• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
কারাগারে যেভাবে দিন পার করছেন ব্যারিস্টার সুমন
কারাগারে বদলে গেছে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের জীবন। সেখানে তিনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করেছেন পাশাপাশি পত্রিকার খুঁটিনাটি পড়ে দিন কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে যান তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চেম্বার পার্টনার এম লিটন আহমেদ। তিনি ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে দেখা করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুরাই বদলে গেছেন ব্যারিস্টার সুমন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছেন। কারাগারে ঘুম থেকে ওঠেন ফজরের আজানের আগেই। আইনজীবী লিটন আহমেদ আরও বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের জেল সঙ্গী হলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। এদের দুজনের সঙ্গে একই রুম শেয়ার করতে হয় ব্যারিস্টার সুমনকে। সাথে রয়েছেন এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাও। লিটন আহমেদ জানান, জেলে ডিভিশন পেয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। তবুও তিনি কষ্টে আছেন তার সঙ্গে মোবাইল ফোন না থাকায়। কারণ আগে সার্বক্ষণিক মোবাইলে নিজের একাউন্টে যেতেন এখন যেটি পুরোপুরিই বন্ধ। আইনজীবী লিটন আহমেদ বলেন, কারাগারে সুমনকে দুটি জাতীয় পত্রিকা দেওয়া হয়, যার খুঁটিনাটি পড়ে দিন কাটান তিনি। তবে ব্যারিস্টার সুমন তার সহকর্মীকে লিটনকে জানান, যেদিন আদালতে তোলা হয় সেদিন মন খারাপ থাকে। কারণ তার হাতে হাতকড়া পড়িয়ে কোর্টে নেওয়া হয়, সেখানে অন্য সহকর্মীদের দেখে আবেগী হয়ে পড়েন তিনি। ব্যারিস্টার সুমন তার চেম্বার পার্টনার লিটনকে আরও জানান, জেল জীবন কষ্টের কারণ সন্ধ্যা নামার মুখেই কারা সেলে ঢুকতে হয়, খাবার খেতে হয়। এটা স্বাভাবিক জীবনে মানা কষ্টের। বাইরের খাবার তেমন একটা পান না। এম লিটন আহমেদ আরও জানান, কারাগারে থেকে পরিবারকে অনেক মিস করেন ব্যারিস্টার সুমন। কারণ সপ্তাহে মাত্র একবার পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। সারাদিন কি করেন ব্যারিস্টার সুমন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাটাহাটি করেন। কখনো সকালে, কখনো বিকেলে। তবে সেখানেও তাকে দেখলে অন্য কয়েদিরা ‘সুমন ভাই’ ‘সুমন ভাই’ ডাক শুরু করেন। এতে কখনো কখনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে সেলের বাইরে হাটাতেও কিছু বেগ পেতে হয় তাকে। উল্লেখ্য, ৫ অগাস্টের আগে-পরে যে কয়েকজন এমপি-মন্ত্রীর দেশ ছাড়ার খবর বেরিয়েছিল তার মধ্যে ব্যারিস্টার সুমনের নামও ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সরকার পতনের প্রায় আড়াই মাস পর ২১ অক্টোবর গভীর রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। এরপর সেই মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ৬ মামলা হয়েছে। আরটিভি/একে
শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন, সেই যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ভারতে শেখ হাসিনার ১০০ দিন: কীভাবে রয়েছেন, সামনেই বা কী?
সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম গ্রেপ্তার
যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ গ্রেপ্তার
আ.লীগের কার্যালয় ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পাহারা
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে রাজধানীতে। জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত দলটির কর্মসূচি প্রতিহত করতে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও পাহারা দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।  রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে তাদের অবস্থান দেখা গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরাও জড়ো হচ্ছেন সেখানে। পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচি ঘিরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে গুলিস্তানে নূর হোসেন চত্বর ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। এ ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে অন্যান্য দিনের তুলনায় পুলিশের সদস্যদের বাড়তি উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।  এর আগে, গতকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট ১০ নভেম্বর বিকেলে ৩টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানায় দলটি। এ কর্মসূচি প্রতিহত করতে গুলিস্তানে শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই অবস্থান নেয় বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন। রাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী সন্দেহে দুজনকে মারধরের পর দেওয়া হয় পুলিশে। এদিকে রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে জিরো পয়েন্টে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এরপর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেছেন। আরটিভি/এসএইচএম/এআর  
আমু গ্রেপ্তারের পর আলোচনায় পালিত মেয়ে, কে এই সুমাইয়া
হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ৬ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে তার পালিত মেয়ে সুমাইয়া হোসেন। জানা গেছে, অনেক বছর আগে শ্যালিকা মেরী আক্তারের মেয়ে সুমাইয়া হোসেনকে দত্তক নেন নিঃসন্তান আমির হোসেন আমু। সুমাইয়ার আসল পিতা কিরন। তিনি সর্বশেষ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুনের আপন ছোট ভাই ও শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে আমুর এপিএস ছিলেন।  স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, নরসিংদীতে বাড়ি হলেও কিরন থাকতেন আমির হোসেন আমুর নির্বাচনী এলাকা ঝালকাঠিতে। সেখানে শুধু সম্পদ ভাণ্ডারের দেখাশোনা আর পার্সেন্টেজ আদায় নয়, নির্বাচনী এলাকায় আমুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও দেখাশোনা করতেন তিনি। কিরনের মাধ্যমেই নির্বাচনি এলাকা থেকে অবৈধ পথে শত শত কোটি টাকা আয় করেছেন আমু। যার প্রায় পুরোটাই এখন দুবাইতে আমুর পালিত মেয়ে সুমাইয়ার কাছে। হুন্ডির মাধ্যমে তার কাছে শতকোটি টাকা পাঠয়েছেন আমু। দুবাইয়ে বসবাসকারী সুমাইয়া সেখানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছেন। আরটিভি/এসএপি/এআর  
যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আটক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর মগবাজারের নিজ বাসা থেকে তাকে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল আটক করে। আটককৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কামারখোলা গ্রামে।  নবাবগঞ্জ থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোয়াজ্জেম হোসেনের নামে নবাবগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা রয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। গত ২ ও ২১ সেপ্টেম্বর নবাবগঞ্জ থানায় এ মামলা দুটি দায়ের হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসগর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আটকের পর ডিবি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পরে নবাবগঞ্জ থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর নবাবগঞ্জে দলের কোনো জ্যেষ্ঠ নেতা আটকের খবর পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেনই প্রথমে আটক হলেন। আরটিভি/আইএম/এআর
দিল্লিতে কোথায় আছেন শেখ হাসিনা, জানাল ভারতীয় গণমাধ্যম
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তাকে এক মুহূর্তের জন্যও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সময় গুঞ্জন ওঠে তিনি ভারত ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি দিচ্ছেন। তবে শেখ হাসিনা যে ভারতেই আছেন সেটি নিশ্চিত করলেও তার অবস্থান সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয়নি মোদি সরকার। অবশেষে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’ শেখ হাসিনার অবস্থান নিশ্চিত করে সংবাদ প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত দুই মাস ধরে নয়াদিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনের একটি সেইফ হাউসে বসবাস করছেন।  সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, লুটিয়েন্স বাংলো এলাকাটিতে ভারতের মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়ির মতো একটিতে শেখ হাসিনাকে থাকতে দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রোটোকলসহ মাঝে মাঝে দিল্লির লোধি গার্ডেনে হাঁটাহাঁটি করেন। তার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। পলাতক হাসিনার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার রক্ষার স্বার্থে দ্য প্রিন্ট বাড়িটির প্রকৃত ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করেনি। এদিকে, জুলাই-আগস্টে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে হাজিরের নির্দেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।  উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট একটি বিমানে করে ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা ও তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ। বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছানোর পরপরই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও দেশটির উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর দুদিন পর তাকে হিন্দন বিমান ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।  আরটিভি/আরএ/এসএ
স্বামীর কবরে অন্তিম শয়নে মতিয়া চৌধুরী
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর দাফন আজ (১৭ অক্টোবর) বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। দুই দফা জানাজা শেষে মতিয়া চৌধুরীকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার স্বামী বজলুর রহমানের কবরে শায়িত করা হয়। মতিয়া চৌধুরী গত বুধবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে দাফনের জন্য শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নতুন জায়গা চাওয়া হয়েছিল। তবে সিটি করপোরেশন তাতে সাড়া না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত স্বামীর কবরে তাকে দাফন করা হয়।  বৃহস্পতিবার সকালে মতিয়া চৌধুরীর কফিন রাজধানীর রমনা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের বাসভবনে নেওয়া হয়। সেখানে প্রথম জানাজায় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন। এ সময় আওয়ামী লীগের ব্যানারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বাদ জোহর রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। জানাজার আগে মতিয়া চৌধুরীর জন্য সবার কাছে দোয়া চান তার ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী। পরে মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার কফিনে আলাদাভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। মতিয়া চৌধুরীর জন্ম পিরোজপুরে, ১৯৪২ সালের ৩০ জুন। তাঁর বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী। মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরও তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে থাকায় জানাজায় দলটির কোনো পর্যায়ের নেতাকে দেখা যায়নি। তবে দলটির সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা এবং আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কিছু কর্মী জানাজায় অংশ নেন। জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের  সাবেক সভাপতি ও অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তবে মতিয়া চৌধুরীর জানাজাকে ঘিরে দুই স্থানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি।  আরটিভি/এআর
মতিয়া চৌধুরীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, জাতীয় সংসদের উপনেতা ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে রমনা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে তার বাসভবনের সমানে প্রথম জানাজা পড়া হয়। এর আগে, মতিয়ার চৌধুরীকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স তার বাসভবন রমনা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে পৌঁছায়। সেখানে শেষ বিদায় জানাতে ভিড় করেন তার ভক্ত-অনুসারী ও স্বজনরা। এরপর সেখানে জানাজা সম্পন্ন হয়। এর পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের জন্য নতুন জায়গা চাওয়া হয়েছে সিটি করপোরেশনের কাছে। জায়গা পেলে সেখানে দাফন করা হবে, না পেলে তার স্বামী বজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হবে। শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের দাবি থাকলেও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তার মরদেহ সেখানে নেওয়া হবে না বলেও জানান মাসুদুল। গতকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। প্রসঙ্গত, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ব্যক্তিজীবনে ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী। ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপে) যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রূষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন মতিয়া চৌধুরী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়। শেরপুর-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ১ নম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। এ ছাড়া ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। আরটিভি/একে-টি
মতিয়া চৌধুরীর জানাজা বৃহস্পতিবার, দাফন বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে 
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর জানাজা আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রয়াত মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামী প্রয়াত সাংবাদিক বজলুর রহমানের কবরের পাশে শায়িত করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ব্যক্তিজীবনে ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী। ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপে) যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রূষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন মতিয়া চৌধুরী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়। শেরপুর-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ১ নম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। এ ছাড়া ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি।  আরটিভি/একে