• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
সুন্দর ও চিকন হতে চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
সৌদি নাগরিককে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুললেই মেলে কোটি কোটি টাকা, বিপুল স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন চিরকুট। এবার সৌদি নাগরিককে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার চিরকুট মিলেছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ১০টি দানবাক্স ও একটি ট্যাংক থেকে রেকর্ড ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। সঙ্গে পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না। নাম-পরিচয়হীন ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে— ‘আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাগলা মসজিদ, আমি একজন সৌদিয়ানকে ভালোবাসি। হে মহান আল্লাহ তুমি তাদের আমার করে দাও। আমি যেন তাকে বিবাহ করিতে পারি। (সুম্মা আমিন)। হে আমার রব, তুমি আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিও না। হে রব, তুমি আমাকে নবীর দেশে-পবিত্র মাটিতে জন্মগ্রহণ করার সৌভাগ্য দিয়েছ, আমি যেন আবার সেই সৌভাগ্য নিয়ে তোমার পবিত্র মাটিতে মৃত্যুবরণ করিতে পারি। (আমিন)। আমি যেন পড়ালেখাই ভালো হতে পারি, আমার পরিবারে যেন শান্তি বয়ে আসে। (আমিন) আমি যেন হালাল রুজি রোজগার করিতে পারি (আমিন)। হে রব - হে মহান আল্লাহ তোমার কাছে দুই হাত তুলিয়া চাহিতেছি তুমি আমাকে মক্কাবাসীর ভালো এক উত্তম, দ্বীনি সুদর্শন লোকের সহিত বিবাহ করিয়ে দাও (আমিন।) যে, আমার চিঠিখানা পড়িয়াছেন আমাদের জন্য দোয়া করবেন, নেক আশা করিয়া চিঠিখানা লিখেছি। ইতি তোমার পাপী বান্দা।’ এর আগে, গত ১৭ আগস্টও এমন একটি চিরকুট পাওয়া যায় পাগলা মসজিদের দান বাক্সে। যেখানে একজন প্রেমিকা মুসলিম হয়েও খ্রিস্টান ছেলেকে জীবনসঙ্গী করে পেতে চিঠি লেখেন। তার আগে গত ২০ এপ্রিল সাইফুল ইসলামের নামের এক প্রেমিক চিঠি লিখেন পাঠান দানবাক্সে। আরটিভি/এসএপি/এস
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা  
ইসকনের প্রার্থনালয়ে হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
পাগলা মসজিদে চার ঘণ্টায় পাওয়া গেল যত টাকা 
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
কিশোরগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত (৬৫) এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।  শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের ফকির বাড়ি রেলক্রসিং মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অজ্ঞাত ব্যক্তি রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস লোকাল ট্রেনটি ফকির বাড়ির রেলক্রসিংয়ের কাছে পৌঁছালে ওই বৃদ্ধ ব্যক্তির শরীরের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে তিনি ছিটকে পড়ে যান। পরে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। দুর্ঘটনার আগে ট্রেনটি বেশ কয়েকবার হর্ন দেয়। দুর্ঘটনার পরপর আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পায়। কিন্তু কেউ তাকে চিনতে পারেননি।  ঘটনার পর স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। ওই জায়গায় পূর্বেও এমন অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার এসআই হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন আমাদের ফোন দিয়ে জানায়। আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। এখনো তার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না। পরিচয় শনাক্তে কাজ করছি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। আরটিভি/এমকে
ভৈরবে আন্তর্জাতিক মানের নৌবন্দর করা হবে: এম সাখাওয়াত 
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ভৈরব নদী বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের নদীবন্দর করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন। সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভৈরব বাজার নদী বন্দর পরিদর্শন করার সময় এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, বন্দর নগর ভৈরব কিশোরগঞ্জ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। ভৈরব বাজার বন্দর নগরে বেশ কয়েক দিন ধরে প্রকল্পটি নিয়ে পর্যালোচনা চলছিল। রোববারই আমি প্রকল্পটির সম্পর্কে জেনেছি। সেজন্যই আজ প্রকল্পের কাজ শুরু করার পূর্বে সরেজমিনে এসে পরিদর্শন করলাম। তিনি আরও বলেন, এখানে আন্তর্জাতিকভাবে স্ট্যান্ডার্ড বন্দরের মান রক্ষায় বিশ্ব ব্যাংকের কতগুলো প্রজেক্টের মধ্যে ভৈরব বন্দরটি নির্মিত হবে। অল্প সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হবে। প্রকল্পটির মধ্যে চারটি ঘাট নির্মিত হবে। যেখানে লঞ্চঘাট, স্পিডবোট ঘাট, মালামাল পরিবহন ঘাট ও কার্গোঘাট থাকবে। মূলত, প্রোপার একটি আধুনিক বন্দর নির্মিত হবে। তবে এখানে প্রকল্প তৈরির সময় জনগণের সাময়িক অসুবিধা হতে পারে, আপনারা দেশের বৃহৎ স্বার্থে এটি মেনে নেবেন। আগামী বছরের ডিসেম্বেরে শেষ না করলে অর্থ ফেরত যাবে। তবে আশা করছি তা হবে না। সব তৈরি আছে, ঠিক সময়েই কাজ শেষ হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটির চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটির প্রকল্প পরিচালক আয়ুব আলী, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমীন, ভৈরব সার্কেল অফিসের এএসপি নাজমুস সাকিব, উপজেলা কমিশনার (ভূমি) রিদুওয়ান আহমেদ রাফি, থানার ওসি মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ প্রমুখ। আরটিভি/এমকে-টি
কিশোরগঞ্জে মাদরাসাছাত্র হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া মাদরাসাছাত্র আবুল হোসেন হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফারুক পাকুন্দিয়া উপজেলার বারাবর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন- একই এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু মেম্বার এবং সিরাজুদ্দিনের ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায় আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. ফারুক ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রিয়াজউদ্দিন পলাতক রয়েছেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে পাকুন্দিয়া উপজেলার বারাবর গ্রামের সৌদিপ্রবাসী মো. রেনু মিয়ার মাদরাসা পড়ুয়া ছেলে আবুল হোসেনকে (১৪) নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় একই এলাকার মো. ফারুক। এরপর থেকে আবুল হোসেনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ৫ সেপ্টেম্বর আবুল হোসেনের মা পাকুন্দিয়া থানায় নিখোঁজের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ২০০৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাড়ির পার্শ্ববর্তী খামা শৈলমারী বিলের পানিতে বাঁশের খুঁটিতে গলা ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আবুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একই দিন আবুল হোসেনের মা নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ফারুকসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মোবাইল ফোন আত্মসাৎ করার জন্যই আবুল হোসেনকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। আরটিভি/এএএ  
কিশোরগঞ্জে ২ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার রাতে গাজীপুরের গাছা থানার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামিকে পাকুন্দিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (৩ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা রুবেল।   এ বিষয়ে কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির বলেন, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসদরে ছাত্র-জনতার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অনেকে গুলিবিদ্ধসহ আহত হন। ওই ঘটনায় পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের করা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে মো. শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও নাজমুল হুদা রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরটিভি/এমকে-টি
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, ২ বন্ধু নিহত
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন।  রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মঠখোলা নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- এগারসিন্দুর ইউনিয়নের চরখামা এলাকার কামালের ছেলে পলাশ (১৭) ও আসাদের ছেলে রিয়াদ (১৮)। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর ১২টার দিকে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা নতুন বাজার এলাকায় অটোরিকশাকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়। এগারসিন্দুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য শিরিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আরটিভি/এএএ
ভৈরবে আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।  এ ছাড়াও সংঘর্ষের ঘটনায় নয়জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খরব পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয়রা জানায়, সাদেকপুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তফাজ্জল হকের লোকজনের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে কাইয়ুম মিয়া নিহত হন। নিহত কাইয়ুম বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহর সমর্থক ছিলেন।  জানা গেছে, মৌটুপি গ্রামে সরকার বাড়ির বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাফায়েত উল্লাহ ও কর্তা বাড়ির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং বিএনপি নেতা মো. তোফাজ্জল হক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে প্রায় এক ডজন খুনের ঘটনা ঘটেছে। গত ঈদের পরদিন তোফাজ্জল হকের পক্ষের নাদিম মিয়া সরকার বাড়ির লোকজনের আঘাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এরই জের ধরে কয়েক দিন পর কর্তা বাড়ির লোকজনের হাতে সরকার বাড়ির ইকবাল খুন হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের কয়েক শ’ বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। দুটি খুনের ঘটনায় উভয় পক্ষের ২০০ আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। এরইমধ্যে কর্তা বাড়ির নাদিম হত্যা মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়িতে চলে এলেও সরকার বাড়ির ইকবাল হত্যা মামলার আসামিরা জামিন না নিয়ে বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে আসলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামলে কাইয়ূম মিয়া বল্লমের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন। এ ব্যাপারে সরকার বাড়ির বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাফায়েত উল্লাহ বলেন, কর্তা বাড়ির নাদিম মারা গেলে আমাদের গোষ্ঠীর কমপক্ষে দুইশ বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ৫২ বছর যাবত তোফাজ্জল হক তার বংশের লোকজন নিয়ে আমাদেরকে অত্যাচার-নির্যাতন করছে আসছে। আমার দুই ভাইকে তারা হত্যা করেছে। আজও আমার বংশের কাইয়ুমকে তারা হত্যা করল। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। অপরদিকে প্রতিপক্ষ কর্তা বাড়ির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক বলেন, আজ আমার বংশের লোকজন বাড়িতে গেলে সরকার বাড়ির লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। ফলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। আমরা অত্যাচার নির্যাতন করি না বরং সরকার বাড়ির লোকজনের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। সংঘর্ষে একজন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ। আরটিভি/এএএ/এসএ