• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
বিএনপির সংস্কার প্রস্তাবে যা যা থাকছে
দেশ এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে: শামা ওবায়েদ
ফ্যাসিবাদের পতনের পরে বাংলাদেশ এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে মন্তব্য করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, এতে একদিকে যেমন একটা প্রশান্তি আছে, তেমনি একটা অশান্তিও বিরাজ করছে। দেশটাকে সঠিক পথে নিতে না পারলে ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন বৃথা হয়ে যাবে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন। শামা ওবায়েদ বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের ফলে এখন আমরা সবাই নিশ্বাস নিতে পারছি, কথা বলতে পারছি, শান্তিতে রাতে ঘুমাতে পারছি। তবে এই প্রশান্তির সঙ্গে একটা অশান্তিও রয়েছে। দেশে জিনিসপত্রের দাম এখনও কমছে না। অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়নি। এ ছাড়া রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ তো রয়েছেই। প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, আতাউর রশিদ বাচ্চু, আলী আশরাফ নান্নু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন, আজম খান ও তানভীর চৌধুরী রুবেল, ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, যুগ্ম আহ্বায়ক এবি সিদ্দিক মিতুল, মো. তৈয়ব আক্তার টুটুল, ওবায়দুল কাদের, আরিফুজ্জামান অপু, আলমগীর ভূঁইয়া, মো. এমদাদুল হক, সদস্য কাইয়ুম মিয়া, মো. কামরুল ইসলাম, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. লিয়াকত আলী, মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম রফিকুজ্জামান, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েস, জেলা জাসাসের আহ্বায়ক সৈয়দ রাশেদুল আলম, সদস্য সচিব আরিফ বকু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈকত হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/আইএম/
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
নতুন ইসিদের কথা কম বলে কাজ বেশি করতে হবে: আলাল
খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সশস্ত্র বাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছিল: ফখরুল
সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
জয়ের নামও উচ্চারণ করতে চাই না: শফিক রেহমান
জয়ের নামও উচ্চারণ করতে চাই না মন্তব্য করে সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছেন, জয় কী করে, কেন আমেরিকা গেল, তা খুঁজে বের করুন। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর)  অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।  এর আগে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত শফিক রেহমানের জামিন মঞ্জুর করেন। শফিক রেহমান বলেন, অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় আমাকে এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। বিএনপির যারা জেলে আছে তাদেরকেও এক ঘোষণায় খালাস দিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে শফিক রেহমান বলেন, তাকে (ইউনূস) যেতে দেবেন না, ধরে রাখুন। কাজ করার সুযোগ দিন। ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ দিনে যাবে না। এ সময় তিনি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বানও জানান।      এর আগে, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ জন্য তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।   ৩০ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আদালত। ওইদিন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা রিকল করেন।   প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় পুলিশের করা এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন শফিক রেহমান। পাঁচ মাস কারাগারেও থাকতে হয়েছিল তাকে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর  গত ১৮ আগস্ট দেশে ফেরেন তিনি। আরটিভি/কেএইচ-টি
১৫ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে সর্বশেষ ২০০৯ সালে সেনাকুঞ্জে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেই হিসেবে দীর্ঘ ১৫ বছর পর এবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে যাবেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।  শায়রুল কবির খান আরও জানান, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। ওই দিন রাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এস এম কামরুল আহসান এই আমন্ত্রণপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে পৌঁছে দেন।  বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী এ বি এম আবদুস সাত্তার জানান, ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে তাকে ঢাকা সেনানিবাসের বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদের পর এবারই প্রথম তিনি সশস্ত্র বাহিনীর অনুরোধে শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানটিতে যোগ দিতে সম্মত হয়েছেন। তার সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ প্রায় ৩০ জন সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিকাল ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে সেনাকুঞ্জের উদ্দেশে বের হবেন খালেদা জিয়া। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাহিনীর একটি বিশেষ দল তাকে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে নিয়ে যাবেন এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে তাকে পৌঁছে দেবেন।  তিনি আরও জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনকে আমন্ত্রণ জানানোর আগে একই দিন দুপুরের দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দ মিলে ৩০ জন নেতার নামে আমন্ত্রণপত্র গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সেনা কর্মকর্তারা দিয়ে গেছেন। আরটিভি/কেএইচ
মানহানি মামলায় তারেক রহমানকে অব্যাহতি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা এক মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় আরও ৬০ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ নভেম্বর) গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক পাভেল সুইট এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মাহবুবুর রহমান তারেক রহমানসহ ৬০ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম দ্বীপ বাদী হয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মন্তব্য করায় গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। আরটিভি/আইএম
সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান: তারেক রহমান
সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য ও শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান। ভবিষ্যতেও এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বুধবার (২০ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বাণীতে এমন মন্তব্য করেন তিনি। বাণীতে তারেক রহমান বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সব সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্য ও তাদের পরিবারের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি। এই দিনে সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য ও শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ইতিহাসের এক সোনালি অধ্যায়। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছেন। বিশ্ব শান্তি রক্ষায়ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অগ্রগণ্য। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কর্মদক্ষতা ও উঁচুমানের পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনছেন। দেশের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আজ জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।   বাণীতে তারেক রহমান আরও বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রেখে একটি আধুনিক, গতিশীল ও দক্ষ পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন। আজকের দিনে আমি তার স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। এ সময় তিনি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে জীবনদানকারী বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে।   বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার সময় থেকেই বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যেকোনো আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সমকক্ষ। পরে বিএনপি সরকারে থাকতে সশস্ত্র বাহিনীকে শহীদ জিয়ার গৃহীত কর্মসূচির ধারাবাহিক বাস্তবায়নের অগ্রগতি সাধিত করে এই বাহিনীকে আরও আধুনিকায়ন ও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। তারেক রহমান সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। আরটিভি/এএইচ/এস
সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় সেনাকুঞ্জের উদ্দেশ্যে গুলশানের বাসা থেকে রওনা হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। বুধবার (২০ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপাসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার। এর আগে, ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সবশেষ সিলেট সফর করেন তিনি। এরপর এই প্রথম প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন খালেদা জিয়া। জানা গেছে, খালেদা জিয়ার পাশাপাশি ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপির ২৬ জন আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান পদমর্যাদার নেতারা।  সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে. জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল এ এস এম কামরুল আহসান আমন্ত্রণপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে পৌঁছে দেন। এদিকে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ সিনিয়র নেতার নামে আমন্ত্রণপত্র দলের গুলশান কার্যালয়ে চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আবদুস সাত্তারের কাছে সেনা কর্মকর্তারা দিয়ে গেছেন। সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। আরটিভি/একে/এস
শেখ হাসিনার পুনরুত্থান হলে অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ রক্ষা পাবেন না: রিজভী 
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুনরুত্থান হলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ রক্ষা পাবেন না বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এমনটা হলে অনেক রাজনীতিবিদও বিপাকে পড়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।   বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।  অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, উপদেষ্টা নিয়োগে আরও সতর্ক থাকতে হবে। নিরপেক্ষতা দেখাতে গিয়ে ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার রাস্তা করা যাবে না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পুনরুত্থান হলে এই সরকারের কেউ কিংবা অনেক রাজনীতিবিদই রক্ষা পাবেন না। এজন্য জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। বিএনপির এ নেতা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান কারাগারে বসে দেশে অরাজকতা করার চেষ্টা করলেও সেটি বন্ধ করতে পারছে না সরকার।  রিজভী আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার কর্মকাণ্ড বেশ রহস্যজনক। প্রশাসনে এখন যারা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে তাদেরই হয়রানি করছেন উপদেষ্টা খোদা বখস। আরটিভি/এসএইচএম/এস
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৯তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তারেক রহমান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। তার ডাক নাম পিনো। তারেক রহমান ১/১১ সরকারের সময় বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ২০০৮ সালে লন্ডনে চলে যান। এরপর থেকে তিনি সপরিবারে সেখানেই বসবাস করছেন। জিয়াউর রহমানের গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বগুড়া কমিটির সদস্য হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবনের যাত্রা শুরু। ১৯৮৮ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে তারেক রহমান বগুড়া জেলার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য হন।  ২০০১ সালের নির্বাচনে মায়ের পাশাপাশি তারেক রহমানও দেশব্যাপী নির্বাচনি প্রচার চালান। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ কাউন্সিলে তারেক রহমান দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে (এখন কারামুক্ত তিনি) তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। জন্মদিনে কোনো অনুষ্ঠান নয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোনো প্রকার অনুষ্ঠান করা হবে না বলে আগেই ঘোষণা এসেছিল। এবার বিষয়টি আবার স্মরণ করিয়ে দিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবারও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, ২০ নভেম্বর বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোনো প্রকার অনুষ্ঠান হবে না।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিভি/এসএপি