• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ কম ছিল: রিজভী
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সবশেষ যা জানা গেল
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। তবে নতুন খবর হলো, দু-একদিনের মধ্যেই বিএনপি নেত্রীর ‘লাইন অব ট্রিটমেন্ট’ সম্পর্কে জানা যাবে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স এবং সবকিছু বিবেচনায় রেখে চিকিৎসা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড এবং আমরা সবাই মিলে দু-একদিনের মধ্যে হয়তো একটা সিদ্ধান্তে আসব যে, ওনার লাইন অব ট্রিটমেন্টটা কি হবে। পরে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় লন্ডন ক্লিনিকে ৮ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।  তিনি আরও বলেন, দেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়েও মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা আমাদের প্রশংসা করেছেন। চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এটা নির্ভর করছে এখানকার চিকিৎসকদের ওপর। তারা যদি মনে করেন উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা দরকার, তখন সেটা করা হবে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সময় বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে স্বাগত জানাতে তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। এরপর যখন হুইল চেয়ারে করে মা খালেদা জিয়া ছেলের কাছে যান, তখন সঙ্গে সঙ্গে তাকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানান তারেক রহমান। মুহূর্তেই সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরে বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর আগে, উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে দলের মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতারা তাকে বিদায় জানান। আরটিভি/আইএম
ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা
রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে, উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান সালাউদ্দিনের  
কারামুক্ত হয়েই জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বাবরের শ্রদ্ধা
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা    
ভারত শেখ হাসিনার পতন মানতে না পেরে ষড়যন্ত্র করছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিশ্বজুড়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা হচ্ছে। অথচ ভারত শেখ হাসিনার পতন মানতে না পেরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা সব আইনকে পদদলিত করে দেশের সব গণতান্ত্রিক স্তম্ভগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। এবার দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।  তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা যেসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, সেগুলো পুনর্গঠন করতে হবে।  এ সময় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিও জানান রিজভী। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, হাসিনা নাকি বিক্রি হয় না? অথচ তিনি ভারতের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন। একইসঙ্গে দুর্নীতি ও লুটপাট করে দেশের বাইরে সব অর্থ পাচার করেছেন।  তিনি আরও বলেন, লুটপাট করে, হত্যা-গুম করে হাসিনা বিনাভোটে ক্ষমতায় বসেছিলেন। আরটিভি/আইএম/এস
সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে বিএনপি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে আজ বিকেলে রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে এক সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে অংশ নেবে বিএনপি। ইতোমধ্যে সে প্রস্তুতিও শুরু করেছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। জানা গেছে, অনুষ্ঠেয় সর্বদলীয় বৈঠকে বিএনপি অংশ নেবে। এতে দলের পক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ যোগ দেবেন। সে লক্ষ্যে অল্প কিছু সময়ের মধ্যে তিনি নিজের গুলশানের বাসা থেকে রওনা হবেন। এর আগে, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৈঠকের তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের ওপর একটি সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করবে। এ ছাড়া মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সর্বদলীয় এ বৈঠকের কথা জানান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, এই বৈঠকের ভেতর দিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি দলিল প্রণীত হবে। সেদিনই স্পষ্ট হবে, কবে ঘোষণাপত্রটি জারি করব এবং সরকার কীভাবে ঘোষণাপত্র জারি করার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে। উপদেষ্টা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের একটি প্রেক্ষাপট-প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হবে। সব রাজনৈতিক দল এবং পক্ষের মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষিত হবে। আরটিভি/আইএম/এস
সর্বদলীয় বৈঠকে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে যে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, তাতে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এদিন সকালে কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশনের স্ক্রলে বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে উদ্ধৃত করে ‘বিএনপি সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে না’ এমন খবর প্রকাশ হয়। কিন্তু বিবিসিকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য  টুকু ওই খবরকে ‘ভুল’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছন, বিকেলে ওই বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ যাবেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক চলছে এখন, এরপরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিষয়বস্তু নিয়ে বিএনপি ও তার আন্দোলনের শরিকদের দ্বিমত রয়েছে। তাই আজ বৈঠকে গেলেও এই মুহূর্তে ঘোষণাপত্র দেওয়া ঠিক হবে না বলে বিএনপি জোট তাদের অবস্থান জানিয়ে আসবে। অন্যদিকে ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেগুলেশন’ অর্থাৎ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে কালক্ষেপণ করা হলে দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এর আগে, বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৈঠকের তথ্য জানানো হয়। প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের ওপর একটি সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করবে। এ ছাড়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সর্বদলীয় বৈঠকের কথা জানান। মাহফুজ আলম বলেন, এই বৈঠকের ভেতর দিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি দলিল প্রণীত হবে। সেদিনই স্পষ্ট হবে, কবে ঘোষণাপত্রটি জারি করবো এবং সরকার কীভাবে ঘোষণাপত্র জারির করার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে। আরটিভি/একে
১৭ বছর পর কারামুক্ত বাবর
দীর্ঘ ১৭ বছর কারাবন্দি জীবন কাটানোর পর অবশেষে মুক্ত হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।   বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন তিনি। বাবরের কারাগার থেকে বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স-ঢাকা বিভাগ) মো. জাহাঙ্গীর কবির। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দায় থেকে খালাস পান লুৎফুজ্জামান বাবর। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের মাধ্যমে সব মামলা থেকে খালাস পান বাবর। ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকার পতন হওয়ার পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান তিনি।  এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান বাবর। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে অষ্টম সংসদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আরটিভি/এসএইচএম  
সর্বদলীয় বৈঠকে বিএনপি অংশ নেবে না এমন কথা আমি বলিনি: টুকু
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে আজ রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে এক সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এই বৈঠকে বিএনপি অংশ নেবে না। আজ সকাল থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে উদ্ধৃত করে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। এবার বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপি বৈঠকে অংশ নেবে না—এমন কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি জানি না। বিএনপি বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না এমন কথাও আমি বলিনি।  এদিকে, বিকেলে অনুষ্ঠেয় সর্বদলীয় সভায় অংশগ্রহণ করা না করা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি সর্বদলীয় সভায় যাবে না এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কীভাবে অংশগ্রহণ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। অপেক্ষা করুন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বৈঠকে বিএনপি যাবে কি না, এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এর আগে, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৈঠকের তথ্য জানানো হয়।  বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের ওপর একটি সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করবে। এ ছাড়া মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সর্বদলীয় এ বৈঠকের কথা জানান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।  তিনি বলেন, এই বৈঠকের ভেতর দিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি দলিল প্রণীত হবে। সেদিনই স্পষ্ট হবে, কবে ঘোষণাপত্রটি জারি করব এবং সরকার কীভাবে ঘোষণাপত্র জারি করার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে। উপদেষ্টা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের একটি প্রেক্ষাপট-প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হবে। সব রাজনৈতিক দল এবং পক্ষের মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষিত হবে। আরটিভি/আইএম/এস
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে না এলডিপি
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র তৈরির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে না লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি।  বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে এলডিপি প্রেসিডেন্ট ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রমের প্রেস সেক্রেটারি সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে ঠিক হবে জুলাই ঘোষণাপত্রে কী থাকবে। কবে ঘোষণাপত্র জারি করা হবে এবং সরকার কীভাবে এতে ভূমিকা রাখবে, সেটিও আজ জানানো হবে।
বাবরের মুক্তির অপেক্ষায় কারাগারের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড়
সব মামলায় খালাস পাওয়ায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) কারামুক্তি দেওয়া হতে পারে। কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুপুরের দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। কারা সূত্র জানায়, আদালত থেকে লুৎফুজ্জামান বাবরের খালাসের নথি এসেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুরের দিকে তাকে কারামুক্তি দেওয়া হবে। প্রায় ১৭ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন তিনি। এরমধ্যে কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দায় থেকে খালাস পান লুৎফুজ্জামান বাবর। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে। এ রায়ের মাধ্যমে বাবর তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা থেকে খালাস পান। ফলে বাবরের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। এদিকে বাবরের মুক্তির খবরে এলাকা থেকে দলে দলে লোকজন ঢাকায় এসেছেন। নেতার মুক্তির অপেক্ষায় কারাগারের সামনে অবস্থান করেছেন স্বজন ও নেতাকর্মীরা। কারামুক্তির পর কারা ফটক থেকে তাকে বরণ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। কারাগারের সামনে এক নেতা বলেন, আমাদের নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর নিরপরাধ। তার জনপ্রিয়তায় হিংসা থেকে শেখ হাসিনা তাকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছিল। তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। আরেকজন বলেন, লুৎফুজ্জামান বাবর মাটি ও মানুষের নেতা। তাকে বিনা দোষে দীর্ঘ ১৭ বছর কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। আজ তার মুক্তিতে আমরা আনন্দিত। ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয় এবং একটিতে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।  তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকার পতন হওয়ার পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান বাবর। এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান তিনি। ২১ আগস্টের মামলায়ও বাবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারক আদালত। বাবরের রাজনৈতিক জীবন লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অষ্টম সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আরটিভি/একে