চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরেও সেমিফাইনালে পৌছে গেছে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে ৪-০ ব্যবধানে জেতা বার্সা বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে দ্বিতীয় লেগে হেরেছে ৩-১ গোলে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সিগনাল ইদুনা পার্কে শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে জিতেও ৫-৩ অ্যাগ্রিগেটে বিদায় নিতে হলো নিকো কোভাচের দল বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। আর এক দশক আগে শেষবার ইউরোপীয় ট্রফি জেতা বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠল ছয় বছর পর।
ম্যাচের নায়ক গিনির স্ট্রাইকার সেরহু গিরাসি প্রথমার্ধের ১১ মিনিটেই সাহসী ‘পানেনকা’ পেনাল্টিতে গোল করে ম্যাচে প্রাণ ফেরান তিনি। বার্সা গোলরক্ষক ড্রিবল করতে গিয়ে ফাউল করেন পাসকাল গ্রসকে, সেখান থেকেই আসে স্পট কিক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও বাজিমাত করেন গিরাসি। ৪৯ মিনিটে কর্নার থেকে রামি বেনসেবাইনি বল বাড়ান, সেখান থেকে মাথা ছুঁইয়ে দ্বিতীয় গোল করেন এই ফর্মে থাকা ফরোয়ার্ড। কিন্তু হতাশার মুহূর্ত আসে মাত্র পাঁচ মিনিট পর। ডর্টমুন্ড ডিফেন্ডার বেনসেবাইনি ভুল করে বার্সার ফেরমিন লোপেজের ক্রসে নিজের জালেই বল ঠেলে দেন। এই আত্মঘাতী গোলে বার্সা অ্যাগ্রিগেট ব্যবধানে আবারও ৩ গোলে এগিয়ে যায়।
তবুও থেমে থাকেননি গিরাসি। ৭৬ মিনিটে বার্সা রক্ষণভাগের বিশৃঙ্খলা কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত ভলিতে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ১৩ ম্যাচে এটি তার ১৩তম গোল। শেষ মুহূর্তে বদলি খেলোয়াড় জুলিয়ান ব্রান্ডট গোল করলেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। এরপর আরও একাধিক সুযোগ নষ্ট করে ডর্টমুন্ড। গ্রসের গোল অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয়। বার্সা গোলকিপারও দুর্দান্ত দুটি সেভ করেন। বার্সা রক্ষা পায় শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত।
বার্সেলোনা সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২৪ ম্যাচ পর হারের মুখ দেখলেও মাঠ ছেড়েছে হাসিমুখেই। ২০১৯ সালের পর এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে খেলবে দলটি। ছয় বছর পর তারা উঠলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে। যেখানে মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান বা বায়ার্ন মিউনিখের।
আরটিভি/কেএইচ