প্যারিস অলিম্পিক
নাদালকে বিদায় করে মধুর প্রতিশোধ জোকোভিচের
প্যারিস অলিম্পিক টেনিসের ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আলোচনায় দুই টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ ও রাফায়েল নাদালের ম্যাচ। দুজন একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া ছাড়াও, এই ম্যাচে নাদালকে হারিয়ে ২০০৮ সালের বেইজিংয়ে অলিম্পিকের সেমিফাইনালে হারের প্রতিশোধ নেওয়া সুযোগ ছিল জোকোভিচের সামনে।
আর সেই সুযোগ ভালো ভাবেই কাজে লাগিয়েছেন রেকর্ড ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জোকোভিচ। সোমবার (২৯ জুলাই) রোঁলা গাঁরোয় অলিম্পিক গেমসের অন্যতম আকর্ষণীয় ইভেন্ট টেনিসের দ্বিতীয় রাউন্ডে নাদালকে ৬-১ ও ৬-৪ ব্যবধানে হারান তিনি।
এদিন ম্যাচের শুরুতে প্রথম সেটেই নাদালকে পিছনে ফেলেন জোকোভিচ। প্রথম সেট ৬-১ ব্যবধানে জিতে নেওয়ার পর দ্বিতীয় সেটেও ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর ঘুরে দাঁড়ান নাদাল। নিজের সার্ভিসে পয়েন্ট তুলে নেওয়ার পর টানা দুটি ব্রেক পয়েন্টও আদায় করে ম্যাচে ফেরার আভাস দেন এই স্প্যানিশ তারকা।
কিন্তু এরপর নিজের সার্ভে পয়েন্ট আদায় করে নিতে পারেননি এই স্প্যানিশ তারকা। ব্রেক পয়েন্ট আদায় করে ফের এগিয়ে যান জোকোভিচ। পরে নিজের সার্ভিসে পয়েন্ট তুলে ম্যাচও জিতে নেন তিনি।
এই জয়ে ২০০৮ সালের অলিম্পিকে হারার মধুর প্রতিশোধ নিলেন জোকোভিচ। সেবার সেমিফাইনালে জোকোভিচকে ৬-৪, ১-৬ ও ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়েছিলেন নাদাল। শেষ পর্যন্ত স্বর্ণপদকও জিতে নিয়েছিলেন এই স্প্যানিশ। আর জোকোভিচ জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। যা অলিম্পিকে তার একমাত্র পদক।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে নাদাল ছন্দে না থাকায় এই ম্যাচে ফেবারিট ছিলে জোকোভিচই। তবে লড়াইটা যখন ক্লে কোর্টে তাই নাদালকে পিছিয়ে রাখার উপায় ছিল না। এই কোর্টের রাজাই বলা হয় তাকে। ২২টি আসরে অংশ নিয়ে জিতে নিয়েছেন রেকর্ড ১৪টি শিরোপা।
মন্তব্য করুন