• ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
logo
বগুড়ায় কারা হেফাজতে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
কনসার্টে দেখতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে দিনমজুর নিহত
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে বন্ধুদের সঙ্গে কনসার্ট দেখতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে এক দিনমজুর নিহত হয়েছেন। তার নাম মেহেদী হাসান (২৬)। শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৯টায় কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার। নিহত মেহেদী শহরের মালগ্রাম এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন।   মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের দর্শন বিভাগের পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে ক্যাম্পাসে কনসার্টের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে অ্যাসেজ ব্রান্ডের গানের পরিবেশন দেখতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। মেহেদী তার বন্ধুদের সঙ্গে কনসার্ট দেখতে কলেজে যান। এই সময় দুর্বত্তরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়৷   সুমন রঞ্জন সরকার আরও বলেন, কী কারণে হত্যাকাণ্ড তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আরটিভি/এমকে
বগুড়ায় বিদেশি পিস্তলসহ কৃষকলীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিখোঁজের পর মুক্তিপণ দাবি করা শিশুর মরদেহ মিলল পুকুরে
হাসপাতালের ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে যুবকের আত্মহত্যা
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজশাহীতে গ্রেপ্তার
কোটা সংস্কারের দাবিতে বগুড়া মেডিকেলে ক্লাস বর্জন
কোটা সংস্কারের দাবিতে মঙ্গলবার থেকে ক্লাস বর্জন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।   সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে কোটা সংস্কারের দাবিতে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।  রাত দশটার দিকে কলেজের বিভিন্ন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাড়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হন কলেজ ক্যাম্পাসে।  এ সময় তারা কলেজের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে এবং সারাদেশে এই আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।   শিক্ষার্থীরা জানান, কোটার কারণে সরকারি বিভিন্ন চাকরিতে মেধাবীরা বছরের পর বছর ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। তাই কোটা সংস্কার এখন সময়ের দাবি। এই দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে মেডিকেল কলেজে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণাও দেন শিক্ষার্থীরা।
‘রথযাত্রায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার’
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকার নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে এসে সংবাদিকদের এ কথা জানান।  বিদ্যুতে ঝলসে যাওয়া রোগীদের আশ্বস্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সাহস রাখুন, আপনাদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে।’ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও আমার মন্ত্রীর নির্দেশে আমি দুর্ঘটনায় আহতদের খোঁজ নিতে এসেছি। আহতদের মধ্যে দু-একজনের অবস্থা একটু খারাপ হলেও বাকিদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত।’ উত্তরাঞ্চলের গেটওয়ে বগুড়া। বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু বগুড়ায় কোনো পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট নেই এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়া চলছে। প্রথমে বিভাগীয় শহরের হাসপাতাল এবং পরে জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে বার্ন ইউনিট করা হবে।’ গত রোববার বিকেলে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত ৪৩ জনকে ভর্তি করা হয় শজিমেক হাসপাতালে। তার মধ্যে ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয় ও ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ৮ রোগীকে ছাড়পত্র দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাকি চিকিৎসাধীন ২৮ জনের খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে আসেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি রোগী ও রোগীর স্বজনদের খোঁজ খবর নেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের রোগীদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।  এ সময় বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মজিবর রহমান মজনু, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আলম, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল আলম জুয়েল ও বগুড়া স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি সামির হোসেন মিশুসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়ায় বাস ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৪ 
বগুড়ায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বনানী এলাকায় বাস ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আরও ৭ জন।   মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোরে বগুড়ার বনানী এলাকায় শাহ ফতেহ আলী নামে দূরপাল্লার একটি বাসের সঙ্গে বিপরীতমুখী কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ হলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুন্দুরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্বাস আলী।  ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নওগাঁগামী যাত্রীবাহী শাহ ফতেহ আলী বাসটি বনানীর লিচু তলা এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কাভার্ডভ্যান চালক হৃদয় ও অজ্ঞাত এক নারী বাসযাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শামীম নামে আরও একজন মারা যান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামাল উদ্দিন নামে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ওসি আব্বাস আলী বলেন, ‘ভোররাতে বনানীর লিচুতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪ জন নিহত হয়েছেন। এখনও আহত ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’   বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, দুর্ঘটনায় মৃত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনলে তাদেরকে মর্গে রাখা হয়েছে। বাকি আহত ৯ জনের মধ্যে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে আহত ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রথযাত্রা দুর্ঘটনা: ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি 
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি এস ইমরুল কায়েসকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম। এ দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে আইসিইউতে থাকা ২ জনকে ঢাকায় পাঠোনো হয়েছে। শজিমেক হাসপাতালে এখনও ২৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৮ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।  জানা যায়, রোববার বিকেল ৫টায় শহরের সেউজগাড়ীর ইসকন মন্দির থেকে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার উদ্বোধন করেন রাগেবুল আহসান এমপি, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। ইসকন মন্দির থেকে রথ টেনে নিয়ে কলেজ রোডে ওঠার পর পরই দুর্ঘটনা ঘটে। নেসকো-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মোন্নাফ জানান, সেখানে ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ছিল। নেসকোর বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে রথের সংস্পর্শ হলে বিদ্যুতায়িত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রথযাত্রার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য বগুড়া জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি এস ইমরুল কায়েসকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে রাখা হয়েছে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, নেসকো, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিদের। তাদের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারকে সৎকারকাজ সম্পন্নের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আর আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
বগুড়ায় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৫ জনের মৃত্যু
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অন্তত আরও ২৫ জন।  রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে শহরের সেউজগাড়ী আমতলা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল পাঁচটার কিছু পরে সেউজগাড়ি পালপাড়া এলাকা থেকে রথযাত্রা নিয়ে কয়েক হাজার পুণ্যার্থী বের হন। রথটি আমতলা সেউজগাড়ী মোড়ে স্টেশন রোডে ওঠার পর রথের মাস্তুলের সঙ্গে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সংযোগ ঘটে যায়। এতে মুহূর্তেই রথের সঙ্গে থাকা অসংখ্য পুণ্যার্থী বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়েন।  দুর্ঘটনায় আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়ার পর জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অলক, অতশী, নরেশ ও রঞ্জিতা নামে ৪ জন মারা যান। পরে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে মারা যান অজ্ঞাত আরও এক নারী। এখনও অন্তত ২৫ জন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত এবং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৫ জন ভর্তি রয়েছেন।’  তিনি আরও বলেন, ‘নিহতদের সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা জনপ্রতি অনুদান প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও আহতদের চিকিৎসা ব্যয়ভার জেলা প্রশাসন বহন করবে।’  এ বিষয়ে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য কারও গাফিলতি থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এই রথযাত্রায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসকসহ রাজনৈতিক সামাজিক নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।’  বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. ওয়াদুদ বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক ও নার্সরা কাজ করছেন।  হাসপাতালে ভর্তি ২৫ জনের মধ্যে ২ জন আইসিসিইউতে রয়েছেন।’ 
বগুড়ায় পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
বগুড়ায় পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের বারোপুর উত্তর মধ্যপাড়া বড়বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷  নিহতরা হলো উল্লেখিত এলকার বাসিন্দা সিএনজি অটোরিকশা চালক হাবিব ইসলামের দুই মেয়ে হিমা এবং জান্নাত। এরমধ্যে হিমার বয়স সাড়ে পাঁচ বছর এবং জান্নাতের বয়স আড়াই বছর।   ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ফুলবাড়ি ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম।  তিনি জানান, ‘একটি ডোবার পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খেলার সময় অসাবধানতাবশত তারা ডোবায় ডুবে মারা গেছে। পরিবারের কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় দুই বোনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’ নিহত দুই বোনের পরিবার জানায়, রোববার সকাল ১০টা থেকে হিমা ও জান্নাত দুই বোন নিখোঁজ ছিল। পরে তাদের মা ও দাদিসহ এলাকার লোকজন তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির পেছনের একটি ডোবায় দুই বোনকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।  দ্রুত চিকিৎসার জন্য মাটিডালি মোড়ে আদর্শ ক্লিনিকে নেওয়া হয়।  পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।