• ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১
logo
দেশ ও মানুষের মঙ্গলে খালেদা জিয়ার সুস্থতা জরুরি: জিএম কাদের
সব দ‌লের মতামত ছাড়া সংস্কার টেকসই হ‌বে না: জি এম কাদের
সব দ‌লের মতামত না নি‌লে সংস্কার টেকসই হ‌বে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, জাতীয় পা‌র্টিসহ দে‌শের বড় রাজনৈতিক দল ছাড়া নির্বাচনও গ্রহণ‌যোগ্য হ‌বে না। বুধবার (১ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করেছিল দলটি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি পালন ক‌রেন তারা। তিনি বলেন, অহিংসভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করব, এটা আমাদের অধিকার। আমরা একটি রাজনৈতিক নিবন্ধিত দল, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করার অধিকার আমাদের আইনগত অধিকার।  জি এম কাদের বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবাইকে নিয়ে বসে দেশ পরিচালনা করবে অন্তবর্তীকালীন সরকার। কিন্তু বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের দেশে কোনো সরকার ক্ষমতা ছেড়ে যেতে চায় না, এর অন্যতম কারণ কোনও সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে না। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় ঐক্যের নামে নিবন্ধিত ৪৮ দলের মধ্যে ১৮টি দলকে বৈঠকে ডাকলেন, ৩০টি দলকে বাদ দিলেন। প্রায় ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে বাইরে রেখে ঐক্য হয় না। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতার করার পরও ডাকা হলো না। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জাতীয় পার্টির গণতান্ত্রিক অধিকার বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে, সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্যকে ৩ মাস ধরে, আরেকজন নেতাকে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার-অনাচার করা হচ্ছে।  অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি মনে করি, কেউই নিরাপদ নই। কে কখন কীভাবে ফ্যাসিবাদের দোসর হয়ে যাবেন, বলতে পারবেন না। যেভাবে দেশকে বিভক্ত করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করা আপনাদের পক্ষে কতটা সম্ভব প্রশ্ন রয়েছে। আপনারা সংস্কার দিতে সক্ষম হবেন না। সংস্কার করতে গেলে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।  জিএম কাদের আরও বলেন, বলা হচ্ছে আগে আমরা হত্যার বিচার করবো, তারপর নির্বাচন। তারা যাদেরকে দোসর মনে করছে, তার নামেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। বিচারের ক্ষেত্রে বলা হয় ১০ জন্য দোষী ছাড়া পেয়ে গেলেও একজন নির্দোষ লোক যেন সাজা না পায়। আমরা দেখছি উল্টো। প্রতিহিংসার আগুন ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো হচ্ছে।  আরটিভি/এসএইচএম-টি
গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ গণতন্ত্র চর্চার পরিপন্থি: জিএম কাদের
মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশিদের জীবনে এক শ্রেষ্ঠ অর্জন: জি এম কাদের
জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারে আইনি নোটিশ
জাতীয় পার্টিকে অবাঞ্ছিত করার চেষ্টা চলছে: জি এম কাদের
এবার জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি গ্রেপ্তার
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ইয়াহইয়া চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সোমবার (১১ নভেম্বর) দিনগত রাতে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিলেট-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ইয়াহইয়া চৌধুরী। ওই সংসদে তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আরটিভি/এসএপি
ট্রাম্পের বিজয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে: জিএম কাদের
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় জাপা চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। অভিনন্দন বার্তায় জিএম কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় গৌরবোজ্জ্বল রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। ইতিহাস সৃষ্টি করা এই বিজয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।  ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আমেরিকানদের অকুণ্ঠ সমর্থন বিশ্ব রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমেরিকার স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে সমর্থ হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।’ জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক সহায়তা আরও বৃদ্ধিতে আমরা উন্মুখ হয়ে আছি। আগামীতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এ ছাড়া অভিনন্দন বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাফল্য, সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন জিএম কাদের। আরটিভি/আরএ/এআর
মাইনাস টু’র মতো বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়াও ব্যর্থ হবে: চুন্নু 
মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ওয়ান-ইলেভেন সরকার যেভাবে ব্যর্থ হয়েছে, ঠিক একইভাবে বর্তমান বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়াও ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।  রোববার (৩ নভেম্বর) বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অতিরিক্ত মহাসচিবদের সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে দেশে আজ একটি বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া চলছে। কোনো একটি মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এ কাজে ছাত্রদের একটি অংশকে ব্যবহার করছে। যা কোনোভাবে কাম্য নয়। তিনি বলেন, অতীতে মাইনাস টু ফর্মুলা ব্যর্থ হয়েছে। এখন বিরাজনীতিকরণ করতে যে প্রক্রিয়া চলছে তাও ব্যর্থ হবে। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এদিকে সরকারকে জোর দৃষ্টি দিতে হবে। তিনি বলেন, কয়েকজন দুষ্কৃতকারী গত ১ নভেম্বর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় অফিসে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং ২ নভেম্বর খুলনা অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আমরা এসব ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এই অগ্নিসংযোগে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, মো. জহিরুল ইসলাম জহির, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, মোস্তফা আল মাহমুদ, মনিরুল ইসলাম মিলন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এটিইউ তাজ রহমান, জহিরুল ইসলাম রুবেল, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আরিফুর রহমান খান। আরটিভি/এসএইচএম
কোন পথে জাতীয় পার্টি
বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছে জাতীয় পার্টি৷ দলটি শেষপর্যন্ত রাজনীতি করতে পারবে কি-না, তা নিয়ে দলের নেতারা চিন্তিত৷ প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, দেশে এখনও কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি৷ কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও শ্রমিক আন্দোলন ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদের' সহযোগী হিসাবে দলটিকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে৷ আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা মনে করি নিষিদ্ধ হবে বিচারের মাধ্যমে৷ তবে তার আগে আমরা জাতীয় পার্টির কার্যক্রম স্থগিত করার দাবি জানিয়েছি সরকারের কাছে৷'' ঘোষণা দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা চালানো হয়৷ এসময় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়৷ প্রথম দফায় জাতীয় পার্টির লোকজন ওই হামলা প্রতিরোধ করতে পারলেও রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুই জন সমন্বয়ক ঘোষণা দিয়ে  ছাত্রদের নিয়ে সেখানে যান৷ দ্বিতীয় দফায় হামলা ও আগুনের সময় ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকেও সেখানে আগুন নেভাতে দেয়া হয়নি৷ আর পুলিশ ছিলো পুরোপুরি নিস্ক্রিয়৷ আর শনিবার জাতীয় পার্টি কাকরাইল এলাকায় সমাবেশ ডেকেও তা প্রত্যাহার করে পুলিশের নিষেধাজ্ঞার কারণে৷ পুলিশ শনিবার ওই এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে৷ কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও শ্রমিক আন্দোলন নগরীর অন্য এলাকায় জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশ করেছে৷ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘‘হামলাকে আমরা সমর্থন করি না৷ তবে ফেসবুক পোস্ট দিয়ে যে সমন্বয়কেরা গেছেন, সেটা আমাদের আন্দোলনেরই অংশ৷ তারা স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল৷ তাই ঘেরাও করা আন্দোলনেরই অংশ৷ আমরা আগুন বা হামলা সমর্থন করি না৷ তবে ওই হামলা ও আগুনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই৷ কারণ তারা গেছে রাত সাড়ে ৮টার পরে৷ তার আগেই হামলা ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে৷'' তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে কি-না, তা দেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে৷  তাদের বিচার হবে৷ তবে বিচার শেষ হওয়ার আগে আমরা তাদের দলের কার্যক্রম স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছি সরকারের কাছে৷'' আর প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার জানান, ‘‘কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেই৷ কোনো দলকে নিষিদ্ধও করা হয়নি৷ একটি ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷'' রাজনৈতিক দলগুলো কী বলছে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি)-এর সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টি একটি স্বৈরাচারি দল৷ তাদের জন্ম স্বৈরাচারি কায়দায়৷ আর তারা স্বৈরাচারকে টিকে থাকতে সহায়তা করেছে৷ এই দলটি সম্পর্কে দেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা রাজনীতি করতে পারবে কী পারবে না৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘আর আমাদের সংবিধানে সভা-সমাবেশ করার অধিকার দেয়া আছে৷ জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে৷ তার মানে এই নয় যে, কোনো একটি দলকে নিষিদ্ধ করা হবে বা তার রাজনীতি করার অধিকার নেই৷'' আর জাতীয় পার্টি অফিসে হামলা ও আগুন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এটা তো একটা ফ্যাসিবাদি আক্রমণ৷যে ঘোষণা করে, ঘটা করে একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে আক্রমণ এবং আগুন দেয়া হয়েছে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ আমরা মনে করি, আমরা যে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আছি এর মাধ্যমে সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷'' গণ অধিকার পরিষদের প্রধান নুরুল হক নুর বলেন, ‘‘আমরা কোনো ধরনের হামলা, সহিংসতা ও মব জাস্টিসকে সমর্থন করি না৷ আমরা মনে করি, এখন একটা সরকার আছে৷ সেই অবস্থায় যদি এরকম করা হয় তাহলে দেশে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা হবে৷ আর জাতীয় পার্টি অফিসে কারা হামলা করেছে, নিজেরাই করেছে কি-না তার তদন্ত হওয়া দরকার৷'' তিনি বলেন, ‘‘তবে যারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর এবং সহযোগী ছিলো তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানাই আমরা৷'' এদিকে, ঢাকায় এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘দেশের কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বিএনপি৷ দেশে অযথা ইস্যু তৈরি করে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে৷ বাংলাদেশকে ঘিরে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷ এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের জনগণকে সজাগ থাকতে হবে৷'' আর কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ভাঙচুর থেকে বিরত থাকতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে সব দলকে আহবান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী৷ দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টিকে আমি কোনো বিধিবদ্ধ রাজনৈতিক দল মনে করি না৷ স্বৈরাচারী উপায়ে এর জন্ম হয়েছে৷ পরে স্বৈরাচারের সহযোগী হয়েছে৷ আর আসলে তাদের কার্যালয়ে হামলা না বলে আমি দুই পক্ষের সংঘর্ষ বলব৷ আর এতে জাতীয় পার্টির উসকানি ছিল৷ আমি মনে করি, পুলিশ প্রশাসন শনিবার তাদের সমাবেশ করতে না দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷'' কী ভাবছে জাতীয় পার্টি জাতীয় পার্টি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে দাওয়াত পেলেও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কোনো সংলাপেই তাদের ডাকা হয়নি৷ আওয়ামী লীগের সহযোগী ১৩ দলও ডাক পায়নি৷ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল৷ কয়েকদিন আগে রংপুরে দুই সমন্বয়কের সফরের সময় প্রতিরোধের ডাক দেয় জাতীয় পার্টি৷ এরপর তারা ঢাকায় শনিবারের সমাবেশের কর্মসূচি দিলে বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় পার্টি অফিসে হামলা ও আগুনের ঘটনা ঘটে৷ তারপরও তারা শনিবার সমাবেশের ব্যাপারে অনড় ছিল৷ কিন্তু পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পর তারা সমাবেশ বাতিল করে৷ এ প্রসঙ্গে আইনের প্রতি শ্রদ্ধার কথা বললেও আসলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানান জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতা৷ তারা বলেন, ‘‘হামলার প্রতিক্রিয়া, বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া দেখে তারা পরের অবস্থান নেবেন৷'' জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পটোয়ারী বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি, এই কারণে আমাদের নিষিদ্ধ করা হবে ছাত্রদের দাবীর মুখে তা হতে পারে না৷ সংবিধান এবং আইনে কারা সংগঠন করতে পারবে এবং দল করতে পারবে তা স্পষ্ট বলা আছে৷ সন্ত্রাসী কাজের জন্য, জঙ্গি তৎপরতার জন্য নিষিদ্ধ করা যায়৷ জাতীয় পার্টি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলার সময় পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিরোধে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল, তা রাখতে তারা ব্যর্থ হয়েছে৷ সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল৷ মামলা করার জন্য আমাদের লোক গেছে। কিন্তু এখনও পুলিশ মামলা নেয়নি৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘এখানে ঘোষণা দিয়ে হামলা করা হয়েছে৷ সুতরাং কারা হামলা করেছে তা স্পষ্ট৷ সরকার চাইলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে৷'' শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টি তার গণতান্ত্রিক রাজনীতি অব্যাহত রাখবে৷ঘোষণা দিয়ে হামলা, রাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে৷ কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না৷'' আরটিভি/এআর
জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে সেনাবাহিনীর টহল, মোতায়েন আছে পুলিশ 
সমাবেশ ও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণার জেরে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে। শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে কার্যালয়টির সামনে মোতায়েন রাখা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। একইসঙ্গে কার্যালয় ঘিরে রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে সেনাবাহিনীর একাধিক দলকে। তবে, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয়টিতে দেখা যায়নি জাপার কোনো নেতাকর্মীকে। কাকরাইলে দলের প্রধান কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (২ নভেম্বর) সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। সেই সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে পাল্টা কর্মসূচি দেওয়া হয় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতা’র ব্যানারে। এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতেই কাকরাইলসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির নিষেধাজ্ঞার পর জাতীয় পার্টি তাদের সমাবেশ স্থগিত করে। তবে, কোনো ঝুঁকি না নিয়ে ওই এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ রানা বলেন, কাকরাইলসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এলাকার মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন দল এই এলাকায় টহল দিচ্ছে। সেনাবাহিনীও টহলে রয়েছে। ফলে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টিকে ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক জনতার ব্যানারে একদল কর্মী মিছিল নিয়ে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গেলে জাপা কর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে জাপা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে সেখানে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আরটিভি/এসএইচএম-টি  
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে রাজধানীর কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর থেকে কাকরাইলের জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে কোনো নেতাকর্মীর দেখা নেই। তবে রয়েছে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ও উৎসুক মানুষের আনাগোনা।  শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ সময় আগুন দেওয়া ভবনটি খালি পড়ে থাকতে দেখা যায়। উৎসুক জনতা তার সামনে দিয়ে যাচ্ছেন আর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। কেউ কেউ আবার ছবিও তুলে রাখছেন। আর লোকজন ভিড় জমালেই তাদেরকে সরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।   এর আগে, এখানে জাতীয় পার্টি সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দেয়। বিপরীতে সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। এমন পরিস্থিতিতে কাকরাইলসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এর প্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জাতীয় পার্টি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আজ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। আরটিভি/আইএম/এসএ
জাতীয় পার্টির সমাবেশ স্থগিত
রাজধানীর কাকরাইলে ডাকা সমাবেশ স্থগিত করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ২টায় অনুষ্ঠেয় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।  ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স ২৯ ধারার ক্ষমতা বলে (সভাস্থল) পাইওনিয়ার রোডস্থ ৬৬ নং ভবন, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করায় জাতীয় পার্টি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।’ এদিকে, শুক্রবার জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফির পর এবার দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের উপদেষ্টা সাজ্জাদ রশিদ পদত্যাগ করেছেন। এর আগে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ দলের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ২ নভেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় দলটি। জাপার এমন কর্মসূচির কিছুক্ষণ পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল মানুষ। এরপর শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ওই কার্যালয়ের সামনেই শনিবার সমাবেশ হবে। কিন্তু ওই সমাবেশ ‘করতে দেওয়া হবে না বলে’ হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। দুই পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানসহ পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার তিনটি সংলাপে ডাক পায় জাতীয় পার্টি। এরপর গত ৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব। এরপর গত ১৯ অক্টোবরের চতুর্থ দফার সংলাপে ডাক পায়নি দলটি। অন্যদিকে, বিভিন্ন সময় জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। আরটিভি/আরএ/এআর