• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার
বিএসএফের নরহত্যার দায় সরকারের ওপরেও বর্তায়: রিজভী
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে তাতে সরকারেরও দায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।  সরকারের নতজানু নীতির কারণেই বিএসএফ আশকারা পাচ্ছে দাবি করে রিজভী বলেন, মনে হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা শেখ হাসিনা ভারতকে দিয়ে দিয়েছেন। তাই প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিএসএফ কতৃর্ক বধ্যভূমি বানানো হলেও আওয়ামী সরকারকে নিশ্চুপ থাকতে হয়। তিনি বলেন, ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন দখলদার আওয়ামী সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডারদের দিয়ে নিজস্ব সেনাদল গঠন করে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু বিএসএফ’র বর্গীর ভূমিকার বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করতে পারেনি। বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, বিএসএফের নরহত্যার দায় দখলদার আওয়ামী সরকারের ওপরেও বর্তায়। সোমবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে হাসান মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। সীমান্তে রক্তের দাগ যেন শুকাচ্ছেই না। বাংলাদেশি মানুষের রক্তে সীমান্ত সবসময়ই ভেজা থাকছে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় এদেশে আইনের প্রয়োগ হয় মন্তব্য করে এরপর রিজভী বলেন, দেশের আইন শেখ হাসিনার সংস্করণ অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হয়। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর বাংলাদেশের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠেছেন শেখ হাসিনা। জেল-জুলুম, অত্যাচার আর অবিচারের প্রকটতা দেখে বিশ্ব সম্প্রদায় বিচলিত হলেও তাতে শেখ হাসিনার কিছু যায় আসে না। তার সব অপকর্মের দায় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করা হয়েছে তা আজ দেশ-বিদেশে সর্বজনবিদিত। বেগম খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে দেশবাসী এতদিন যা মনে করেছে, আজ মার্কিন প্রতিবেদনেও সেটি উঠে এসেছে।
বিএনপির পর আ.লীগের সমাবেশও স্থগিত
উপজেলা নির্বাচনে মাঠে আছেন বিএনপির অন্তত ৩০ নেতা 
বিএনপির সমাবেশ স্থগিত
কায়সার কামালকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন ব্যারিস্টার খোকন
আবারও রাজপথে মুখোমুখি হচ্ছে আ.লীগ-বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আবারও রাজপথে মুখোমুখি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দল দুটি একই দিনে (২৬ এপ্রিল) রাজধানীতে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। এতে নতুন করে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দুই দলের কর্মসূচির স্থান ও সময় কাছাকাছি হওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  গত সাত জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপি তেমন কোনো বড় আন্দোলন কর্মসূচি দেয়নি। ভোটের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর আগামী ২৬ এপ্রিল রাজধানীতে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ওইদিন বিকেল আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণার এক দিন পর রোববার (২১ এপ্রিল) একই দিন একই সময়ে কাছাকাছি স্থানে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটি আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এই সমাবেশ করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দেশের প্রধান দুটি দলের আবারও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে জনমনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অতীতের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় অনেকে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রায় এক বছর রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ছিল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। তবে তাদের ডাকা প্রায় প্রতিটি কর্মসূচির দিনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছে।
২ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় উপজেলা পর্যায়ের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। রোববার (২১ এপ্রিল) দলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান এবং কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার স্থানীয় নির্বাচনও বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নিতে তৃণমূলের নেতাদের প্রতি বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের সরে দাঁড়াতে বললেও অনেকে নির্বাচনের মাঠ না ছাড়ায় বহিষ্কার শুরু করেছে বিএনপি।  
‘সরকারের জুলুম বন্ধ না হলে দেশ চরম নৈরাজ্যে নিপতিত হবে’
দখলদার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম বন্ধ না হলে দেশ চরম নৈরাজ্যে নিপতিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, নেতা-কর্মীদের জামিন নামঞ্জুর ও জেল হাজতে প্রেরণ এই ডামি সরকারের চলমান অপকর্মেরই নিরবচ্ছিন্ন অংশ। দখলদার সরকারের এ ধরনের জুলুম বন্ধ না হলে দেশ চরম নৈরাজ্যে নিপতিত হবে। আর তাই সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন প্রতিরোধে আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণ আরও বেশি বলীয়ান হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, অবৈধ এই সরকার অশুভ উদ্দেশ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান এবং আদালতকে দিয়ে জামিন নামঞ্জুর ও কারান্তরীণ করার নির্মম খেলায় মেতে উঠেছে।  বিএনপির এই নেতা বলেন, সারা দেশে প্রতিনিয়ত আদালতকে দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা প্রদান এবং জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এ সময় নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
‘আ.লীগ সরকার তলে তলে দেশবিরোধী কাজ করছে’
তলে তলে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও জনগণবিরোধী কাজ করেই যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার (২১ এপ্রিল) বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন। এদিন দুপুরে জামিনে মুক্তি পান হাবিবুর রহমান হাবিব। রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তাদের বক্তব্যে বলেছেন, অনেক কিছু তলে তলে ঘটে। তলে তলে তারা (সরকার) দেশ ও জনগণবিরোধী কাজ করেই যাচ্ছেন। হাবিবুর রহমান হাবিবের সাজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আদালত হাবিবুর রহমান হাবিবকে নতজানু হতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি (হাবিব) যা বলেছেন, তা সত্য ও বিশ্বাস করে বলেছেন। সেই বলাটাই ছিল খালেদা জিয়াকে নিয়ে তার পক্ষে হাবিবুর রহমান হাবিবের দৃঢ় অবস্থান। তিনি শাস্তি ও নির্যাতন বরণ করে নিয়েছেন। তবুও তিনি যা বলেছেন, সেখান থেকে ন্যূনতম বিচ্যুত হননি। আজ রাজনীতির যে নৈতিকতার ঘাটতি, কথার সঙ্গে কাজের যে ঘাটতি-সেখান থেকে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হাবিবুর রহমান হাবিব তৈরি করেছেন। তিনি আরও বলেন, আজ যিনি মুক্তি পেয়েছেন তিনি এরশাদবিরোধী আন্দোলনের এক কিংবদন্তিতুল্য ছাত্রনেতা। যিনি তৎকালীন যে সংগঠনে ছিলেন, সেই সংগঠনে তাকে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অনুরোধ করেছিলেন আন্দোলন থেকে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য। সেদিন তিনি নীতি ও নৈতিকতার যে বলিষ্ঠতা দেখিয়েছেন, আর নৈতিকতার যে আদর্শ স্থাপন করেছিলেন-সেখান থেকে তিনি বিচ্যুত হয়নি। সেদিন তিনি যদি সরে যেতেন তাহলে এরশাদের পতন সম্ভব হতো না।
ব্যারিস্টার খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের এমন কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করে সর্বসম্মত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সুপ্রিম কোর্ট বারের বিদায়ী সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে বিএনপির প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত তিনজন দায়িত্ব গ্রহণের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কোনো পদধারী নেতা দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। শুধু ব্যারিস্টার খোকনের অনুসারী বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে বিজয়ী সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ চারজনকে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে চিঠি দেয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের পর গত ১০ মার্চ ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ন্যায়সংগত যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আপনাকে/আপনাদের এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি/ আপনারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদকালের দায়িত্বগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। আপনি/আপনারা দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে দলীয় এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালন করবেন।’ ফলাফল ঘোষণার পর ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে সভাপতির দায়িত্ব না নেওয়ার আহ্বান জানায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। গত ২৭ মার্চ ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সই করা চিঠিতে এ আহ্বান জানানো হয়। দলীয় ফোরামের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই ৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচিত ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে এই প্যানেল থেকে জয়ী নির্বাচিত অন্য তিন সদস্য দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হন। অন্যদিকে সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০টি পদে আওয়ামী লীগের প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হন।
রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা বিএনপির
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী ও যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশীদ হারুনসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) সমাবেশ ও মিছিল করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।  রাজধানীর নয়াপল্টনে ওইদিন দুপুর আড়াইটায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  শনিবার (২০ এপ্রিল) মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য (ভারপ্রাপ্ত দপ্তর) সাইদুর রহমান মিন্টু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  এতে বলা হয়, সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে যথাসময়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বান জানানো হয়।
সরকার দেশে নব্য বাকশাল কায়েম করেছে : মির্জা ফখরুল
দখলদার আওয়ামী সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।  মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে এই সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে। তিনি বলেন, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহযুববিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এই অবৈধ সরকার এখন আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে। অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তারা অব্যাহতভাবে বিরোধী দল, ভিন্নমত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। এ সময় মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজের সাজা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।