলেছি। তাহলে আমার অপরাধ কোথায়? অথচ, সেই বিবৃতিকে কেন্দ্র করে আমাকে শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত আরোপ করা হয়।  মামুনুর রশীদ বলেন, আমি মঞ্চে অভিনয় করলে নাকি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অথচ, কয়েক দিন আগে নাট্যদল আরণ্যকের ‘ময়ূর সিংহাসন’ নাটক নিয়ে আমি মঞ্চে উঠেছি। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে নাটকের মঞ্চায়ন হয়েছে। পাশাপাশি দর্শকরা পুরো নাটকটি মনোযোগ দিয়ে দেখেছেন এবং উপভোগ করেছেন। উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে বন্ধ হয়ে যায় দেশনাটক দলের প্রদর্শনী। এদিন নাট্যদলটির প্রদর্শনী চলার সময়ে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নাটক বন্ধের নির্দেশ দেন একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। দেশনাটকের এই প্রদর্শনী বন্ধের দাবিতে বিকেল থেকেই নাট্যশালার মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীরা। বাইরের পরিস্থিতি নাকি স্বাভাবিক নয়, মব সৃষ্টি হয়েছে। এমনটা জানিয়ে শিল্পকলার মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ নাটক বন্ধ করতে বাধ্য হন। মূলত, দেশনাটকের সিনিয়র সদস্য এহসানুল আজিজ বাবু ছাত্র আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্র আন্দোলন বিরোধী পোস্ট দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এমনটা করেছেন তারা। এ সময় দেশ নাট্যদলের মাসুম রেজার ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকটি চলছিল।    আরটিভি/এইচএসকে-টি 
অবশেষে ভেঙেই গেল ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার সংসার
ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন দক্ষিণী অভিনেতা ধানুশ ও কিংবদন্তি তারকা রজনীকান্তের বড় মেয়ে ঐশ্বরিয়া। সংসার জীবন ভালোই চলছিল তাদের। তবে সে সুখ বেশিদিন টিকল না। হঠাৎ বিচ্ছেদের সুর বেজে উঠল ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার জীবনে। বার বার সংসার টিকিয়ে রাখতে চাইলেও ব্যর্থ হয়েছেন দুজনেই। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবেই দীর্ঘ ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন তারা।   ২০২২ সালের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলাদা হওয়ার ঘোষণা দেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া। পরে পারিবারিক আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন তারা। এরপর বিগত দুই বছরে তিনটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।  যেখানে ধানুশ-ঐশ্বরিয়াকে সমঝোতার মাধ্যমে দূরত্ব কমিয়ে পুনরায় সংসার করার পরামর্শ দেন আদালত। কিন্তু পুনরায় সংসারে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে তিনবারই ব্যর্থ হন এই দম্পতি। অবশেষে গত ২৭ নভেম্বর ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের আবেদন গ্রহণ করেন চেন্নাই পারিবারিক আদালত। গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া। পারিবারিক আদালতের বিচারক শোভা দেবী শেষবারের মতো তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানতে চাইলে আলাদা হয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন দুজনেই। এরপর বিচ্ছেদের রায় দেন আদালত। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর বিয়ে করেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া। যাত্রা ও লিঙ্গা নামের দুই ছেলে রয়েছে এই দম্পতির। ঐশ্বরিয়ার পরিচালনায় ‘থ্রি’সিনেমায় অভিনয় করেন ধানুশ। এই সিনেমার ‘কলাভেরি ডি’ গানটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।  আরটিভি/এইচএসকে-টি 
এবার নয়নতারার বিরুদ্ধে মামলা
নেটদুনিয়ায় ভাইরাল তিন সেকেন্ডের একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির দুই তারকা নয়নতারা ও ধানুশের দ্বন্দ্ব এখন চরমে। বিষয়টি নিয়ে অভিনেত্রীকে ১০ কোটি রুপির আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন ধানুশ। এবার নয়নতারার বিরুদ্ধে মামলা করলেন তিনি। এদিকে দুই তারকার এমন দ্বন্দ্বে হতাশ তাদের ভক্তরা।  অভিনেতার অভিযোগ, নয়নতারা পরিচালিত নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারি ‘নয়নতারা : বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারি টেল’-এ ধানুশের অনুমতি ছাড়াই কয়েক সেকেন্ডের ফুটেজ ব্যবহার করেছেন। যেটি অভিনেতার প্রযোজনা সংস্থা ‘নানুম রাউডি ধান’র সঙ্গে সম্পর্কিত। মূলত এই অভিযোগে নয়নতারা, তার স্বামী ভিগনেশ শিবান এবং তাদের প্রোডাকশন হাউস ‘রাউডি পিকচার্স প্রাইভেট লিমিটেড’র বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন ধানুশ। অভিনেতার আইনজীবী পিএস রামান আদালতে এই মামলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে এই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানান নয়নতারা এবং নেটফ্লিক্সের পক্ষে আইনজীবী সতীশ পরাশরণ এবং আর পার্থসারথি। কিন্তু শুনানি শেষে বিচারক ধানুশের আবেদনে সম্মতি দেন। এর আগে, নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি নিয়ে ধানুশের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি খোলা চিঠি নয়নতারা লেখেন, এটা অত্যন্ত খারাপ আর আপনার চরিত্র কেমন সেটা ফাঁস করে দেয়। যে ব্যক্তিত্ব আপনি পর্দায় তুলে ধরেন যদি তার অর্ধেকও আপনার মধ্যে থাকত। কিন্তু স্পষ্টতই, যা বলেন তা নিজে অনুশীলন করেন না। অন্তত আমার আর আমার সঙ্গীর সঙ্গে তো না। ধানুশকে নিয়ে তিনি আরও বলেছেন, কিছু মানুষ অন্যকে ছোট দেখাতে পারলে আনন্দ পায়। ধানুশও ঠিক এমন মানুষদেরই একজন। এর আগেও নাকি নায়িকার সাফল্য সহ্য করতে পারেননি তিনি। যদিও নয়নতারা চান ধানুশ যেন তার তথ্যচিত্রটি দেখেন। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ধানুশের।   আরটিভি/এইচএসকে-টি 
ডিসেম্বরে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন কীর্তি সুরেশ, পাত্র কে?
এবার বিয়ের সানাই বাজতে চলেছে দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে। বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেত্রী কীর্তি সুরেশ। দীর্ঘদিনের প্রেমিক অ্যান্টনি থাটিলের গলায় মালা পরাবেন তিনি। আগামী ডিসেম্বরেই গাঁটছড়া বাঁধবেন দুজন। বুধবার (২৭ নেভেম্বর) ইনস্টাগ্রামে প্রেমিক অ্যান্টনির সঙ্গে প্রথম নিজের ছবি শেয়ার করেছেন কীর্তি। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ১৫ বছর ধরে চলছে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে গোয়াতে চার হাত এক হবে কীর্তি-অ্যান্টনির। পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে বিয়ে করবেন তারা। ডিসেম্বরের ৯ তারিখ থেকেই শুরু হয়ে টানা তিন দিন চলবে তাদের বিবাহ উৎসব।  জানা গেছে, থালাপতি বিজয়, অ্যাটলি কুমার, ন্যানিসহ দক্ষিণী অনেক তারকা উপস্থিত থাকবেন কীর্তির বিয়েতে। পাশাপাশি বলিউডের বরুণ ধাওয়ানসহ আরও কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, দুবাইয়ের ব্যবসায়ী অ্যান্টনির সঙ্গে স্কুলে পড়াকালীন থেকেই বন্ধুত্ব কীর্তির। অভিনেত্রীর। সেই বন্ধুত্ব পরবর্তী সময়ে প্রেম হয়ে যায়। ২০০০ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু হলেও নায়িকা হিসেবে ২০১৩ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। এরপর শীর্ষ সব তারকার সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি।  আরটিভি/এইচএসকে/এস  
নিনজা-ডোরেমনের ডাবিং আর্টিস্ট জুনকো হরি আর নেই
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি ডাবিং আর্টিস্ট জুনকো হরি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। জনপ্রিয় কার্টুন নিনজা হাতোরি এবং ডোরেমনে কণ্ঠ দিয়ে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি।  জুনকো হরির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে তার প্রোডাকশন সংস্থা বাওবাব। ধারণা করা হচ্ছে, বার্ধক্যজনিত কারণেই ডাবিং আর্টিস্টের মৃত্যু হয়েছে। ম্যানেজমেন্টের পক্ষ  থেকে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় এই কঠিন সময়ে গোপনীয়তার অনুরোধ জানিয়ে তার শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। মূলত এ কারণেই জুনকো হরির মৃত্যুর খবর দেরি করে জানানো হয়েছে।  ঘোষণায় আরও জানা গেছে যে, শুধু নিকটাত্মীয়দের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল জুনকো হরির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। ভক্তদের এই অনুষ্ঠানে যাওয়া বা উপহার দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য জনপ্রিয় অ্যানিমেশনে নিজের কণ্ঠ দিয়েছেন জুনকো হরি। অ্যানিমেশনে ভূমিকার জন্য পিচ করার পাশাপাশি গেগে নো কিতারো এবং গানবারে গোয়েমন গেম সিরিজে ভিডিও গেম চরিত্র সুনাকাকে এবং সাসুকেতে কণ্ঠ দিয়েছেন জুনকো হরি।  তাছাড়া, টম অ্যান্ড জেরি কার্টুন সিরিজে জেরির কণ্ঠস্বরও দিয়েছিলেন জুনকো হরি। অ্যানিমেশনে ক্রেডিটগুলোর তালিকার মধ্যে রয়েছে অ্যাস্ট্রো বয়, সিন্ডারেলা বয়, অ্যান অফ গ্রিন গেবলস, দ্য গুটি ফ্রগ, লিজেন্ড অফ দ্য মিস্টিক্যাল নিনজা, সিন্দবাদ দ্য সেলর, রেইন বয়, ক্যাট আইড বয়, স্পিড রেসার, লিটল লুলু, টোকিও মেউ’র ভয়েসিং চরিত্রগুলো বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।   আরটিভি/এইচএসকে  
অভিনেতা আলী যাকেরের প্রয়াণ দিবস আজ
অভিনেতা আলী যাকেরকে হারানোর তিন বছর পূর্ণ হলো বুধবার (২৭ নভেম্বর)। ২০২০ সালে আজকের দিনেই সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।  টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকে সমান তালে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। দেশীয় বিজ্ঞাপন শিল্পেও তার অবদান ছিল অনেক।   মঞ্চের ‘নূরলদীন’ কিংবা টেলিভিশনের ‘বড় চাচা’ চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের হৃদয় জায়গা করে নিয়েছিলেন আলী যাকের। ‘বহুব্রীহি’, ‘আজ রবিবার’র মতো নাটক ও ‘নদীর নাম মধুমতী’, ‘লালসালু’ চলচ্চিত্রেও ছিল তার সফল পদচারণা। বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তিনি। ১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার (বর্তমানে জেলা) রতনপুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন আলী যাকের। তার বাবা মাহমুদ তাহের ও মা রেজিয়া তাহের। চার সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।  ১৯৬০ সালে সেন্ট গ্রেগরিজ উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন আলী যাকের। পরবর্তীতে ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এ সময় তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হন।  ব্যক্তিগত জীবনে মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেত্রী সারা যাকেরকে বিয়ে করেন তিনি। এই তারকা দম্পতির দুই সন্তান, পুত্র অভিনেতা ইরেশ যাকের ও কন্যা শ্রেয়া সর্বজয়া।  মঞ্চ ও টেলিভিশনের পাশাপাশি অসংখ্য বেতার নাটকেও অভিনয় করেছেন আলী যাকের। অভিনেতা হিসেবে যেমন সফল, তেমনি নির্দেশক হিসেবেও সফল   এই অভিনেতা। মঞ্চে অনেক নাটক নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— ‘অচলায়তন’, ‘বাকী ইতিহাস’, ‘বিদগ্ধ রমণীকুল’, ‘সৎ মানুষের খোঁজে’, ‘কাঁঠালবাগান’, ‘তৈল সংকট’, ‘এই নিষিদ্ধ পল্লীতে’, ‘কোপেনিকের ক্যাপ্টেন’ এবং ‘নূরলদীনের সারাজীবন’।  ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরণ্যক নাট্যদলের হয়ে ‘কবর’নাটকে অভিনয়ের মাধথ্যমে পথচলা শুরু আলী যাকেরের। তারপর ধারাবাহিকভাবে কাজ করে গেছেন তিনি। ১৯৭৩ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে যোগ দেন অভিনেতা। সবশেষ নিজ নাট্যদলের হয়ে ২০১৭ সালে মঞ্চে অভিনয় করেন তিনি। আলী যাকের কেবল মঞ্চ নাটকের সফল অভিনেতা কিংবা সফল নির্দেশকই নন। মঞ্চ নাটকের অন্যতম সফল সংগঠকও তিনি। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেণ বিশ্বাস পদক ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার।   আরটিভি/এইচএসকে-টি
সেই আবরারকে নিয়ে নির্মিত সিনেমার মুক্তির তারিখ ঘোষণা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর নির্যাতনে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে নিহত হন আবরার ফাহাদ। বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরোধিতা করায় তাকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেই আবরারকে নিয়ে নির্মাণ হয়েছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ নামে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মনপুরা, থ্রি ইডিয়টসহ বেশ কিছু সিনেমার দৃশ্য রিমেক করে আলোচনায় আসা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী শেখ জিসান আহমেদ। যেখানে অভিনয় করেছেন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। আগামী ৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে প্রিমিয়ার। পাশাপাশি আগামী ৩০ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও সিনেমাটির প্রিমিয়ার হবে। এতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অভিনয় করেছেন। সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা জিসান বলেন, আবরারের ঘটনা অবলম্বনে এটি নির্মিত হয়েছে। সরাসরি বায়োপিক নয়। এটির দৈর্ঘ্য ২০-২৫ মিনিট হবে। আমরা নির্মাণের আগে তার পরিবার, বন্ধু, স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। আবরার সম্পর্কে সবকিছু জেনেই নির্মাণে হাত দিয়েছি। জিসান বলেন, বুয়েটের ক্যাম্পাস আর আমাদের ক্যাম্পাসের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। সেটা দর্শক দেখলেই বুঝতে পারবেন। আমরা মূল ঘটনার দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছি। আরটিভি/এএ/এস