• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
তোফায়েল আহমেদের ব্যাংক হিসাব তলব
ঢাকা-১০ আসনের সাবেক এমপি শফিউল গ্রেপ্তার
ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর রোডের ৪ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২০ সালে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী শফিউল। মূলত তিনি আওয়ামী লীগের একজন ব্যবসায়ী নেতা এবং এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএয়ের সাবেক সভাপতি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই বিভিন্ন হত্যা ও হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ তালিকায় এবার যুক্ত হলেন সাবেক এমপি শফিউল ইসলামও।  আরটিভি/এআর/এস
প্রিজন ভ্যান থেকে যা বললেন পলক
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন গ্রেপ্তার
রাজধানী থেকে আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদন / রাজনৈতিক বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে প্রচার করেছে আওয়ামী লীগ 
কলকাতায় ট্রাকচালককে পিটিয়ে আ.লীগ ও যুবলীগের ৪ নেতা গ্রেপ্তার
এক ট্রাকচালককে পিটিয়ে সিলেটের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪ নেতা কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। রোববার ভোরে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান (মুক্তি), সহসভাপতি আবদুল লতিফ (রিপন) ও সদস্য ইলিয়াস হোসেন (জুয়েল)। জানা যায়, ভারতের কলকাতা থেকে সিলেটের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করে মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি থানার পুলিশ। রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোরে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিম জৈন্তা হিল জেলার একজন ট্রাকচালককে মারধরের অভিযোগে গত মাসে ডাউকি থানায় মামলা হয়েছিল। এ বিষয়ে ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, রোববার ভোরে মেঘালয়ের ডাউকি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে ডাউকি থানায় একজন মামলা করেছেন। এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ দিকে মেঘালয়ের পত্রিকা দ্য শিলং টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা, গ্রেপ্তার ৪ বাংলাদেশিকে রোববার রাতে কলকাতা থেকে পশ্চিম জৈন্তা হিল জেলার প্রধান শহর জোয়াইয়ে আনা হয়। ট্রাকচালককে মারধরের অভিযোগে ডাউকি থানায় হওয়া মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আরটিভি/এমকে/এআর
শেখ হাসিনাসহ ১৮৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন
রাজধানীর উত্তরায় গুলিতে আলী হুসেন নামে এক আন্দোলনকারী নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলায় আরও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।   রোববার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাগীব নুরের আদালতে মফিজুল ইসলাম সানা নামে এক ব্যক্তি এই মামলার আবেদন করেন। তিনি আলী হুসেনের আত্মীয় বলে দাবি করেছেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জানিয়েছেন, বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আলী হুসেনের ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না বা কোনো তদন্ত চলছে কি না তা ২০ কর্মদিবসের মধ্যে উত্তরা-পূর্ব থানা পুলিশকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।   মামলার আবেদনে অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী, হাবিব হাসান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকার প্রমুখ। প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরা-পূর্ব থানার আজমপুর-হাউজবিল্ডিং এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশগ্রহণ করেন আলী হুসেন। সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আরটিভি/কেএইচ
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দীপু, মেনন, ইনু ও পলক
রাজধানীর রামপুরা, হাতিরঝিল ও শাহবাগ থানার নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও জুনায়েদ আহমেদ পলককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমাবার (২ ডিসেম্বর) সকালে পলক ছাড়া বাকি আসামিদেরকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং সাবেক বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় ২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার মামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রামপুরায় হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনুকে এবং শাহবাগ থানার হত্যা মামলায় দীপু মনি, জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো ইমরান আহম্মেদের আদালত নতুন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদের মদদ রয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন মামলায় দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন,  হাসানুল হক ইনু ও জুনায়েদ আহমেদ পলক রিমান্ডে ছিলেন। আরটিভি/কেএইচ/এস
বঙ্গবাজারে অগ্নিসংযোগ, ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর বঙ্গবাজারে প্রায় দেড় বছর আগে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।    শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর।   এর আগে কামাল হোসেন রিপন এক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন ও সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিনসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় বাদীপক্ষ অভিযোগ করেছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বঙ্গবাজারে আগুন দিয়ে দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে বঙ্গবাজারের আগুনের ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।   প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ভোর ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। উদ্ধারকাজ ও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীও। সবার চেষ্টায় প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারে লাগা ভয়াবহ আগুন তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে।  তবে ৭৫ ঘণ্টা পর অর্থাৎ ৭ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে পুরোপুরি আগুন নেভে। ওই সময় বঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনায় আনুমানিক দেড় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। এ ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটি ও ফায়ার সার্ভিস গঠিত তদন্ত কমিটি তখন বলেছিল, মশার কয়েলের আগুন বা বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে বঙ্গবাজারে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনায় ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটি ওই প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। তারা বলেছিল, মার্কেটের তৃতীয় তলায় একটি টেইলার্স থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সিগারেটের অথবা মশার কয়েলের আগুন থেকে এই ঘটনা ঘটে। এতে ৩ হাজার ৮৪৫ জন ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারান এবং ৩০৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে সিটি করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়।  আরটিভি/কেএইচ
জয়ের নামও উচ্চারণ করতে চাই না: শফিক রেহমান
জয়ের নামও উচ্চারণ করতে চাই না মন্তব্য করে সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছেন, জয় কী করে, কেন আমেরিকা গেল, তা খুঁজে বের করুন। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর)  অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।  এর আগে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত শফিক রেহমানের জামিন মঞ্জুর করেন। শফিক রেহমান বলেন, অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় আমাকে এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। বিএনপির যারা জেলে আছে তাদেরকেও এক ঘোষণায় খালাস দিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে শফিক রেহমান বলেন, তাকে (ইউনূস) যেতে দেবেন না, ধরে রাখুন। কাজ করার সুযোগ দিন। ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ দিনে যাবে না। এ সময় তিনি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বানও জানান।      এর আগে, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ জন্য তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।   ৩০ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আদালত। ওইদিন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা রিকল করেন।   প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় পুলিশের করা এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শফিক রেহমান। পাঁচ মাস কারাগারেও থাকতে হয়েছিল তাকে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর  গত ১৮ আগস্ট দেশে ফেরেন তিনি। আরটিভি/কেএইচ-টি
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।  বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে রাজাপুর উপজেলা সদরের গোডাউনঘাট এলাকায় ‘মেহজাবিন’ নামে শাহজাহান ওমরের নিজবাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে ৭ থেকে ৮ জন যুবক বাড়ির প্রাচীরের বাইরে থেকে ওই ভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এতে পূর্ব পাশের ভবনের সামনের দুটি ও উত্তর পাশের একটি গ্লাসের আংশিক ভেঙে পড়ে যায়। হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই ভবনে বসবাসকারী শাহজাহান ওমরের ভাগ্নে রফিকুল ইসলাম দুলাল। তিনি জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে ৭ থেকে ৮ জন যুবক বাড়ির প্রাচীরের বাইরে থেকে ভবনের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। তারা তিনটি গ্লাস ভাঙচুর করে চলে যায়। বর্তমানে বরিশালে অবস্থান করা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ওমর অভিযোগ করেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সেক্রেটারি নাসিম আকনের নেতৃত্বে তার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলার ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলেও জানান তিনি।  প্রসঙ্গত, বিএনপির সঙ্গে প্রায় চল্লিশ বছরের রাজনীতিক সম্পর্ক শেষ করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন শাহজাহান ওমর। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক রয়েছে তিনি। আরটিভি/কেএইচ-টি
কারাগারে যেভাবে দিন পার করছেন ব্যারিস্টার সুমন
কারাগারে বদলে গেছে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের জীবন। সেখানে তিনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করেছেন পাশাপাশি পত্রিকার খুঁটিনাটি পড়ে দিন কাটাচ্ছেন। সম্প্রতি ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে যান তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চেম্বার পার্টনার এম লিটন আহমেদ। তিনি ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে দেখা করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুরাই বদলে গেছেন ব্যারিস্টার সুমন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছেন। কারাগারে ঘুম থেকে ওঠেন ফজরের আজানের আগেই। আইনজীবী লিটন আহমেদ আরও বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের জেল সঙ্গী হলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। এদের দুজনের সঙ্গে একই রুম শেয়ার করতে হয় ব্যারিস্টার সুমনকে। সাথে রয়েছেন এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাও। লিটন আহমেদ জানান, জেলে ডিভিশন পেয়েছেন ব্যারিস্টার সুমন। তবুও তিনি কষ্টে আছেন তার সঙ্গে মোবাইল ফোন না থাকায়। কারণ আগে সার্বক্ষণিক মোবাইলে নিজের একাউন্টে যেতেন এখন যেটি পুরোপুরিই বন্ধ। আইনজীবী লিটন আহমেদ বলেন, কারাগারে সুমনকে দুটি জাতীয় পত্রিকা দেওয়া হয়, যার খুঁটিনাটি পড়ে দিন কাটান তিনি। তবে ব্যারিস্টার সুমন তার সহকর্মীকে লিটনকে জানান, যেদিন আদালতে তোলা হয় সেদিন মন খারাপ থাকে। কারণ তার হাতে হাতকড়া পড়িয়ে কোর্টে নেওয়া হয়, সেখানে অন্য সহকর্মীদের দেখে আবেগী হয়ে পড়েন তিনি। ব্যারিস্টার সুমন তার চেম্বার পার্টনার লিটনকে আরও জানান, জেল জীবন কষ্টের কারণ সন্ধ্যা নামার মুখেই কারা সেলে ঢুকতে হয়, খাবার খেতে হয়। এটা স্বাভাবিক জীবনে মানা কষ্টের। বাইরের খাবার তেমন একটা পান না। এম লিটন আহমেদ আরও জানান, কারাগারে থেকে পরিবারকে অনেক মিস করেন ব্যারিস্টার সুমন। কারণ সপ্তাহে মাত্র একবার পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। সারাদিন কি করেন ব্যারিস্টার সুমন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাটাহাটি করেন। কখনো সকালে, কখনো বিকেলে। তবে সেখানেও তাকে দেখলে অন্য কয়েদিরা ‘সুমন ভাই’ ‘সুমন ভাই’ ডাক শুরু করেন। এতে কখনো কখনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে সেলের বাইরে হাটাতেও কিছু বেগ পেতে হয় তাকে। উল্লেখ্য, ৫ অগাস্টের আগে-পরে যে কয়েকজন এমপি-মন্ত্রীর দেশ ছাড়ার খবর বেরিয়েছিল তার মধ্যে ব্যারিস্টার সুমনের নামও ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সরকার পতনের প্রায় আড়াই মাস পর ২১ অক্টোবর গভীর রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। এরপর সেই মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ৬ মামলা হয়েছে। আরটিভি/একে