• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
সোনারগাঁয়ে শাওন হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মহজমপুর যোগীপাড়া এলাকায় শাওন মিয়া (২৪) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।  শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিহতের স্ত্রী তামান্না আক্তার, বাবা আলী আজগর ও ভাই মোতালেব মিয়াসহ এলাকার কয়েকশ নারী পুরুষ অংশ নেন। এ সময় হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি করেন তারা। নিহত শাওনের ভাই মোতালেব মিয়া বলেন, গত ২৯ আগস্ট শিশুদের খেলায় ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইসরাফিল মিয়া, ডাকাত শ্যামল, রিমন, রাকিব মিয়া ও রাব্বির নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাওন মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় শাওন ও তার পরিবারের লোকেরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা শাওনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। শাওন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি করেন তারা। পুলিশ এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার না করায় সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে আমাদের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
পুকুর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
গার্মেন্টস কর্মী হত্যায় আইভির বিরুদ্ধে মামলা
আদর্শবান ব্যক্তির দল কখনো আ.লীগ হতে পারে না: ফয়জুল করীম
লক্ষ্মীপুরে বন্যার্তদের পাশে ‘স্বপ্নের সোনারগাঁ’
গাজী টায়ার্স ভবনে মেলেনি জীবিত বা মৃত মানুষের অস্তিত্ব
নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জে দুর্বৃত্তের আগুনে বিধ্বস্ত গাজী টায়ার্সের ছয় তলা ভবনের কোথাও জীবিত বা মৃত কোনো মানুষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞরা।  বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নিচ তলার ভেতরে বেশ কয়েক জায়গায় এখনও আগুন জ্বলতে দেখা গেলেও এটা আর ছড়ানো আশঙ্কা নেই বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।  এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে উপজেলার রূপসি এলাকায় আগুনে পোড়া ভবনটি পরিদর্শনে যান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বুয়েটের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা। বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রাকিব আহসান সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভবনটির ৪, ৫ ও ৬ তলার ছাদের বেশ কিছু অংশ ধসে তিন তলার ছাদের ওপর পড়েছে। যে কারণে দুই তলা থেকে ছয় তলা পর্যন্ত ভেতরে তল্লাশি করা বা এই মুহূর্তে ভেঙে ফেলাও সম্ভব নয়। যে কোনো সময় পুরো ভবনটি ধসে পড়তে পারে। বর্তমান অবস্থায় ভবনটি রাজধানীর বিজয় সরণির র‍্যাংগস ভবনের চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই শুধুমাত্র নীচতলার বেইজমেন্টে তল্লাশি করার পরামর্শ দেন অধ্যাপক রাকিব আহসান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান মাহমুদ রাসেল, গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছাইফুল ইসলাম, কলকারখানা অধিদফতরের উপ মহাপরিদর্শক রাজীব চন্দ্র ঘোষ, তিতাসের উপ মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মঞ্জুর আজিজ মোহন ও পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার হরেন্দ্র নাথ বর্মনসহ কমিটির অন্য সদস্যরা। বুয়েটের অধ্যাপক ও তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে বেলা ১১টার ভবনটির নীচতলার বেইজমেন্টে নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। ভেতরের বিভিন্ন অংশ তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়। তবে এ সময় কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, ভেতরে কোনো মরদেহ বা মানবদেহের কোনো ধরণের অংশবিশেষ পাওয়া যায়নি। তাই উদ্ধার অভিযান আপাতত শেষ করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে ফায়ার সার্ভিসের তল্লাশি অভিযানের সময় নীচতলার ভেতরে বেশ কয়েক জায়গায় এখনও আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে আব্দুল মান্নান বলেন, ভেতরে কিছু কেমিক্যাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় স্বল্প পরিমাণে আগুন জ্বলছে। তবে এতে ভয়ের কোনো কারণ নেই। এই আগুন আর ছড়াতে পারবে না। তবে পরিস্থিতি ঠিক রাখতে আমরা কারখানার ভেতরেই অবস্থান করব। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তী যে নির্দেশ দেবেন, সে অনুযায়ী আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীকে নারায়ণগঞ্জ আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিনই রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় আনন্দ মিছিল বের করে বিএনপি ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় শত শত মানুষ গাজী টায়ার কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে মেশিনপত্র ও আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী লুটপাট করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ভবনের নীচতলায় দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিলে ছয় তলা পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় শতাধিক মানুষ ভবনটির ভেতরে আটকা পড়েন বলে দাবি করে আসছেন স্বজনরা। খবর পেয়ে ওইদিন রাত থেকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা চেষ্টার পর গত ২৬ আগস্ট সন্ধ্যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
গাজী টায়ার কারখানার সামনে স্বজনদের অপেক্ষার চতুর্থ দিন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার ভবনে আগুন তিন দিনেও নেভেনি। ছয় তলা ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার আশঙ্কায়। আগুনে কতজন প্রাণ হারিয়েছেন তা মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, স্থানীয় লোকজন নিখোঁজ ব্যক্তিদের ১৭৪ জনের তালিকার কথা বললেও আমাদের জানা নাই। মঙ্গলবার ওই এলাকায় নিখোঁজদের নিয়ে কাজ করা ছাত্ররা ৯৯ জনের নাম, ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি টানিয়ে দেয়। তাদের নিখোঁজ বলা হচ্ছে। ভবনের সামনে এখনো অনেক লোকের ভিড়। তারা দাবি করছেন, তাদের স্বজনরা ওই ভবনে ছিলেন। কিন্তু তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মো. ডাবলু নামে একজন জানান, তার ভাই ওই এলাকায় ছিলেন, তবে আগুন লাগার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।  সালেহা বেগম নামে একজন বলেন, আমরা ছেলে অটোরিকশা ড্রাইভার। সে-ও ওই এলাকায় ছিল। বাসা থেকে গাজী টায়ারে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক আমীর হোসাইন জানান, আগুন লাগার পর থেকে ছাত্ররা ফায়ার সার্ভিসের সাথে কাজ করছে। তারা মঙ্গলবার পর্যন্ত ৯৯ জন নিখোঁজের তালিকা করেছেন। তবে এটা প্রশাসন বা ফায়ার সার্ভিসের তালিকা নয়। ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বলেন, আমরা কোনো নিখোঁজের তালিকা করিনি। আমরা আগুন লাগার পর ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। কোনো মৃতদেহ আমরা এখনো পাইনি। উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, আসলে ছয়তলা ভবনটি পুরো পুড়ে গেছে। এখানে রাবার ও কেমিকেল থাকায় আমরা ১৬টি ইউনিট নিয়ে কাজ করেও আগুন নেভাতে পারিনি। এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পুরো নেভাতে সময় লাগবে। তিনি জানান, সরকারের পতনের দিন (৫ আগস্ট) থেকেই কারখানাটি বন্ধ ছিল। ফলে ভবনে প্রতিষ্ঠানটির কোনো লোক ছিল না। গত ২৫ আগস্ট রাত ১০টার দিকে গাজী টায়ার কারখানার ছয়তলা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। এরপর থেকে শত শত মানুষ এসে সেখানে জড়ো হচ্ছেন। গত ২৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তারের পর নারায়ণগঞ্জের আদালত তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। খবর পেয়ে সর্বশ্রেণির মানুষ কারখানাটিতে গণহারে লুটপাট চালায়। আগুন লাগার সময়ও লুট করতে গিয়ে শতাধিক মানুষ ভেতরে আটকা পড়েন বলে স্থানীয়রা জানান। গাজী টায়ারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট থেকেই আসলে গাজী টায়ার ভবন এলাকায় লুটপাট শুরু হয়। চত্বরে মোট ছয়টি ভবন। আরো চারটি শেড আছে। ফ্যাক্টরি ভবনটি ছয় তলা। ওই ভবনটি ছাড়া বাকি ভবন ও শেডে আগেই ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়। যে যার মতো মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। গেলাম দস্তগীর গাজী গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২৫ তারিখ ফ্যাক্টরি ভবনে আগুন দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ভবন বা অন্য কোনো ভবনে আমাদের কোনো কর্মচারি ছিল না। গেটে কয়েকজন নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন৷ তারা লোকজন আসতে দেখে আগেই চলে যান। ভিতরে কেউ যদি তখন থেকে থাকেন তারা আমাদের লোক নয়, তারা হয়ত লুটপাট করতে এসে ভবনে ঢুকেছিল। গাজী টায়ার কারখানাটি রূপগঞ্জের রপসী এলাকায়। ৯৬ বিঘা জমির ওপরে ২০১৩ সালে টায়ারের কারখানাটি করা হয়। কারখানায় দুই হাজার ৩০০ শ্রমিক কাজ করতেন। ছয় তলা ভবনটির প্রথম তিনটি ফ্লোরে ফ্যাক্টরি এবং বাকি তিনটি ফ্লোরে গোডাউন ছিল। এখানে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। কারখানায় লুটপাট ও আগুনের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। ফায়ার সার্ভিস জানায়, কেউ আগুন দিয়েছে না কোনো কারণে আগুন লেগেছে তা তারা তদন্ত করে দেখছেন। কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা-ও তদন্তের পর বলা যাবে। নারায়ণগঞ্জের অ্যাডিশনাল এসপি আমির খসরু বলেন, আসলে ওই ভবনটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হওয়ার আগে উদ্ধার কাজ চালানো যাবে না। এখনো থেকে থেকে আগুন জ্বলছে। রাবার ও কেমিক্যালের কারণে ফায়ার সার্ভিস ভবনের ভেতরে যেতে পারছে না। তারা বাইরে থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর নিখোঁজদের ব্যাপারে তিনি বলেন, আগুন লাগার পর স্থানীয়রা ১৭০-১৮০ জন নিখোঁজ বলে তালিকা দেন। তবে আসলে কতজন নিখোঁজ তা বলা যাচ্ছে না।
নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলে-মেয়েসহ আটক ৭
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার মাসদাইর এলাকা থেকে আনোয়ার হোসেন আনু নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (২৬ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পশ্চিম পাশে হেলেনা সেঞ্চুরি এ্যাপার্টমেন্টের লিফটের ফাঁকা জায়গার নীচতলা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।  জানা গেছে,  আনোয়ার হোসেন আনু ছেলে-মেয়ে নিয়ে ওই ভবনের নবম তলায় থাকতো। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে, মেয়ে ও শ্বশুর বাড়ির স্বজনসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পুলিশ ও নিহতের বড় ভাই বোন জানান, আনোয়ার হোসেন আনুর স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে চলে গেছে। সেই প্রেমিক, সাবেক স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে সম্পত্তির লোভে তাকে হত্যা করে লিফটের ফাঁকা জায়গায় ফেলে দিয়েছে। ঘটনাস্থলে যাওয়া এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতের ভাই বোন হত্যাকান্ডের অভিযোগ তুলেছে। এ ঘটনায় ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানার আগুন ১২ ঘণ্টায়ও নেভেনি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাজী টায়ার কারখানা এখনও জ্বলছে। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ১২ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়েও পুরোপুরো নেভাতে পারেনি। রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ আগুন লাগে কারখানাটিতে। এ সময়ে থেমে থেমে বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে বেশ কয়েকটি, যাতে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা। জানা যায়, স্থানীয়দের মাধ্যমে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড ও কাঞ্চন ফায়ার স্টেশন থেকে একে একে যোগ দেয় ১১টি ইউনিট। ভবনটির ভেতরে আটকা পড়ে আছেন অনেক লোক। আটকা পড়াদের জন্য তাদের পরিবার-পরিজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে কারখানা এলাকা। স্থানীয় অনেকে বলছেন, সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে কারখানাটিতে গণহারে লুটপাট চলে। আগুন লাগার সময়ও লুট করতে গিয়ে শতাধিক মানুষ ভেতরে আটকা পড়েন। লুটপাটের পর একদল দুর্বৃত্ত কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।  ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, অবকাঠামোগত ও ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা ও ভেতরে আটকা পড়াদের উদ্ধারের ব্যাপারটি জটিল হয়ে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে,আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসলে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। 
শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ১২৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আহসান কবির শরীফ নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ১২৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।  শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে নিহত আহসান কবির শরীফের বাবা হুমায়ুন কবির সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।  সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ে পিডিকে পেট্রলপাম্পের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আহসান কবির শরীফ।
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ সোনারগাঁয়ে ২৭৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে শফিক মিয়া (২৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, হাসান মাহমুদ, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১৫৬ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে নিহতের চাচাতো ভাই আবু হানিফ বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা করেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মহসিন। মামলার এজাহারে আবু হানিফ অভিযোগ করেন, ৪ আগস্ট তার চাচাতো ভাই শফিক মিয়া শেরপুর থেকে তার কাঁচপুরে সেনপাড়ার বাসায় বেড়াতে আসেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে পণ্ড করতে আওয়ামী-যুবলীগের নেতাকর্মীরা কাঁচপুরে জড়ো হয়ে অস্ত্রশস্ত্র, দেশীয় লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে তার চাচাতো ভাই সিনহা গার্মেন্টসের সামনে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।