ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয়ের ধারায় ফেরার মিশন। সেই মিশনে উদ্বোধনী জুটিতে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা দুর্দান্ত শুরু করলেও মিডল অর্ডারদের ব্যর্থতার কারণে শেষ পর্যন্ত সেই মোমেন্টাম ধরে রাখা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে।
তানজিদ সাকিব ও লিটন দাসের দুর্দান্ত শুরু পর ধসে পড়া ব্যাটিং লাইন আপকে টেনে নিয়ে যান দুই বুড়ো মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের খরচায় ২৫৬ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা স্বপ্নের মতো হয় বাংলাদেশের। উদ্বোধনি জুটি থেকেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের আসে ৯৩ রান। দুর্দান্ত শুরুর পর তানজিদ হাসান তামিমের অর্ধশতক হাঁকিয়ে বিদায়ের মধ্য দিয়ে ভাঙ্গে ওপেনিং জুটি।
এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে তামিমকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন কুলদ্বীপ ইয়দাভ। এরপরই টাইগার শিবিরে শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল। সেই মিছিলে একে একে শামিল হয়ে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ।
উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে রেখে লড়াই চালিয়ে যাওয়া লিটন দাস দেখাচ্ছিলেন আশা। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি দেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৮২ বলে ৬৬ রান করা লিটনকে তিনি ফেরান শুভমান গিলের তালুবন্দি করে।
এরপর দলের হাল ধরতে এগিয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম। তাওহীদ হৃদয় ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকলেও রানের চাকার গতি বাড়ান মুশি। হৃদয় ৩৫ বলে ১৬ রানে ফিরলেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন দলকে।
শেষ পর্যন্ত মুশিও রণে ভঙ্গ দেন ৩৮ রানে।
মুশফিক হাল ছেড়ে দিলেও লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন রিয়াদ। ব্যাট চালাতে থাকেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু ৩৬ বলে ৪৬ করে তাকে থাকতে হয় বুমরাহর শিকার বনে।
শেষদিকে আর কার্যকরী ইনিংস খেলা সম্ভব হয়নি টাইগার ব্যাটাদের কারো পক্ষেই। যে কারণে ৮ উইকেটের খরচায় ২৫৬ রানের পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ।