ইদলিবে রাশিয়া-তুরস্ক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদিলবে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে রাশিয়া এবং তুরস্ক। ইদলিবে তুর্কি বাহিনীর অবৈধ উপস্থিতি ও সিরিয়ার সীমান্ত লঙ্ঘনের কারণে গত বেশ কিছুদিন ধরে রাশিয়া এবং তুরস্কের মধ্যে মারাত্মক উত্তেজনা দেখা দেয়।
ইদলিব পরিস্থিতি নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাশিয়া সফরে গিয়ে মস্কোয় ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তিন ঘন্টা বৈঠক করেন। এরপর দুই প্রেসিডেন্ট সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, মধ্যরাত থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আমি আশা করি এই চুক্তির ভিত্তিতে ইদলিবের নিরাপদ অঞ্চলের সব ধরনের সামরিক তৎপরতা বন্ধ হবে।
সিরিয়ায় অবৈধভাবে অভিযান চালাচ্ছে তুর্কি বাহিনী
ইরান, তুরস্ক এবং রাশিয়ার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার পর কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় ২০১৭ সালে একটি চুক্তি সই হয়েছিল এবং ওই চুক্তির ভিত্তিতে সিরিয়ার ইদলিবে নিরাপদ অঞ্চল গঠন করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী নিরাপদ অঞ্চলে কোনো দেশ সামরিক তৎপরতা চালাতে পারবে না এবং সেখান থেকে তুর্কি সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠিসহ সব ধরনের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সরে যেতে হবে। কিন্তু নিরাপদ অঞ্চলকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা সিরিয়া এবং রাশিয়ার সেনা অবস্থানে বারবার হামলা চালিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই রাশিয়া ও সিরিয়ার সেনারা নিরাপদ অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এতে তুরস্ক নিরাপদ অঞ্চলে সেনা পাঠায় এবং ত্রিপক্ষীয় সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এদিকে, গতকাল রাশিয়া এবং তুরস্কের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার আগে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সারাকেব শহরে ব্যাপকভাবে গোলাবর্ষণ করেছে। সেখানে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে। এছাড়া, তুর্কি বাহিনী দাবি করেছে তারা বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত চারটি ট্যাংক এবং বেশ কয়েকটি রকেট লাঞ্চার ধ্বংস করেছে।
এমকে
মন্তব্য করুন