• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিচার জনগণই করবে: গোলাম পরওয়ার
মেহেরপুরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক ১
মেহেরপুরের মুজিবনগরে ময়েন উদ্দিন (৩৫) নামের একজনকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করেছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার যতারপুর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। আটক ময়েন উদ্দিন যতারপুর গ্রামে জমির বিশ্বাসের ছেলে। মুজিবনগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা আমাম হোসেন মিলুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এই ময়েন উদ্দিন। ‌ অভিযান সূত্রে জানা যায়, যৌথ বাহিনীর একটি বিশেষ দল সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ময়েন উদ্দিনকে আটক করে। এ সময় নিজ গ্রামের মাঠে পান বরজের ভেতরে লুকিয়ে রাখা দেশীয় তৈরি এক নলা একটি বন্দুক এবং দুই রাউন্ড গুলির সন্ধান দেয় আটক ময়েন উদ্দিন। অস্ত্র গুলিসহ রাতেই তাকে মুজিবনগর থানায় সোপর্দ করে যৌথ বাহিনী। মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ময়েন উদ্দিনের নামে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। ওই মামলার আসামি হিসেবে বুধবার তাকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে। আরটিভি/এএএ
মেহেরপুর মোনাখালি ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
মেহেরপুরে অস্ত্রসহ ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার 
আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেপ্তার
মেহেরপুর সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
মেহেরপুরে জেলা আওয়ামী লীগের ২ নেতা আটক 
মেহেপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলমকে আটক করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। বুধবার (৩০ অক্টোবর) র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্প সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এমএ খালেক সদ্য সাবেক গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং একেএম শফিকুল আলম ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।   র‌্যাব জানায়, বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করার জন্য তারা দুজন নিজ নিজ বাড়িতে আওয়ামী সমর্থিত লোকজন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এ কারণে তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করার লক্ষ্যে গাংনী থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।  আটক দুজনকে মেহেরপুর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে।  মেহেরপুর গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, ‘আটক দুজনকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করার জন্য আইনি কার্যক্রম চলমান।’ আরটিভি/এমকে
বোমাসদৃশ বস্তু, চিরকুট ও কাফনের কাপড় রেখে প্রাণনাশের হুমকি
মেহেরপুরের গাংনীর চৌগাছা গ্রামের বস্তা ব্যবসায়ী জয়নাল হোসেনের বাড়ির সামনে থেকে দুটি বোমাসদৃশ বস্তু, কাফনের কাপড় এবং প্রাণনাশের হুমকি সম্বলিত একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে গাংনী থানা পুলিশ এগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে। জয়নাল হোসেন জানান, সকালে তিনি বাড়ির মেইন গেটের সামনে লাল স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো দুটি বোমাসদৃশ বস্তু, কাফনের কাপড় ও হাতে লেখা প্রাণনাশের হুমকি সম্বলিত একটি চিরকুট দেখতে পান। চিরকুটে দুটি ফোন নম্বর দেওয়া আছে যোগাযোগের জন্য। অন্যথায় গুলি করে হত্যা করা হবে বলেও চিরকুটে লেখা হয়।  গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, ভয় ভীতি দেখিয়ে কেউ স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। আরটিভি/এফআই
মেহেরপুরে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযান, ৩ অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দায়িরয়াপুর গ্রাম থেকে তিন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল।  মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে তাদের আটক করা হয়।  আটককৃতরা হলেন, দারিয়াপুর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৭), কাউছার আলীর ছেলে এনামুল হক (২৮) এবং মিন্টু শেখের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৬)।  জানা যায়, অস্ত্র ব্যবসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর একটি বিশেষ আভিযানিক দল কয়েকজন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে মঙ্গলবার আটক করে। মেহেরপুর শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার তুফানের ছেলে আলিফের কাছে তারা অস্ত্র বিক্রি করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই তিনজনকে নিয়ে বুধবার ভোরে স্টেডিয়াম পাড়ায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে আালিফের সন্ধান না মিললেও অস্ত্রের সন্ধান মেলে। বাবলু নামের এক ব্যক্তির বাড়ির পাশে মাটির নিচে তারা অস্ত্রটি পুতে রেখেছিল। সেখানে মাটি খুঁড়ে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করতে সক্ষম হন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।  উদ্ধার হওয়া অত্যাধুনিক নাইন এমএম পিস্তলটি ইতালির তৈরি বলে জানা গেছে।  আটক তিনজনের নামে অস্ত্র মামলা দিয়ে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আরটিভি/এমকে/এআর
মেহেরপুরে হলুদের মধ্যে মিলল চক পাউডার 
মেহেরপুরের গাংনীর সাঈদ স্টোর নামের একটি মুদি দোকানে হলুদের মধ্যে পাওয়া গেল চক পাউডার। এ সময় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তেল ও ২৫ কেজি হলুদ জব্দ করে তা জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারে এই ভেজাল হলুদের সন্ধান মেলে। মেহেরপুর জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দীন ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে গাংনী বাজার থেকে মাছ, তেল, হলুদসহ খাদ্য পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করেন। যা পরীক্ষা করে হলুদের মধ্যে চক পাউডারের গুঁড়া এবং ফুটপাতের ফাস্ট ফুডের তেলের মধ্যে মেলে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রার পোড়া তেল। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযান দল তেল ও হলুদ জব্দ করে তা জনসম্মুখে ধ্বংস করেন। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানি, গাংনী শাখার সভাপতি তৌহিদ-উদ-দৌলা রেজা ও গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি সালাউদ্দীন শাওন।  নিরাপদ খাদ্য বিক্রি নিশ্চিত করার অঙ্গিকার করায় এসব ব্যবসায়ীদের প্রাথমিক সতর্ক করে তেল ও হলুদ জব্দ করা হয়। আরটিভি/এএএ/এসএ
বজ্রপাতে মেহেরপুরে দুইজনের মৃত্যু
মেহেরপুর সদর উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও এক ব্যক্তির আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমানুল্লাহ আল বারী।  নিহতরা হলেন- দফরপুর গ্রামের কৃষক রাফিজ হোসেন (২৩) এবং সোনাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ (৩৪)। আহত ব্যক্তি সোনাপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান (৪৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গেল কয়েক দিন ধরে মেহেরপুর জেলায় বজ্রসহ মাঝারি ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমানুল্লাহ আল বারি জানান, ঘটনার সময় দফরপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রাফিজ হোসেন বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাঠে ঘাস কাটছিলেন। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। একই সময় সোনাপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ ও আব্দুল মান্নান বাড়ির পাশে বিচুলি (গো খাদ্য) সংরক্ষণের কাজ করছিলেন। বজ্রপাতে আব্দুর রশিদের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মান্নানকে উদ্ধার করে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আরটিভি/এফআই/এসএ
গাংনীতে ৭ দিনে ২৮ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত 
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসের ৭ দিনে নতুন করে ২৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আব্দুল আল মারুফ।  তিনি বলেন, গেল ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ২ রোগীকে ছাত্রপত্র দেওয়া হয়েছে এবং ভর্তি রয়েছেন ১০ জন ডেঙ্গু রোগী। চলতি মাসের ৭ দিনে ২৮ জন এবং গেল মাসে ১০০ জন রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধী কার্যকরী ব্যবস্থা না থাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।  তবে অভিযোগ রয়েছে হাসপাতাল থেকেও ডেঙ্গু মশা ছাড়াচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে আলদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড না থাকায় সাধারণ রোগীদের সাথেই ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা সংক্রণ প্রতিরাধ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ঝুঁকিতে সাধারণ রোগীরা।  ডেঙ্গু প্রতিরোধ ব্যবস্থার দুর্বলতার বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পৌর এলাকায় ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধন করা হচ্ছে।  তবে বাসা বাড়িসহ ডেঙ্গুর সম্ভাব্য আবাসস্থল ধ্বংস করার বিষয়ে ব্যক্তিগত সচেতনা প্রয়োজন বলে জানান এ কর্মকর্তা।  আরটিভি/এমকে