• ঢাকা শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১
logo
হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে স্লিপ গ্রহণ সিস্টেম চালু
অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি পেছাল
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের দণ্ড বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আপিলের পরবর্তী শুনানি আগামী ১৪ জানুয়ারি ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ, দুদক, ও খালেদা জিয়ার পক্ষে তিনদিন শুনানির পর দেখা যায় এই মামলার এক আপিলকারী কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়া হয়নি।  একপর্যায়ে কামালের পক্ষে সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য তার আইনজীবী সময় চাইলে আপিলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত। আপিল শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, এই মামলার বিচারে সংবিধান ও আইন অনুসরণ করা হয়নি।  মামলাটি আইনগত, মৌখিক, এমনকি শোনা সাক্ষ্য-প্রমাণহীন। অনুমাননির্ভর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্যদের সাজা দেওয়া হয়েছে। এর আগে, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) গত ১১ নভেম্বর মঞ্জুর করে ১০ বছরের কারাদণ্ড স্থগিতের আদেশ দেন আপিল বিভাগ। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে তারেক রহমানসহ সব আসামিদের ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়৷ এরপর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের করা হয়।   এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। গেল ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন। আরটিভি/আরএ/এস  
সাবেক এমপি শফিউল ৩ দিনের রিমান্ডে 
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বকশীবাজার আদালত কক্ষে আগুন, বিডিআর বিদ্রোহ মামলার শুনানি মুলতবি
নতুন আরেক মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
২ হাজার ২৭৬ নেতাকর্মী গুম-খুনের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর ২ হাজার ২৭৬ জন নেতাকর্মীকে গুম ও খুনের অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ।  বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং গুম, খুন, মামলাবিষয়ক সমন্বয়ক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এ অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ইলিয়াস আলীসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর ২ হাজার ২৭৬ জন নেতাকর্মীকে গুম ও খুন করা হয়েছে। আজ এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হলো বিএনপির পক্ষ থেকে। আরটিভি/এসএইচএম-টি
রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আপিল বিভাগে আবেদন
দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম সংশোধনের জন্য আপিল বিভাগে দ্রুত রিভিউ শুনানির আবেদন করেছে বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।  বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর এ আবেদন করেন। এ সময় তিনি আপিল বিভাগকে বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত শুনানি হওয়া উচিত। কারণ, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিকমতো হয়নি। পরে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের এ মামলা শুনানি করতে ১৬ জানুয়ারির কার্যতালিকায় যুক্ত করতে বলেন। এর আগে, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে রায় দেন আপিল বিভাগ, যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর।  সেই রায়ে বলা হয়, ১. সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে। ২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত হবেন। জুডিশিয়াল সার্ভিসের সর্বোচ্চ পদ জেলা জজ। অন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে সচিবরা রয়েছেন। ৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ১৭ নম্বরে। রায়ে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার না হয়। প্রসঙ্গত, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান। ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। আরটিভি/এসএইচএম-টি
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি ২৩ জানুয়ারি
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের রিভিউ শুনানি ২৩ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে, আজ সকালে আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। প্রসঙ্গত, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে ২০১৯ সালের অক্টোবরে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।  তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায়  দেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম, যা এতদিন শুনানির অপেক্ষায় ছিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়।  আরটিভি/আইএম-টি
কেরানীগঞ্জে নয় বকশীবাজারে বসছে বিডিআর মামলার কোর্ট
প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ কারাগারের আস্থায়ী আদালতে বিডিআর মামলার বিচারকার্য পরিচালিত হবে না। তবে বকশীবাজার সরকারি আলিয়া মাদরাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত ভবনের অস্থায়ী আদালত মামলা পরিচালিত হবে।  বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের পিআরও’র মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে, তিন দফা দাবিতে রাতেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও ভুক্তভোগীদের পরিবার। এর আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালযয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ঢাকার পিলখানাস্থ বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বিচারকার্য পরিচালনা করার জন্য ঢাকা মহানগরের বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদরাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত ভবনটিকে অস্থায়ী আদালত বানিয়ে বিচার পরিচালিত হয়ে আসছে।  তবে গত জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় উক্ত অস্থায়ী আদালত ভবনটিতে ব্যাপক ভাঙচুর ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এবং পরবর্তীতে ছাত্রদের বাধার কারণে উক্ত অস্থায়ী আদালত ভবনে বিচারকার্য পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আসামিদের নিয়ে যাওয়া-আসা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব হচ্ছে। আসামিদের কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হচ্ছে বিধায় উক্ত কারাগারে নির্মিত অস্থায়ী আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা করা গেলে আসামিদের আনা-নেয়ার অসুবিধা দূর হবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এদিকে, বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) গভীর রাতেও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও ভুক্তভোগীদের পরিবার। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পিলখানা হত্যাকাণ্ডে দণ্ডিত বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা বাতিল, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল ও পুনর্বাসন এবং পিলখানা হত্যা মামলায় পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। আরটিভি/কেএইচ
সাবেক আইজিপি বেনজীর ও স্ত্রী-মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ  
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী জীশান মীর্জা ও ছোট মেয়ে তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব। আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিন দুদকের পক্ষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংস্থাটির উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন আসামিদের আয়কর নথি জব্দ চেয়ে আবেদন করেন। বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এসব সম্পদ তার এবং তার স্ত্রী এবং তিন সন্তানের নামে নিবন্ধিত। দুদকের নথিতে দেখা যায়, বেনজীর ও তার পরিবার ৮৩টি দলিলের মাধ্যমে ১১৪ একর জমি কিনেছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বেনজীর আহমেদ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও র‌্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে মোট ১১২ একর জমি কিনেছিলেন তারা। এছাড়া দুদক আরও জানতে পেরেছে, ২০১৪ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার থাকাকালে পাঁচটি দলিলের মাধ্যমে এক দশমিক ৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ করেন বেনজীর আহমেদ, যার বেশির ভাগ জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছিল তার স্ত্রী জিসান মির্জার নামে। জীশান মীর্জার আয়কর জব্দের আবেদনে বলা হয়, তিনি মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে ১৬ কোটি এক লাখ ৭১ হাজার ৩৩৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে এবং ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৯ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এছাড়া বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জীশান মির্জাকে এসব অপরাধে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জীশান মীর্জার  আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।  অন্যদিকে তাহসীন রাইসার আবেদনে বলা হয়, তাহসীন রাইসা ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজান ৮৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় এবং বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশ ও র‍্যাবের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তাজসীন রাইসাকে অপরাধে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাহসীন রাইসার আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। এদিন দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। পরে আদালত তাদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেন। আরটিভি/এসএইচএম
সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন ও তার ভাইয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ ও তার ভাই এ. বি. এম. শাহারিয়ারের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব) এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর রুহুল ইসলাম খান। এদিন দুদকের পক্ষে পৃথক দুটি আবেদনে আসামিদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ চাওয়া হয়। দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এসব আবেদন করেন।  আবেদনে বলা হয়, আসামি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৭ কোটি ৫১ লাখ ১৭ হাজার ৮০৬ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের সকল আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।   এছাড়া এ. বি. এম. শাহারিয়ারের আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, আসামি এ. বি. এম. শাহারিয়ার ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৪ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। আসামি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার ভাইকে অপরাধে সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে  আসামির সকল আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। আরটিভি/এসএইচএম
সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে এজলাসে নেওয়ায় সাবেক মন্ত্রী কামরুলের ক্ষোভ
রাজধানীর লালবাগ থানার মো. আলী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শুনানিতে আদালতে তোলার জন্য লিফটে না চড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে এজলাসে নিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে উচ্চবাচ্যও করেন তিনি। এ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, আদালতে এলেই পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে ঝগড়া করেন তিনি। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটে এ ঘটনা।  এদিন সকাল ৯টার আগেই প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয় কামরুল ইসলাম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ৫ জনকে। এরপর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয় তাদের। কিছুক্ষণ পর বিভিন্ন থানার হত্যা মামলার শুনানির জন্য তাদের এজলাসে তোলা হয়। এ সময় তাদের নিরাপত্তা দিতে সারিবদ্ধ হয়ে হাজতখানা থেকে কোর্টের সিঁড়ি পর্যন্ত ব্যারিকেড তৈরি করে পুলিশ।  পরে কামরুল, পলক, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ৫ জনকে মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে সারিবদ্ধভাবে আদালতে তোলা হয়। কিন্তু আদালতের তোলার সময় বাধে বিপত্তি। আদালতের লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে ৪ তলায় নেওয়া হয় তাদের। এতেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর রেগে যান কামরুল ইসলাম।  ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন, ফাইজলামি পাইছেন? দুইতলা বলে চার তলায় ওঠাচ্ছেন। ইতরামির একটা সীমা আছে। আদালতের লিফট কি নষ্ট? এতো উপরে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটানো হচ্ছে কেন? এসময় পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া আইনজীবীরা বলতে থাকেন, ‘আদালতে আপনারাই তো নষ্ট লিফট লাগাইছেন।’ এরপর কামরুল ইসলামকে পুলিশ সদস্যরা সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার সময় হাত ধরে সহায়তা করেন। অন্য আসামিদের মধ্যে পলক, চৌধুরী মামুনসহ যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম কবিরাজ ও আবুল হোসেন নামে এক রাজনৈতিক ব্যক্তিকে স্বাভাবিকভাবে মলিনমুখে হেঁটে যেতে দেখা যায়। এরপর শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত তাদের সবাইকে বিভিন্ন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এদিকে শুনানি শেষে কামরুল ইসলামকে আদালতের লিফটে না তুলে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারকীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, লিফটের সামনে অনেক সময় বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ, আইনজীবীদের ভিড় থাকে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে ঝামেলা এড়াতে অনেক সময় সিঁড়ি দিয়ে তোলা হয়।  সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী আরও বলেন, আর আদালতে আসলেই তিনি পুলিশের সাথে ঝগড়া করেন। কখনও আইনজীবিদের সঙ্গে ঝগড়া বাঁধান, আবার কখনো উচ্চবাচ্য করে বক্তব্য রাখেন। এটা ওনার স্বভাবজাত অভ্যাস। অন্যদিকে জুনাইদ আহমেদ পলকের আইনজীবী আফতাফ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কামরুল ইসলাম একজন বৃদ্ধ মানুষ। আজ আদালতের দুই তলায় শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চতুর্থ তলায় শুনানি হয়েছে। আসামিদের ভোগান্তি দেওয়ার জন্যই সিঁড়ি দিয়ে তোলা হয়েছে। আরটিভি/এসএইচএম