• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
১২০ টাকায় স্বপ্নপূরণ ৩১ তরুণ-তরুণীর
রাজবাড়ী পুলিশ লাইনস ড্রিলশেডে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন। এতে ২৩ জন ছেলে এবং ৮ জন মেয়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জনকে অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ৯টায় চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল। কোনো প্রকার হয়রানি, সুপারিশ ও ঘুষ-তদবির ছাড়াই পুলিশের সদস্য হতে পেরে খুশিতে আত্মহারা হতদরিদ্র, মধ্যবিত্ত ও কৃষক পরিবারের এসব তরুণ-তরুণী। চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাওয়া এই ৩১ তরুণ-তরুণী মাত্র ১২০ টাকা সরকারি ফি দিয়ে আবেদন করেছিলেন।  সারাদিন অপেক্ষার পর রাত ৯টায় চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সময় এক আনন্দঘন মুহূর্ত দেখা গেছে পুলিশ লাইনস ড্রিলশেডে। নিজ যোগ্যতা ও মেধায় চাকরির ফলাফল পাওয়া মাত্রই ৩১ জন তরুণ-তরুণী আনন্দে বিমোহিত হয়ে পড়েন। অনেকের নাম ঘোষণার পরপরই দুই চোখ আনন্দ অশ্রুতে ভিজে যায়। অনেকেই চাকরি পেয়ে আনন্দ উল্লাস করেন। মনোনীত প্রার্থীদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পুলিশ সুপার মোছা. শামীমা পারভিনসহ নিয়োগ বোর্ড ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় নিয়োগ বোর্ডের সদস্য গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ লুৎফুল কবির চন্দন, মুন্সীগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) কাজী হুমায়ুন রশিদ, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরীফ আল রাজীবসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ‘আমার বাবা একজন ভ্যানচালক। আমি মাত্র ১২০ টাকা দিয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে আবেদন করেছিলাম। কখনো ভাবিনি এই ১২০ টাকা দিয়েই আমার চাকরি হয়ে যাবে। ভাবতাম টাকা ছাড়া পুলিশে কোন চাকরি হবে না। আমি নিজে চাকরি পেয়ে বুঝতে পারলাম যে টাকা ছাড়াও পুলিশে চাকরি হয়। আবেগাপ্লুত হয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাওয়া রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের রাজধরপুর গ্রামের মো. মিরাজ শেখের মেয়ে মোছা. মীরা খাতুন।’ কনস্টেবল নিয়োগের চূড়ান্তভাবে প্রথম স্থান অধিকার করা সদর উপজেলার খানখানাপুর ব্যাপারী পাড়ার রহিম বিশ্বাস বলেন, আমার বাবা একজন সাধারণ শ্রমিক। তিনি অনেক কষ্ট করে আমাকে পড়ালেখা করিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমার অনেক ভালো লাগছে আমি একজন গর্বিত পুলিশ সদস্য হতে পেরেছি। আমি অনেক পরিশ্রম করে নিজের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে আজ পুলিশে চাকরি পেয়েছি। পাংশা উপজেলা কুড়াপাড়ার বাসিন্দা রিফাজুর রহমান বলেন, আমি পাংশা সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কনস্টেবল পদে সার্কুলার দেখে আমি আবেদন করেছিলাম। চাকরিটা আমার খুব দরকার ছিল। পাশাপাশি আমার স্বপ্ন ছিল আমি পুলিশে চাকরি করবো। চাকরিটা পেয়ে আমি খুব খুশি। মীরা খাতুনের বাবা ভ্যান চালক মিরাজ শেখ বলেন, আমি একজন ভ্যানচালক। ভ্যান চালিয়ে দুই মেয়েকে মানুষ করেছি। অনেক কষ্ট করে তাদের লেখাপড়া শিখিয়েছি। বড় মেয়েটার গতবার চাকরি হয়নি। কিন্তু এবার বিনা পয়সায় চাকরি হয়েছে। আমার খুব ভালো লাগছে। ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ কমিটির সভাপতি রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন বলেন, মাত্র ১২০ টাকায় অনলাইন আবেদন করার মাধ্যমে তারা আজকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য হওয়ার সুযোগ লাভ করেছে। আশা করছি তারা সকলেই দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে পুলিশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে। প্রসঙ্গত, ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে রাজবাড়ীতে ৩১ জনের শূন্য পদের বিপরীতে অনলাইনে আবেদন জমা পড়েছিল ২ হাজার ৩৩টি। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে ১ হাজার ৪৯৭ জন চাকরি প্রার্থী শারীরিক মাপ ও শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। শারীরিক মাপ ও শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষা শেষে ৩৫৭ জন লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। গত ১৭ নভেম্বর ৩৫৪ জন চাকরি প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০৭ জন উত্তীর্ণ হন। তারা ২৪ নভেম্বর মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে থেকে চূড়ান্তভাবে ৩১ জনকে (২৩ জন ছেলে ও ৮ জন মেয়ে) মনোনীত করে নিয়োগ বোর্ড৷ এদের মধ্যে ২৬ জনকে নিয়োগ দিয়ে অপেক্ষমান রাখা হয় ৫ জনকে। আরটিভি/এফআই/এস
নাব্যতা সংকট, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৫ ঘাট বন্ধ
বীজের চড়া দামে রাজবাড়ীতে পেঁয়াজ-রসুন আবাদে খরচ বাড়ছে
ছাত্রদল নেতাকে হত্যাচেষ্টা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার 
একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে ছাত্রদল: নাসির উদ্দীন
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন বলেছেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে রয়েছে ছাত্রদল। গত সাড়ে ৩ মাসে ছাত্রদলের ৩ শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। শুধু বহিষ্কার করেই ছাত্রদল থেমে থাকেনি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে গ্রেফতার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজবাড়ী সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নাসির উদ্দীন বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের ক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স নীতির মধ্যে রয়েছি। কোনো নেতাকর্মী সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজের সাথে দলীয় নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তাকে শুধুমাত্র বহিষ্কার নয়, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে কলেজের আগত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কথা শোনেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। লিফলেট বিতরণ শেষে কলেজ প্রাঙ্গণে একটি বকুল ফুল গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক মুসতাসিম বিল্লাহ অপু, গোলাম মোস্তফা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান, রাজবাড়ী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান, সদস্য সচিব মো. শাহিনুর রহমান, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ছাত্রদলের সভাপতি টোকন মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল মণ্ডলসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এএএ 
রাজবাড়ী ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় রাজবাড়ী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জয় মিজিকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাগমারা মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জয় মিজি সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামের মো. টুকু মিজির ছেলে। তিনি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বাবা টুকু মিজি মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট দুপুর সোয়া ১টার দিকে গোয়ালন্দ মোড়ের করিম পেট্রোল পাম্পের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাধারণ জনগণের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় গত ২ অক্টোবর সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের ব্রাকপাড়া গ্রামের মো. ইদ্রিস ফকিরের ছেলে মো. শাহিন ফকির (৩৮) বাদী হয়ে সদর থানায় ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জয় মিজি এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন। মামলার বাদী শাহিন ফকির বলেন, গত ৫ আগস্ট গোয়ালন্দ মোড়ে করিম পেট্রোল পাম্পের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় আমার আপন ভাই রেজাউল করিম ও মা রাহেলা বেগমসহ আরও অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় আমি ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করি। এ ছাড়াও গত ১৮ জুলাই বিকেলে রাজবাড়ী বড়পুল মোড়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে অতর্কিতভাবে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় গত ৩০ আগস্ট শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলাতেই জয় মিজি এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন। রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদেরভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জয় মিজিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুটি মামলার তিনি এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন। তাকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আরটিভি/এএএ   
একই দিনে মৃত্যুর ইচ্ছা পূরণ হলো দম্পতির!
রাজবাড়ীর সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের আলাদিপুর গ্রামে দীর্ঘ ৬০ বছরের সংসার শেষে প্রায় একই দিনে মৃত্যুর ইচ্ছা পূরণ হয়েছে এক দম্পতির। তারা হলেন- আব্দুল কাদের শেখ (৮৫) ও জাহানারা বেগম (৭৫)। তাদের দাফনও হয়েছে পাশাপাশি। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে স্ত্রী জাহানারা বেগমের মৃত্যুর ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে মারা যান স্বামী আব্দুল কাদের শেখ।  আব্দুল কাদের শেখ আলাদিপুর এক নম্বর কলোনি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। দুপুরে একসঙ্গে জানাজা শেষে গুচ্ছগ্রামের পাশের কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয় স্বামী স্ত্রীকে। স্বজনরা জানান, আব্দুল কাদের ও জাহানারা বেগম দম্পতির জীবদ্দশায় চাওয়া ছিল তাদের মৃত্যু যেন একদিনেই হয়। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে আব্দুল কাদের ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা আলাদা অলাদা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।  ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাহানারা বেগম। তার মরদেহ স্বামীর বাড়িতে না নিয়ে একই ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে নেওয়া হয়। প্রথমে স্বামী আব্দুল কাদেরের কাছে গোপন রাখা হয় স্ত্রীর মৃত্যুর খবর। গভীর রাতে এ খবর জানতে পেরে ভেঙে পড়েন আব্দুল কাদের। রাতেই পরিবারের সদস্যদের অনুরোধ করে হাসপাতাল থেকে তিনি নিজ বাড়িতে চলে আসেন। সকালে পরিবারের লোকজন আব্দুল কাদেরকে স্ত্রীর মরদেহ দেখানোর জন্য তার শ্বশুরবাড়ি ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামে আনার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। এমন অবস্থায় স্ত্রীর মরদেহ দেখার আগেই সকাল ৯টার দিকে মারা যান আব্দুল কাদের। পরে তার মরদেহ স্ত্রীর কাছে নিয়ে আসা হয়। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর গোসলসহ অন্যান্য ধর্মীয় কাজ শেষে দুপুরে তাদের মরদেহ আলাদিপুর এক নম্বর কলোনি হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় এনে জানাজা নামাজ পড়ানো হয়। এরপর আব্দুল কাদেরের বসতভিটা আলাদিপুর এক নম্বর কলোনি গুচ্ছগ্রামের পাশের কবরস্থানে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়। আব্দুল কাদেরের প্রতিবেশী খোরশেদ আলম বলেন, কাদের ভাই ও তার স্ত্রী বেঁচে থাকতে সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গেই যেন তাদের মৃত্যু হয়। তারা মরণেও পাশাপাশি কবরে থাকতে চেয়েছিলেন। অবশেষে অলৌকিকভাবে তাদের সেই ইচ্ছাই পূরণ হয়েছে। ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে তারা পৃথিবী ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বক্কার ছিদ্দিক বলেন, ঘটনাটি বিস্ময়কর। স্বামী-স্ত্রীর একই দিনে স্বাভাবিক মৃত্যু তেমন দেখা যায় না। আরটিভি/এএএ/এস
রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা তানভীর শেখ (২১) হত্যা মামলায় জাহিদুল ইসলাম জিসান (২২) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরীফ আল রাজীব। রাজবাড়ী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান বলেন, ‘তানভীর হত্যা মামলায় পৌর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে যদি তার সম্পৃক্ততা থেকে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ গ্রেপ্তার জিসান সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের কামালদিয়াকান্দি গ্রামের নুরুর ছেলে। তিনি রাজবাড়ী পৌর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তানভীর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ২ নম্বর আসামি। নিহত তানভীর শেখ রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।  তিনি পৌরসভার বিনোদপুর এলাকার বাবু শেখের ছেল ও ডা. আবুল হোসেন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শরীফ আল রাজীব বলেন, গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে তানভীরের মামা আলম শেখ বাদী হয়ে সবুজকে ১ নম্বর আসামি ও জিসানকে ২ নম্বর আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (১৭ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে জিসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিসান পুলিশকে জানান, তিনি তানভীর শেখের হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। পরে তার দেখানো পথ অনুযায়ী সোমবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সোনাকান্দর মৌলভীঘাট-সংলগ্ন কবরস্থানের ভেতর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি স্টিলের সুইচ গিয়ার চাকু ও একটি লোহার চাপাতি উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তানভীর হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শরীফ আল রাজীব আরও বলেন, এর আগে ১৩ নভেম্বর তানভীর হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি কাজলকে ও ৮ নম্বর আসামি রহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার প্রধান আসামি সবুজসহ বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিনোদপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বাড়ির পাশে মুন্নুর দোকানে ডিম আনতে যান তানভীর। সেখানে কিছুক্ষণ দেরি করে পৌনে ৯টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে বিনোদপুর সার্বজনীন দুর্গামন্দির-সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড় এলাকায় সবুজ ও জিসানসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। এতে তার পেট থেকে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেন। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ফরিদপুর নেওয়ার পথে মারা যান তানভীর।
সংবাদ প্রকাশের জেরে হামলা, ৬ বছরেও সুস্থ হতে পারেননি সাংবাদিক আজাদ
শুরুতে হুমকি-ধমকি, পুলিশ দিয়ে হয়রানি, বাড়ি তল্লাশি শেষে হামলা। সংবাদ প্রকাশের জেরে ফ্যাসিস্ট সরকারের নেতাকর্মীদের হামলার ৬ বছরেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেননি রাজবাড়ীর পাংশার সাংবাদিক এ কে আজাদ। হামলায় বাম হাতের ৮ অংশ, ডান হাতের কনুই-আঙ্গুলসহ দুপা ভেঙে যায়। এ ছাড়াও রয়েছে শরীরের বিভিন্ন অংশে রয়েছে শতাধিক আঘাতের চিহ্ন। জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তার ওপর এ হামলা হয়। হামলার কয়েকদিন আগে ‘টোকাই সম্রাজ্যে দিশেহারা মানুষ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিক আজাদ। এরপর থেকে রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী ক্যাডার শহিদুল ইসলাম মারুফসহ বেশকয়েকজন নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও নাজেহাল করে। এ ছাড়াও পাংশা মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ নিজেও নানাভাবে হয়রানি করে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে। পরে ২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে পাংশা পোস্ট অফিসের সামনে থেকে আজাদের ওপর হামলা করে মদাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম মারুফ, পাংশা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দিপক কুন্ডু, ক্যাডার শফিক, আলি, কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আাতিউর রহমান নবাব, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ্বাসসহ ২০ থেকে ২৫ জন। সেসময় লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। হামলার সময় ৩ জনের কাছে পিস্তলও ছিল।  পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাংশা হাসপাতাল, পরে ঢাকা পঙ্গুতে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে মৃত্যর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে লড়তে কোনরকমে বেঁচে আছেন তিনি। হামলাকারীরা সবাই সাবেক রেলপথ মন্ত্রী ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিমের আশীর্বাদপুষ্ট।  হামলার পর ২৫ জনের নামে রাজবাড়ী কোর্টে মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক এ কে আজাদ। তবে সেই মামলা লড়তে পারেননি তিনি। নানারকম হুমকি-ধমকি ও চাপে পড়ে তা তুলে নিতে বাধ্য হন। হামলার পর জীবন বাঁচাতে জমি বিক্রি করে উন্নত চিকিৎসা করান সাংবাদিক এ কে আজাদের পরিবার। তবে সেই টাকায়ও সুস্থ্য হতে না পেরে পাংশা কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ ও অগ্রণী ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা লোন করেন। ৬ বছরে তুলনামূলক সুস্থ হতে তার ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। এ বিষয়ে সাংবাদিক একে আজাদ বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের জেরে হামলার শিকার হয়েছি। যার ক্ষত এখনও বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। তবে সুস্থ্য হতে পারিনি। স্বাভাবিক জীবনযাপনেও নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। হামলার ঘটনায় মামলা করার পর সাবেক রেলপথ মন্ত্রী ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিমের হুমকি-ধমকিতে পরিবারের কথা চিন্তা করে তা তুলে নিতে বাধ্য হই। চিকিৎসা করাতে বসতভিটা বিক্রি করতে হয়েছে। সেই টাকাতেও হয়নি, পরে ব্যাংক থেকে লোন ও স্ত্রীর স্বর্ণের গহনা বিক্রি করে চিকিৎসা করিয়ে জীবন বাঁচিয়েছি। বর্তমানে ব্যাংকের সুদ দিতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছি। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমার ওপর হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত, ব্যাংক লোন মত্তকুফ ও চিকিৎসা বাবদ আর্থিক সহযোগিতা করার দাবি করছি।’ দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সাংবাদিক হামজা শেখ বলেন, ‘সাংবাদিক আজাদ এখনও সুস্থ হতে পারেননি। জমিজমা সবই বিক্রি করে দিয়েছে। আবার ব্যাংকে অনেক টাকা ঋণী। নিজের চিকিৎসা খরচসহ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। এমন অবস্থায় তার পাশে কেউ না দাঁড়ালে পরিবার-পরিজন নিয়ে অথৈ সাগরে পড়বেন সাংবাদিক আজাদ।’ পাংশা বার্তার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রঞ্জু বলেন, ‘দীর্ঘ ৪৫ বছরের সাংবাদিকতার জীবনে কোন সাংবাদিককে এত নির্যাতিত হতে দেখিনি। আর এরকম ঘটনাও শুনিনি। অসুস্থ শরীর নিয়ে জীবন পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন সাংবাদিক আজাদ। এই নির্যাতিত সাংবাদিকের পাশে এসে দাঁড়াতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন করছি।’ আরটিভি/এমকে
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, রাজবাড়ীতে যুবলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার 
রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় জেলার সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. সহিদুজ্জামান রাজাকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মাহমুদুর রহমান। গ্রেপ্তার মো. সহিদুজ্জামান সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব ভবদিয়া গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেন মোল্লার ছেলে এবং বরাট ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র, অভিভাবক ও শিক্ষকরা রাজবাড়ী শহরের বড়পুল মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে অতর্কিতভাবে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর নির্দেশে সন্ত্রাসীরা আন্দোলনকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা নিক্ষেপ করে ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। এ ঘটনায় গত ৩০ আগস্ট শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  মামলায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, ইরাদত আলীর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক কাজী রকিবুল হাসান শান্তনু, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজিব, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান মিয়া সোহেল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহিন শেখ ও রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর শেখ তিতুসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় বরাট ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. সহিদুজ্জামান রাজাকে বৃহস্পতিবার রাতে ডিবি পুলিশের সহায়তায় সদর উপজেলার উড়াকান্দা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরটিভি/এমকে/এআর