• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’
পাবনায় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের তিনদিনব্যাপী আবির্ভাব মহোৎসব
বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পাবনার হিমায়েতপুরে শুরু হয়েছে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৬ তম আবির্ভাব দিবস ও  পুণ্য দোল-পূর্ণিমা মহোৎসব।  গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এ মহোৎসব উপলক্ষে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে হাজার নারী পুরুষ ভক্তরা এসেছেন ঠাকুরের আশীর্বাদ নিতে। প্রতি বছর এইদিনে ২৪, ২৫ ও ২৬ মার্চ তারিখে ঠাকুরের জন্মতিথিতে এই মহোৎসব পালন করা হয়। মহা উৎসব  উপলক্ষে পাবনার হিমাইতপুর শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের  আশ্রম প্রাঙ্গনে চলছে নানা আচার ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান।দেশের বিভন্ন জেলা থেকে  হাজার হাজার এবং দেশের বাইরে থেকেও ভক্তবৃন্দের সমাগমে মুখরিত হয়ে  উঠেছে সৎসঙ্গ আশ্রম প্রাঙ্গন। তিনদিনের মহোৎসবের  ১ম দিনের অনুষ্ঠান সূচিতে ছিলো ঊষালগ্নে মাঙ্গলিকী, সমবেত প্রার্থনা, কর্মী বৈঠক, ভক্তি সঙ্গীত, দুপুরে আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ, বিকেলে যুবসম্মেলন, রামায়ন গান, সন্ধ্যায় সন্ধ্যা প্রার্থণা ও আলোচনা সভা এবং রাতে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান। ২য় দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঊষালগ্নে মাঙ্গলিকী, সমবেত প্রার্থনা, সদ্গ্রন্থাদি পাঠ, ভক্তি সংগীত, শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাকীর্তন, শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ৫৩৯তম আবির্ভাব দিবসের পুণ্যলগ্নের স্মৃতিচারণ, শ্রী শ্রী ঠাকুরের জন্মস্থান প্রদক্ষিণ, কিশোরমেলা, দুপুরে আনন্দবাজারে প্রসাদ বিতরণ, মাতৃ সম্মেলন, সন্ধ্যায় সমবেত প্রার্থণা ও প্রার্থনান্তে ধর্মসভা, রাতে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান।  মহোৎসবের ৩য় ও শেষদিন মঙ্গলবার ছিল ঊষালগ্নে মাঙ্গলিকী, তারকব্রক্ষ্ম নাম, সমবেত প্রার্থনা, সদ্গ্রন্থাদি পাঠ, ভক্তি সংকীর্তন, দুপুরে আনন্দবাজারে প্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যায় সন্ধ্যা প্রার্থণা ও প্রার্থনান্তে ধর্মসভা, রাতে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান। উৎসবে যোগ দেনভারত থেকে আগত শ্রী প্রলয় মজুমদার ভাগ্নি বাগ্মী প্রবর বক্তা (প্র:ঋ:), পাবনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপষ বর্মন, সৌমিত্র মজুমদার পলাশ, হিরন্ময় ঘোষ, চন্দন্ময় নন্দী, সুদেব ঘোষ, মানিক দাস (স:প্র:ঋ:) সমাপ্ত সাহা, ভবি সাহাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্কয়ারের কসমেটিকস গোডাউনে আগুন, আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
পাবনায় কসমেটিকসের গুদামে আগুন
ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা, বরখাস্ত ৩
৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
ঈশ্বরদীর ট্রেন দুর্ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
পাবনার ঈশ্বরদীতে মালবাহী ২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করতে ৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ। শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ জানান, ঈশ্বরদীর ট্রেন দুর্ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করতে সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহণ কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং অন-ডিউটি সহকারী স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে রেল ক্রসিং পারাপারের সময় মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। রাত ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ঈশ্বরদী রেল ক্রসিংয়ে মালবাহী দুই ট্রেনের সংঘর্ষ
পাবনার ঈশ্বরদী রেল ক্রসিং পারাপারের সময় মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছেঢাকা-খুলনা রেল যোগাযোগ । মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন এলাকায় ঘটে এ দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ। তিনি বলেন,পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগব বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, আপাতত খুলনা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে অন্যান্য রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঈশ্বরদীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ কুমার দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) টি এম রাহসান কবীর ও ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম । জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ঈশ্বরদী রেল ইয়ার্ড থেকে মালবাহী ট্রেনের শানটিং চলছিল। ইতোমধ্যে ঈশ্বরদী রেলইয়ার্ড থেকে অপর আরেকটি তেলবাহী ট্রেন (ফাঁকা) পশান অর্ডার মনে করে ভুলবশত (লাইন ক্লিয়ার পেয়েছে মনে করে) খুলনা অভিমুখে যাত্রা করে। এতে মালবাহী দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে মালবাহী ট্রেনের একটি ওয়াগনের চার চাকা তেলবাহী ট্রেনের লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের ছয় চাকা লাইনচ্যুত হয়। পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, একটি তেলবাহী ট্রেন পার্বতীপুরে তেল নামিয়ে দিয়ে খুলনার দিকে যাবার পথে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। ঘটনার সময় পাথর বোঝাই একটি মালবাহী ট্রেন ভারত থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে একই স্টেশনে দাঁড়ায়। এ সময় পাথর বোঝাই ট্রেনটি শানটিং করার সময় (বগি এক লাইন থেকে আরেক লাইনে নেওয়ার সময়) তেলবাহী ট্রেনের সাথে ধাক্কা লাগে। তখন তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ঘটনার পরপরই উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন বগি উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে। ভোর পাঁচটা নাগাদ উদ্ধার কাজ শেষ হয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানান তিনি। যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
মোস্তাফিজুর রহমান। ‘গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানি লিমিটেডের’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। বছরচারেক আগে পালিত বাবার পেনশনের জমানো ৯০ লাখ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে শুরু করেন এই আবাসন ব্যবসা। তবে এই আবাসন ব্যবসায় নেই রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) অনুমোদন।  অনুমোদনহীন এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে প্রতারণা করে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এভাবে প্রতারণা করে তিনি অল্প সময়েই ফুটপাত থেকে পৌঁছে গেছেন ‘রাজপ্রাসাদে’।  চড়েন বিলাসবহুল হ্যারিয়ার গাড়িতে। তার জীবনযাপন দেখলে মনে হবে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশের রাজপুত্র। রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের মতো প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের পদও বাগিয়ে নিয়েছিলেন একবার।   অবশেষে আবাসন ব্যবসার নামে প্রতারণার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহীর গ্রীন প্লাজা রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে রাজশাহী মহানগর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে অনেকগুলো প্রতারণা অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে একটি ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার রাতে মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে ১২ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার এজাজুল হক নামের এক ব্যক্তি এ মামলাটি দায়ের করেন। এজাজুল হক অভিযোগ করেন তার নিকট একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে ১২ লাখ টাকা নেন মোস্তাফিজ। কিন্তু তিনি ওই ফ্লাটটি না দিয়ে উল্টো এজাজকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সমস্ত কাগজপত্র জোর করে কেড়ে নেন। এ দিকে পুলিশের আরেকটি সূত্র জানায়, মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে ৬৩ লাখ টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে মোস্তাফিজের আরও একটি অভিযোগ দেয়া হয় বোয়ালিয়া থানায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক নারী সেই অভিযোগ দেন। তবে পুলিশকে মধ্যস্থতা করে তার নামে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য মোস্তাফিজকে চাপ প্রয়োগ করতে অভিযোগটি দেন সেই নারী। ওই নারীর অভিযোগ, নগরীর ঘোড়ামারা এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনে মোস্তাফিজ ৬৪ লাখ টাকা দাম ধরে তার নিকট বিক্রি করেন। এরই মধ্যে ওই নারী মোস্তাফিজকে ৬৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু এখন আরো ১১ লাখ টাকা বেশি দাবি করছেন মোস্তাফিজ। ওই টাকা না দিলে ওই নারীকে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন মোস্তাফিজ। ওই নারী এর আগে এক রাজশাহীর সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। মেয়রের হস্তক্ষেপে তিনি ফ্ল্যাট বুঝে পেলেও তাকে রেজিস্ট্রি দেননি মোস্তাফিজ। প্রসঙ্গত, মাত্র ১০-১২ বছর আগেও রাজশাহীর একটি বেসরকারি কোম্পানির অফিস সহকারী ছিলেন মোস্তাফিজ। পড়াশোনার খরচ জোগাতে প্রয়াত এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। তবে একের পর এক প্রতারণা করে মাত্র ৫-৭ বছরের মাথায় প্রতারক মোস্তাফিজ অন্তত ২০ কোটি টাকার মালিক হয়ে যান।
নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
নওগাঁর পোরশা সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আল আমিন (৩২) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত চৌকির (বিওপি) অদূরে মিলমারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৬ ব্যাটালিয়নের (নওগাঁ) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান । নিহত আল আমিন উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের নিতপুর কলোনীপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় আল আমিন আরও কয়েকজনের সঙ্গে নীতপুর সীমান্ত এলাকার ২৩২ নম্বর পিলারের পাশ দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। গরু নিয়ে নিতপুর সীমান্তের মিলমারি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের মালদহ জেলার বিএসএফ ১৫৯ ব্যাটালিয়নের আগ্রাবাদ ক্যাম্পের জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করেন।  এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও আল আমিন গুলিবিদ্ধ হন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে বিএসএফের সদস্যরা আল আমিনের মরদেহ নিয়ে যায়। নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ‘আল আমিন ভারত থেকে গরু আনা-নেওয়ার কাজ করতেন। টাকার বিনিময়ে রাখাল হিসেবে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসতেন। গতকাল রাতে আল আমিন আরও ১০ থেকে ১২ জনের সঙ্গে গরু আনতে নিতপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে যান। ভোরে গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফ সদস্যরা তাদের তাড়া করেন। অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল আমিন পারেননি। বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলেই আল আমিন মারা যান।’ বিজিবি ১৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ভারতের প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে মিলমারি এলাকায় একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান জানিয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।
কৃষকদের গলার কাটা বেগুন, জমিতেই পচে যাচ্ছে লাউ
পাবনার সাঁথিয়ার কৃষকরা পানির দামে বিক্রয় করছে বেগুন ও লাউ। খরচ না উঠায় জমিতেই নষ্ট হচ্ছে হেক্টরের পর হেক্টর জমির বেগুন। বিক্রি করতে না পেরে প্রতিবেশীদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বেগুন। লাউ খাওয়ানো হচ্ছে গরুর খাদ্য হিসেবে। পাবনা জেলার সবজি উৎপাদন অন্যতম উপজেলা সাঁথিয়া। এ উপজেলার মাঠ ঘাট খাল বিল একেক ও সাথী ফসল হিসেবে চলতি মৌসুমে বেগুনের ব্যাপক চাষ হয়েছে। চলতি বছরও উপজেলায় ৬শত ৬৭ হেক্টর জমিতে কৃষকরা বেগুনের আবাদ করছে।  রমজানের পূর্বে ও শুরুতে এক কেজি বেগুন বাজার ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রয় হতো। সেই বেগুন নিয়ে সপ্তাহ ব্যবধানে কৃষকের গলার কাটা হিসেবে দেখা দিয়েছে। উপজেলার হাট বাজার বেগুন বর্তমান প্রকার ভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা বিক্রয় হলেও তা পাইকারী বাজারে বিক্রয় হচ্ছে মাত্র ১০০ টাকা মণ। বেগুনের উৎপাদনের উপর নির্ভর করে উপজেলার বেশ কয়েকটি স্হানে  অস্হায়ী ভাবে গড়ে  উঠেছে সবজি বিক্রয়ের আড়ৎ।  উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের টাংড়াগাড়ী বিল ও বিলপাড় এলাকার উপর নির্ভর করে অস্হায়ী ৩টি আড়ৎ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও ব্যাপারীরা কৃষকের ক্ষেতে গিয়ে কম মূল্যে বেগুণ ক্রয় করছে। উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের খন্দকার আলাই জানান, তিনি বিষ্ণুবাড়িয়া মাঠে ২ বিঘা জমিতে গোল জাতের বেগুনের আবাদ করেন। গাছে প্রচুর পরিমান বেগুন আসলেও দামে হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। তিনি জানান ১৮ মার্চ ক্ষেত থেকে ২৯ বস্তা বেগুন তোলা হয়।  পাইকারী ব্যাপারী জমি থেকে বাকিতে কোন প্রকার দাম করা ছাড়াই তা নিয়ে যায়। ঢাকায় নিয়ে বিক্রয় করে ২৯ বস্তা (৪৩ মণ) বেগুনের দাম ৪ হাজার টাকা পরিশাধ করেন। যা কেজিতে ২.৫০ টাকা করে দাম দেন। ২৩ মার্চ ৫৯ বস্তা (৯০ মণ) বেগুন কোন প্রকার টাকা ছাড়াই ঢাকা পাঠিয়েছে। বলছে বিক্রয় করে টাকা দিবে। উপজেলার কাশিনাথপুর ছাতক বরাটের মৃত হাতেম শেখের ছেলে ফজলুর রহমান জানান, এ বছর  ৯ বিঘা জমিতে বেগুনের আবাদ করেছি। গত বছর এ সময়ের মধ্যে ৩/৪ লক্ষ টাকার সবজি বিক্রয় করলেও এ বছর দাম কম থাকায় বেগুন সংগ্রহের খরচের ভয়ে জমি থেকে তা তুলছে না। তিনি বলেন জমিতে বিষ, শ্রমিকের বাবদ যা খরচ হচ্ছে তা পুষিয়ে না উঠার কারণে বেগুন সংগ্রহ করা থেকে বিরত রয়েছি। জমিতেই তা পচে নষ্ট হচ্ছে। এদিকে রমজানের আগে যে লাউয়ের মূল্যে বাজার ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা ছিল, সেই লাউ এখন গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমান বাজার লাউ সবজি হালি হিসেবে বিক্রয় হচ্ছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে একটি লাউ উপজেলার বাজার গুলাতে ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।  শনিবার স্থানীয় বনগ্রাম হাটে এক জোড়া লাউ ১০ থেকে ১৫ টাকা বিক্রয় করতে দেখা গেছে। লাউয়ের এমন দামে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক। লাউয়ের দাম কম থাকায় গাছেই বুড়া হচ্ছে।  এদিক বাজার মনিটরিং করার দায়িত্বে থাকা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কোন প্রকার দেখা মিলছে না বলে জানান, কৃষকরা। কৃষকদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদাসিনতায় সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা । সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জিত কুমার গোস্বামী জানান, পাইকারী ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে এমন বাজার হতে পারে। তিনি কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ের আহবান জানান।
রাজশাহীতে ৫ টাকায় ডিম, ৭৫ টাকায় মিলবে দুধ 
পবিত্র রমজান উপলক্ষে ২৭ রোজা পর্যন্ত পিস প্রতি ডিম মাত্র ৫ টাকা ও লিটারে ৭৫ টাকা করে দুধ কিনতে পারবেন রাজশাহীর নিম্ন আয়ের মানুষ। সোমবার (২৫ মার্চ) জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে আমান পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড এবং নাবা ক্যাটেল ফার্মের পক্ষ থেকে নগরীর সাগরপাড়ায় সুলভ মূল্যে ডিম ও দুধ বিক্রির এ নতুন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন। তিনি জানান, সরকার দেশব্যাপী স্থানীয় পর্যায়ে ডিম, দুধ, মাংস কম দামে বিক্রি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছে। সোমবার দুপুর থেকে তারা দুধ বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছেন। এর আওতায় ৯৫ টাকার পাস্তুরাইজেশন দুধ ৭৫ টাকা লিটার দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তারা শহীদ কামারুজ্জামান চত্বরসহ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে ঘুরে একেক দিন দুধ বিক্রি করবেন।  তিনি আরও জানান, আগামী ২৭ রমজান পর্যন্ত দুধ বিক্রি কার্যক্রমও চলবে।  এ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।