কুষ্টিয়া উপবিভাগীয় সড়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন এক নৃত্যশিল্পী। সোমবার সকাল থেকে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় সড়ক উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ের গাড়িচালক রাব্বির সঙ্গে বিয়ের দাবিতে ওই নারী অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবারও (২৪ ডিসেম্বর) তাকে ওই নারীকে অনশনে বসে থাকতে দেখা যায়।
এ নিয়ে শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় পরিস্থিতি বুঝে অফিস ছেড়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানা যায়, রাব্বি আহমেদ ইমরান উপবিভাগীয় প্রকৌশলী লিটন আহমেদ খানের গাড়িচালক। রাব্বি বরিশাল জেলার পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগকারী নারী কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন নৃত্যশিল্পী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে আমরা দেখতে পাই একজন নারী সড়ক অফিসে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, গাড়িচালক রাব্বির সঙ্গে দুই বছর ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
ওই নারী বলেন, আমি বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে থাকি। রাব্বির সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে আমার পরিচয় হয়। এরপর মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক হয়। দুই বছর ধরে আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতো থেকেছি। বিয়ের প্রলোভনে এতদিন সম্পর্ক রাখলেও এখন আমি বিয়ে করতে রাজি না। রাব্বি আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবো।
তিনি আরও বলেন, রাব্বির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে আমি প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়েছি। সে প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ভোগ করেছে। এখন বিয়ে করতে রাজি না। আজকে আমি অসহায় হয়ে এখানে এসেছি বিয়ের দাবিতে। সে আমার একটি বাচ্চাও নষ্ট করেছে। সে বলেছে আমাকে কোনোদিন ছেড়ে যাবে না। কিন্তু এখন নানা তালবাহানা করছে। আমি রাব্বিকেই বিয়ে করবো। তা না হলে আমি আত্মহত্যা করবো।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গাড়িচালক রাব্বি আহমেদ ইমরান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী লিটন আহমেদ খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের অফিসে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।
আরটিভি/এমকে