বুধবার রাতে মাঠে গড়ায় ইউরোপজুড়ে তিনটি ফুটবল ম্যাচ। মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স-ওয়েলস, জার্মানি-ডেনমার্ক ও ইংল্যান্ড-অষ্ট্রিয়া। তিনটি ম্যাচেরই ইতি টানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিয়ে।
কদিন পরেই ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে নামার আগে এই ম্যাচগুলো দারুণভাবে কাজে দেবে দলগুলোকে।
ফ্রান্স-ওয়েলস ম্যাচ দিয়ে আবারও আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছেন করিম বেনজেমা। ২০১৫ সালের পর আবারও দেশের জার্সিতে দেখা গেছে তাকে।
বেনজেমার ফেরাটাও হয়েছে দলের দূর্দান্ত জয় দিয়ে। তিনি গোল না পেলেও সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে, অঁতোয়ান গ্রিজমান ও উসমান দেম্বেলের গোলে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এদিকে বুধবার রাতে মিডলসবরোর রিভারসাইড স্টেডিয়ামে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। অষ্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি নিষ্পত্তি হয়েছে ১-০ গোলে।
নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধে কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি ইংলিশরা। ২৮তম মিনিটে হ্যারি কেইনের একটা নিচু শট গোল হবার সম্ভাবনা তৈরি করলেও সেটা ঠেকিয়ে দেন অস্ট্রিয়ার গোলরক্ষক। তাতে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোল শূন্য থেকেই।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭তম মিনিটের মাথায় স্বস্তির গোল পায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সে সেই হ্যারি কেইন পাস দেন জেসে লিনগার্ডকে। এরপর বল পেয়ে যান সাকা। তবে সফরকারী গোলরক্ষক আগেই জায়গা ছেড়ে সামনে চলে আসায় ফাঁকা জালে বল পাঠান আর্সেনাল মিডফিল্ডার সাকা।
বাকি সময়ে আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। তাতে স্বস্তির জয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে ইংল্যান্ড।
শক্তিশালী জার্মানকে রুখে দিয়েছে ডেনমার্ক। চার বারের বিশ্বকাপ জয়ীদের হারের দিন প্রায় দুই বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন টমাস মুলার ও মাটস হুমেলেস।
তবে শক্তিশালী দল নিয়েও হোঁচট খেতে হয়েছে ডেনমার্কের কাছে। প্রথমার্ধে কোনো গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটের সময় গোল পেয়ে যায় জার্মানরা।
রবিন গোজেন্সের ক্রস হেড থেকে পাওয়া বল পেয়ে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন নেহাস। ১-০ তে এগিয়ে স্বস্তিতে থাকা জার্মানদেরকে হতাশ হতে হয় ম্যাচের ৭১ মিনিটের মাথায়।
ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনের অসাধারণ থ্রু পাস পেয়ে নিচু শটে মানুয়েল নয়ারকে ফাঁকি দেন পোলসেন। বাকি সময়টায় আর গোল না পাওয়ায় হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে জার্মানরা।
এমআর/