অলিম্পিক ফুটবল
মিশরকে কাঁদিয়ে প্রথমবার পদক জিতল মরক্কো
কাতার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে চমক দেখিয়েছিল মরক্কো। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছিল তারা। তবে ফাইনালে না উঠতে পারলেও চতুর্থ হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল হাকিমিরা। বিশ্বকাপের মতো অলিম্পিকেও চমক দেখিয়েছে তারা।
দুর্দান্ত ফুটবল খেলে সেমিফাইনালে উঠেছিল আফ্রিকার দেশটি। স্পেনের কাছে হেরে ফাইনাল খেলার স্বপ্নভঙ্গ হলেও পদক হাত ছাড়া করেনি মরক্কো। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মিশরকে ৬-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বোঞ্জ জিতেছে তারা। এটাই অলিম্পিকের সর্বোচ্চ অর্জন দেশটির।
এদিকে অলিম্পিকে ইতিহাসে গড়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠেছিল মিশর। কিন্তু মেডেল ছুঁয়ে দেখা হলো মিশরীয়দের। খালি হাতে দেশে ফিরতে হচ্ছে তাদের।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ম্যাচের শুরুতেই বিপদে পড়ে মিশর। ম্যাচের ১২ মিনিটে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে মিডফিল্ডার জিজুকে হারায় তারা। এতে মিশরের ওপর দ্বিগুণ চাপ বাড়ায় মরক্কো।
দুই মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল করে বসে মরক্কো। ম্যাচের ২৩ ও ২৬ মিনিটে গোল করে চালকের আসনে বসে তারা। প্রথম গোল করেন আবদে আজালজ্যালে ও দ্বিতীয়টি আসে সুফিয়ানে রাহিমির হেড থেকে।
মিশরের বিপক্ষে গোল করে অলিম্পিকে দারুণ একটি রেকর্ড করেন রাহিমি। প্রথম কোনো ফুটবলার হিসেবে টানা ৬ ম্যাচের সবগুলোতেই গোল করার অনন্য কীর্তি গড়েন তিনি।
বাকি ৪ গোল দ্বিতীয়ার্ধে করে মরক্কো। ৫১ মিনিটে গোল করেন বিলাল এল খানোউস। ৬৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাহিমি। এবারের আসরে ৬ ম্যাচে মোট ৮ গোল করেন মরক্কোর এই ফরোয়ার্ড। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-০।
৭৩ মিনিটে ব্যবধান ৫-০ করেন আকরাম নাখাচ। মিশরের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন আশরাফ হাকিমি। দূর থেকে ফ্রি-কিকে চোখধাঁধানো এক গোল করেন তিনি। ফলে মিশরের জালে ৬ গোল দিয়ে প্যারিস অলিম্পিকের বোঞ্জ পদক জিতে নেয় মরক্কো।
মন্তব্য করুন