• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
বিয়ের আয়োজনে লাগবে না টাকা, কক্সবাজারে ফ্রি হানিমুন
হঠাৎ ভূমিকম্প হলে যা করবেন, যা করবেন না
প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মাঝে ভূমিকম্প অন্যতম। কিছুদিন পরপরই ভূমিকম্প উৎপত্তি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। শক্তিশালী ভূমিকম্প পৃথিবীর জন-মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। তাই ভূমিকম্প হলে আতঙ্কিত না হয়ে সুরক্ষিত জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে। সেজন্য ভূমিকম্পের সময় করণীয় কাজগুলো সম্পর্ক জেনে রাখা ভালো।  * ভূমিকম্পের প্রথম ঝাঁকুনির সঙ্গে সঙ্গে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিন। * ঘরে হেলমেট থাকলে মাথায় পরে নিন, অন্যদেরও পরতে বলুন। * দ্রুত বৈদ্যুতিক ও গ্যাসের সুইচ বন্ধ করে দিন। * ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সম্ভব হলে আশপাশের সবাইকে বের হয়ে যেতে বলুন। * যদি ঘর থেকে বের হওয়া না যায়, সে ক্ষেত্রে ইটের গাঁথুনি দেওয়া পাকা ঘর হলে ঘরের কোণে এবং কলাম ও বিমের তৈরি ভবন হলে কলামের গোড়ায় আশ্রয় নিন। * কোনো কিছু সঙ্গে নেওয়ার জন্য অযথা সময় নষ্ট করবেন না। * আধাপাকা বা টিন দিয়ে তৈরি ঘর থেকে বের হতে না পারলে শক্ত খাট বা চৌকির নিচে আশ্রয় নিন। * ভূমিকম্প রাতে হলে কিংবা দ্রুত বের হতে না পারলে সজাগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয় নিন ঘরের কোণে, কলামের গোড়ায় অথবা শক্ত খাট বা টেবিলের নিচে। * গাড়িতে থাকলে যথাসম্ভব নিরাপদ স্থানে থাকুন। কখনো সেতুর ওপর গাড়ি থামাবেন না। * লিফট ব্যবহার করবেন না। * বিম, দেয়াল, কংক্রিটের ছাদ ইত্যাদির মধ্যে আপনার শরীরের কোনো অংশ চাপা পড়লে, বের হওয়ার সুযোগ যদি না-ই থাকে, তবে বেশি নড়াচড়া করবেন না। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে। * যদি বহুতল বাড়ির ওপরের দিকে কোনো তলায় আটকা পড়েন, বেরিয়ে আসার কোনো পথই না থাকে, তবে সাহস হারাবেন না। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। ভেবে দেখুন, উদ্ধারকারী পর্যন্ত আপনার চিৎকার পৌঁছাবে কি না। * ধ্বংসস্তূপে আটকে গেলে সাহস হারাবেন না। যেকোনো উত্তেজনা ও ভয় আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ভূমিকম্প নিয়ে সতর্কতা ও সচেতনতা * ভূমিকম্প সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিন। * এর ঝুঁকি ও করণীয় সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। * ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি থাকতে হবে। * এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল গড়ে তুলতে হবে। * ভূমিকম্পে আহতদের জন্য জরুরি চিকিত্সাসেবার ব্যবস্থা করতে হবে। * বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার এবং গণমাধ্যমের সাহায্যে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে হবে। * বাড়ি বানানোর প্রকৌশলী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, বাড়ির মালিক ও মেরামতের সঙ্গে জড়িত লোকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। * ভূমিকম্প প্রকৌশল কোর্স চালু করা দরকার। * স্কুল, হাসপাতাল ও দমকলের মতো অত্যাবশ্যকীয় প্রতিষ্ঠানের গঠন সুচারুভাবে করা উচিত। * গৃহীত পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে হবে। * বাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ আইন অনুযায়ী তৈরি করলে দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব। * বাড়ি বানানোর সময় অবশ্যই তীব্রতা-সহনশীল করে তৈরি করতে হবে। আমরা না বুঝে ম্যাগনেচুড বা মাত্রা-সহনশীল তৈরি করে থাকি, যা ঠিক নয়। তীব্রতা-সহনশীল পদ্ধতি ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা নির্দেশ করে। ভূমিকম্প হয়ে যাওয়ার পরপরই এটি মাপা হয়। ভূমিকম্পের ব্যাপকতা বোঝাতে ভয়াবহ, প্রচণ্ড, মাঝারি, মৃদু ইত্যাদি বিশেষণ ব্যবহার করা হয়। এদিকে ভূমিকম্প নিয়ে বেশ কিছু রেডক্রসের পরামর্শ দিয়েছে।  আমেরিকান রেডক্রসের পরামর্শ অনুযায়ী- ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে উত্তম পন্থা হল ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ বা ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ কম্পন শুরু হলে মেঝেতে বসে পড়ুন, তারপর কোন শক্ত টেবিল বা ডেস্কের নিচে ঢুকে কাভার নিন, এমন ডেস্ক বেছে নিন বা এমনভাবে কাভার নিন যেন প্রয়োজনে আপনি কাভারসহ মুভ করতে পারেন। তাদের মতে, ভূমিকম্পে আমেরিকার খুব কম বিল্ডিংই কলাপস করে; যেটা হয় তা হল আশেপাশের বিভিন্ন জিনিষ বা ফার্নিচার গায়ের উপর পড়ে নেক-হেড-চেস্ট ইনজুরি বেশি হয়। তাই এগুলো থেকে রক্ষার জন্য কোন শক্ত ডেস্ক বা এরকম কিছুর নিচে ঢুকে কাভার নেয়া বেশি জরুরি।  অপরদিকে উদ্ধার কর্মীর মতে বিল্ডিং কলাপস করলে ‘ডাক-কাভার’ পদ্ধতি একটি মরণ-ফাঁদ হবে। সেটা না করে কোন বড় অবজেক্ট যেটা কম কম্পপ্যাক্ট করবে যেমন সোফা ইত্যাদির পাশে আশ্রয় নিলে যে ভয়েড তৈরি হবে, তাতে বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এখন রেড ক্রস কিন্তু এই ভয়েড বা এর ব্যাপারটা অস্বীকার করে নি। কিন্তু যেহেতু আমেরিকায় বিল্ডিং কলাপ্স হবার সম্ভাবনা কম, তাই তাদের ‘ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন’ পদ্ধতিই বিভিন্ন বস্তুর আঘাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সবচেয়ে উত্তম। দুটো ব্যাপারই তাই মাথায় রাখুন। ২. উদ্ধার কর্মীরা আরো লক্ষ্য করেছেন বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ার সময় সিলিং যখন কোন অবজেক্টের ওপর পড়ে একে গুঁড়িয়ে দেয়, ঠিক তার পাশেই ছোট্ট একটি খালি জায়গা বা ভয়েডের সৃষ্টি হয়। একে তারা বলছেন ‘সেফটি জোন’ বা ‘ট্রায়াঙ্গল অফ লাইফ। তাই ভূমিকম্পের সময় বড় কোন সোফা বা বড় কোন অবজেক্ট যেটা কম কম্প্রেস করবে- এরকম কিছুর পাশে আশ্রয় নিলে বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ছোট্ট একটু ভয়েড-ই যথেষ্ট। বিপন্ন অবস্থায় কুকুর, বিড়াল এবং শিশুদের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হল কুন্ডলি করে গুটিশুটি হয়ে যাওয়া। ভূমিকম্পের সময় মানুষেরও এটা অনুসরণ করা উচিত। তাহলে বিভিন্ন অবজেক্টের পাশে গুটিশুটি করে আশ্রয় নিলে এগুলো ভূমিকম্পের সময় যে ছোট ভয়েডের-সৃষ্টি করবে তাতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। ৩. রাতের বেলা ঘুমানোর সময় ভুমিকম্প হলে কোন হুড়াহুড়া করার দরকার নেই। গড়িয়ে মেঝেতে কুন্ডলি পাকিয়ে শুয়ে পড়ুন বিছানাকে ঢাল বানিয়ে। তার মানে আবার বিছানার নিচে যেন ঢুকবেন না, বিছানার পাশে আশ্রয় নিন। তেমনি ভূমিকম্পের সময় জানালা বা বারান্দা দিয়ে লাফ দেয়া এসবও করবেন না। কোন সোফা বা দুই নম্বর পয়েন্টে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে ঘরের মধ্যেই কোন অবজেক্টের পাশে আশ্রয় নিন। ৪. অনেককে বলতে শুনেছি ভূমিকম্পের সময় দরজার নিচে আশ্রয় নিলে নাকি বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দরজার নিচে বা পাশে থাকলে নির্ঘাত মারা পড়বেন। যদি দরজার নিচে থাকেন তবে সিলিং-এর নিচে চাপা পড়ে মারা পড়বেন আর যদি পাশে থাকেন দরজা আপনাকে দুইভাগ করে কেটে ভেঙ্গে পড়বে। ৫. ভূমিকম্পের সময় কখনই সিঁড়িতে আশ্রয় নেবেন না। সিঁড়ির ‘মোমেন্ট অফ ফ্রিকোয়েন্সি’ বিল্ডিং-এর চাইতে ভিন্ন হয় এবং অনেক সময় বিল্ডিং ভেঙ্গে না পড়লেও সিঁড়ি দ্রুত ভেঙ্গে পড়ে। ৬. চেষ্টা করুন বাসার একেবারে ভেতরের দিকের রুমে না থেকে বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি আশ্রয় নিতে। বিল্ডিং-এর ভেতরের দিকে থাকলে সবকিছু ভেঙ্গে পড়ার পর আপনার ‘উদ্ধার পাবার রাস্তা’ ব্লক হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাইরের ওয়ালের কাছাকাছি থাকলে ব্লক কম থাকবে, তাড়াতাড়ি উদ্ধার পাবার সম্ভাবনাও বেশি থাকবে। ৭. বড় ভূমিকম্পের পরপরই আরেকটা ছোট ভূমিকম্প হয় যেটাকে ‘আফটার শক’ বলে। এটার জন্যও সতর্ক থাকুন, না হলে পচা শামুকেই শেষমেষ পা কাটতে হতে পারে। ৮. প্রথম ভূমিকম্পের পর ইউটিলিটি লাইনগুলো (গ্যাস, বিদ্যুত ইত্যাদি) একনজর দেখে নিন। কোথাও কোন লিক বা ড্যামেজ দেখলে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন আরটিভি/এএ 
পৃথিবীতে যে কারণে ব্যতিক্রম এ তিন প্রাণী
আশি বয়সীদের জন্য পার্টি
এক জোড়া জুতার দাম ৩৩৫ কোটি টাকা!
২৮ নভেম্বর: ইতিহাসের আজকের এই দিনে
আজ ‘প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরা দিবস’
প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলেই ভারি বুক হালকা হয়, কিংবা মনটা একটু বেশিই চনমনে হয়ে ওঠে—এ কথা অস্বীকার সুযোগ নেই। জড়িয়ে ধরা কেবল ভালোবাসার প্রকাশ নয়, এটি মানসিক শান্তি, স্বস্তি এবং সংযোগের প্রতীক। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, আলিঙ্গন মানুষকে মানসিক চাপ কমাতে, সম্পর্কের বন্ধন মজবুত করতে এবং সুখ বাড়াতে সহায়তা করে। প্রিয়জনকে কম-বেশি সবাই-ই জড়িয়ে ধরি। এই জড়িয়ে ধরাটা বিশ্বাস, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও স্নেহের অনুভূতি বাড়াতে সাহায্য করে। আজ ৩ ডিসেম্বর। প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন বা ‘লেটস হাগ ডে’। এ দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয়। দিবসটি কবে থেকে ও কী কারণে পালন করা শুরু হয়, সে বিষয়ে তেমন সুস্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যতদূর জানা গেছে, কেভিন জাবর্নি নিামক এক ব্যক্তি এই দিনের পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। তিনি জনসমক্ষে একে অপরের প্রতি স্নেহ দেখাতে লোকেদের উত্সাহিত করতেই প্রথম জাতীয় আলিঙ্গন দিবস উদযাপন করেন। দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো, একে অপরের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করা; যা আলিঙ্গনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আলিঙ্গনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে। জানলে অবাক হবেন, আলিঙ্গনের ফলে মানসিক চাপ কমে যাওয়ার প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন সুস্থতার ক্ষেত্রেও পড়ে। আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট একাডেমিক পাবলিশিং কোম্পানি প্রকাশিত সেজ জার্নালস চার শতাধিক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর একটি গবেষণা করে। গবেষকেরা সেখানে দেখেন, আলিঙ্গন কোনো ব্যক্তির অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস করতে পারে। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা বেশি আলিঙ্গন পেয়েছেন, তাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কম ছিল। হয়তো আদিকাল থেকেই মানুষের মধ্যে জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গনের আনন্দ আবিষ্কৃত হয়েছিল, যখন মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে যে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরা কতটা মধুর। যেভাবেই দিবসটির শুরু হোক না কেন, আজও এটি বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা ও মমতা প্রকাশের একটি উপায় হিসেবে বিদ্যমান। মজার বিষয় হলো, জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গন একটি সর্বজনীন ভালোবাসার প্রকাশ। যখন বিভিন্ন সংস্কৃতিতে অভিবাদনের ধরন পরিবর্তিত হয়, যেমন—করমর্দন, নমস্কার বা হাই-ফাইভ, তখন আলিঙ্গন প্রায় সব সংস্কৃতিতেই ভালোবাসা ও সংযোগ প্রকাশের সাধারণ মাধ্যম হিসেবে দেখা যায়। মানুষের সুস্থ এবং সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য আলিঙ্গন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশেষত সদ্যোজাত শিশুদের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে শিশুরা ছোটবেলায় আলিঙ্গন বা স্নেহলাভ পায় না, তারা সাধারণত সুস্থ এবং ভালোবাসা-ঘেরা শিশুদের মতো সঠিকভাবে বেড়ে ওঠে না।  তবে কেবল শিশুরাই নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও আলিঙ্গনের সুফল পেতে পারে। আসলে, বহু গবেষণায় দেখা গেছে যে আলিঙ্গন কেবল মানসিক ও আবেগগত দিক থেকেই নয়, শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্যও উপকারী। তাই লজ্জা নয়—প্রস্তুত হন এবং ‘জড়িয়ে ধরা দিবস’-এ কাউকে জড়িয়ে ধরুন! সূত্র্র: ডে’জ অব দ্য ইয়ার  
২৬ নভেম্বর: ইতিহাসের আজকের এই দিনে
ঘটে যাওয়া আজকের এই দিনের ঘটনা, অনেক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যু আমরা জানতে চাই। পাঠকের এ চাওয়া মাথায় রেখে নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা। ঘটনাবলী ১৩৭৯ - ইংল্যান্ডে অক্সফোর্ড নিউ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭০৩ - ইংল্যান্ডে এক প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ে ৮ হাজার লোকের জীবনহানি ঘটে। ১৯০৭ - লর্ড কার্নারভন তাকে ভ্যালি অব দি কিংসে খনন কাজ দেখাশোনা করার দায়িত্ব প্রদান করেন। ১৯২২ - বৃটিশ প্রত্নবিদ হাওয়ার্ড কার্টার এবং লর্ড কার্নারভন মিসরের ভ্যালি অব দি কিংসে অবস্থিত তুতাংখামেনের সমাধিগৃহে প্রবেশ করেন। ১৯২২ - দুই রঙ বিশিষ্ট টেকনিকালারে নির্মিত প্রথম ছবি টোল অব দ্য সী মুক্তি পেয়েছিলো। ১৯৪৩ - যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং অধূনালুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন তেহরানে বৈঠকে বসে। বৈঠকে জার্মানির সাথে যুদ্ধ পরিচালনার ব্যাপারসহ মিত্র পক্ষের দেশগুলোকে সহায়তা প্রদান এবং নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনা হয়। ১৯৪৯ - ভারতীয় গণপরিষদে ভারতের সংবিধান অনুমোদিত হয়। ১৯৫০ - চীনের বাহিনীর আক্রমণের ফলে কোরিয়া যুদ্ধের প্রকৃতি বদলে গিয়েছিলো। ১৯৫৫ - সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন অভাবনীয় শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ১৯৮৯ - ৪২ বছর পর জার্মানিতে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯১ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমুদ্র তীরবর্তী বৃহত্তম একটি বিমান ঘাঁটি ফিলিপাইনের হাতে তুলে দেয়। ১৯৯২ - টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কমবয়েসী ক্রিকেটার হিসেবে [১৯ বছর ২২ দিন] শচীন টেন্ডুলকার ১ হাজার রান করেন। ২০০১ - নেপালে মাওবাদী বিদ্রোহীদের হামলায় ২৮০ জনের প্রাণহানী। ২০০৪ - জাতীয় শিক্ষা-সংস্কৃতি আন্দোলন নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ। জন্ম  ১৭৩১ - ইংরেজ কবি উইলিয়াম কাউপার। ১৮৯০ - শিক্ষাবিদ ও ভাষাতত্ত্ববিদ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়। ১৮৯৮ - নোবেলজয়ী [১৯৬৩] জার্মান রসায়নবিদ কার্ল সিগল। ১৯১৯ - ধ্বনিবিজ্ঞানী মুহম্মদ আবদুল হাই। ১৯৫৪ - ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ, শ্রীলংকার বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল দল লিবারেশন টাইগার্স ফর তামিল ইলাম এর প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান নেতা। মৃত্যু ১৮৫৭ - সুইস ভাষাবিজ্ঞানী ফের্দিনা দে সোসুর। ১৯২৩ - গণিতবিদ যাদবচন্দ্র চক্রবর্তী। ১৯৪৯ - সমাজতাত্ত্বিক বিনয় কুমার সরকার। আরটিভি/কেএইচ
কলা দেখলে ভয় পান সুইডেনের মন্ত্রী!
ভীতি মানুষের একেবারে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। তবে এই ভীতি যদি অযৌক্তিক হয়, তখন সেটিকে বলা হয় ফোবিয়া বা অযৌক্তিক ভীতি। ফোবিয়ার উপযুক্ত কারণ নেই। ফোবিয়া এক ধরনের অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার। নানা বিষয়ে ভীতির কথা শোনা যায়। কেউ তেলাপোকা দেখে ভয় পান, কারও-বা থাকে উচ্চতাভীতি। তবে কলা দেখে ভয় পাওয়ার কথা কে কবে শুনেছে? এবার তাহলে সেই কলাভীতি সম্পর্কেই না হয় জেনে নিন। বিরল এই ‘ব্যানানাফোবিয়া’ বা ‘কলাভীতি’ রয়েছে সুইডেনের লিঙ্গ সমতাবিষয়ক মন্ত্রী পাওলিনা ব্রান্ডবার্গের। পাওলিনা ব্র্যান্ডবার্গ আক্রান্ত বিরল কলা-ভীতির সমস্যা। একে বলা হয় 'ব্যানানাফোবিয়া'। সেই কারণে তার সরকারি সফরের সময় আশপাশ থেকে সব কলা সরাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর সফরের সময় তার কক্ষ থেকে আগে থেকেই সমস্ত কলা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন সুইডিশ সরকারি কর্মকর্তারা। সম্প্রতি এই খবর জানিয়েছে বিবিসি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্র্যান্ডবার্গের সহকারী কর্মকর্তারা ই-মেইলে অনুরোধ করেছেন, মন্ত্রীর উপস্থিতির আগে যেন কোথাও কলা না থাকে। ২০২০ সালে ব্র্যান্ডবার্গ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ নিজেই তার বিশ্বের অদ্ভুততম কলা-ভীতি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। যদিও সেই পোস্টটি পরে মুছে ফেলা হয়। কলা-ভীতি শুধু ব্র্যান্ডবার্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সুইডিশ রাজনীতিবিদ টেরেসা কারভালোও একই ধরনের ভীতিতে ভোগেন। কারভালো মজার ছলে উল্লেখ করেন যে, যদিও কর্মক্ষেত্রে নানা বিষয়ে তার এবং ব্র্যান্ডবার্গের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে, কিন্তু কলা নিয়ে ভীতি তাদের মধ্যে একটি 'সাধারণ শত্রু' হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যানানাফোবিয়া খুবই বিরল একটি মানসিক সমস্যা। এর কারণে কলা দেখা বা গন্ধ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্বেগ, মানসিক অস্বস্তি বা বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ব্র্যান্ডবার্গের অফিস থেকে পাঠানো ইমেইলে এটি শক্তিশালী অ্যালার্জি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মন্ত্রী নিজেও একে ফোবিয়া হিসেবে স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, তিনি এই সমস্যার সমাধানে পেশাগত সাহায্য নিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনেক বিরল ফোবিয়ার মতো ব্যানানাফোবিয়ার কারণও অস্পষ্ট। তবে শৈশবে ঘটে যাওয়া কোনো নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থেকে এই ভীতি জন্ম নিতে পারে। ব্র্যান্ডবার্গের এই বিশেষ কলা-ভীতির খবর মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে। মানসিক ফোবিয়া যে ধরনেরই হোক, তা ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সুইডেনের সরকারি কর্মকর্তারা এই ধরনের বিরল ফোবিয়াকে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে সচেতনতার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আরটিভি/এফআই
‘ইলিশ’ ভেবে উচ্চমূল্যে ‘সার্ডিন’ খাচ্ছেন না তো! 
  অনেক সময় আমরা আসল ইলিশ মাছ চিনতে ভুল করে থাকি। আর এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। তারা ইলিশ মাছের মতো দেখতে সার্ডিন মাছকে ইলিশ বলে চালিয়ে দিচ্ছে। উচ্চমূল্যে ইলিশ কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সরল ক্রেতা।  চলুন, জেনে নেওয়া যাক সার্ডিন ও ইলিশ চেনার উপায়:  সার্ডিনের দেহ পার্শ্বীয়ভাবে পুরু এবং পিঠের দিকের চেয়ে পেটের দিক অপেক্ষাকৃত উত্তল ও চ্যাপ্টা। ইলিশের দেহ পার্শ্বীয়ভাবে পুরু, পিঠের ও পেটের দিক প্রায় সমভাবে উত্তল। সার্ডিন বা চন্দনা ইলিশের দেহের দৈর্ঘ্য সাত সেন্টিমিটার থেকে বিশ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ইলিশ বেশ বড় (৭৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত) হয়ে থাকে। সারডিনের মাথার আকৃতি ছোট ও অগ্রভাগ ভোতা। ইলিশের মাথার আকৃতি লম্বাটে ও অগ্রভাগ সূচালো। সার্ডিনের পৃষ্ঠীয় পাখনার অগ্রভাগে এবং পুচ্ছ পাখনার কিনারা ঘোলাটে। ইলিশের পৃষ্ঠীয় পাখনার অগ্রভাগে এবং পুচ্ছ পাখনার কিনারা অনেটা সাদাটে।  সার্ডিনের চোখের আকৃতি তুলনামূলকভাবে বড়। আসল ইলিশের চোখের আকৃতি তুলনামূলকভাবে ছোট। সার্ডিনের পার্শ্বরেখা বরাবর এক সারিতে আইশের সংখ্যা ৪০ থেকে ৪৮টি। ইলিশের ৪০ থেকে ৫০টি। সার্ডিনের বুকের নিচে ধারালো কিল বোন বা স্কুইটস বিদ্যমান এবং স্কুইটস এর সংখ্যা ২৯টি থেকে ৩৪টি পর্যন্ত থাকে। ইলিশেল পেটের নিচে বিদ্যমান স্কুইটসের সংখ্যা ৩০ থেকে ৩৩টি পর্যন্ত থাকে। সার্ডিনের পৃষ্ঠীয় পাখনার উৎসে একটি কালো ফোঁটা রয়েছে। আসল ইলিশের কানকুয়ার পরে একটি বড় কালো ফোঁটা এবং পরে অনেকগুলো কালো ফোঁটা (a series of small spots) থাকে। সার্ডিনের মাথার দৈর্ঘ্য দেহের আদর্শ দৈর্ঘ্যরে শতকরা ২২ থেকে ৩২ ভাগ হয়ে থাকে। ইলিশের মাথার দৈর্ঘ্য দেহের আদর্শ দৈর্ঘ্যরে শতকরা ২৮ থেকে ৩২ ভাগ হয়ে থাকে।   আরটিভি/টিআই
বর্জ্য থেকে শিল্প গড়েন যে শিল্পী
পুনর্ব্যবহৃত উপকরণ দিয়ে তৈরি শিল্পের প্রদর্শনী হচ্ছে নাইজেরিয়ার এক মিউজিয়ামে৷ পরিবেশ বাঁচাতে পণ্যের পুনর্ব্যবহার নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চায় জাদুঘরটি৷ কখনো মিউজিয়ামে গিয়ে ভেবেছেন এটা কেমন আবর্জনা? কিংবা এমনটা আমিও করতে পারি? এজন্য ময়লার পাত্রে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে এবং কিছু টুকরা একত্র করতে হবে৷ হ্যাঁ, নাইজেরিয়ার এক মিউজিয়ামে সেসবই হচ্ছে৷ ওয়েস্ট মিউজিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা জুমোকে ওলোউকেরে বলেন, এটা এক নতুন ধারণা৷ আগে কেউ আবর্জনার মিউজিয়াম তৈরি করতে চায়নি৷ নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইবাদনের কেন্দ্রে মিউজিয়ামটির অবস্থান৷ আফ্রিকায় এমন উদ্যোগ আর নেই৷ মিউজিয়ামটিতে সবকিছুই আবর্জনা দিয়ে তৈরি৷ জুমোকে কেন এমন মিউজিয়াম তৈরিতে আগ্রহী হলেন জেনে নেয়া যাক৷ জুমোকে ওলোউকেরে বলেন, আমি রান্নাঘরের ময়লায় হোঁচট খেয়েছিলাম... তখন আমি ভাবতে শুরু করি যে, প্রতিদিন আমরা যে আবর্জনা তৈরি করি, সেগুলো ফেলে না দিয়ে আর কী করা যায়? কেউই আমাকে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি, কারণ, এটা অর্থহীন শোনাচ্ছিলো৷ কিন্তু আমি সেই ধারণা বাদ না দিয়ে আবর্জনা দিয়ে আর কী কী করা যায়, সেটা ভেবেছি৷ আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদিত হয় নাইজেরিয়ায়৷ সেখানে নিত্যদিনের কর্মকাণ্ডে প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ প্লাস্টিক স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর৷ কিন্তু জুমোকে কেন এমন আবর্জনা ভিন্নভাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলেন? জুমোকে ওলোউকেরে বলেন, আমি আবর্জনার প্রেমে পড়ে গেছি এবং আমি সেগুলো ফেলে দিতে চাই না৷ প্রতিটি আবর্জনা আমি রক্ষার চেষ্টা করছি, মনে হচ্ছে উদ্ধার অভিযানে রয়েছি৷ যে আবর্জনাটি আমি রক্ষা করতে পারছি, সেটা আর ভাগাড় বা সাগরে গিয়ে পড়ছে না৷ এটাই আমার অনুপ্রেরণা৷ তাই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি৷ সাবেক ভিজ্যুয়াল আর্ট শিক্ষক জুমোকো ২০২২ সালে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক চুক্তিসংক্রান্ত জাতিসংঘের এক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, নাইজেরিয়ায় অধিকাংশ বর্জ্যই পানিতে গিয়ে পড়ে৷ আর এটা সাগরের জলে প্লাস্টিকের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে৷ আবর্জনা পুনর্ব্যবহারের জুমোকোর ধরন একটু অন্যরকম মনে হতে পারে কিন্তু অর্থবহ৷ মিউজিয়ামের অতিথি ওপে ওসিসান্যা বলেন, মুক্তবিশ্বের যে ধারণাটি তিনি অর্জন করতে চাচ্ছেন, তা হচ্ছে, জিরো ওয়েস্ট৷ এটা এক তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার যা আমাদের সবার বাড়িতে এবং আমাদের চারপাশে প্রয়োগ করা উচিত৷ এটা আমাদের দেশকে বসবাসের জন্য আরো ভালো করে তুলবে৷ তার উদ্যোগ রোগবালাই এবং দরকার নেই এমন অসুস্থতারোধে সহায়ক হবে৷ পাশাপাশি এক টেকসই, সবুজ পরিবেশ তৈরি করবে যা আমরা সবাই উপভোগ করতে পারি৷ জুমোকে এবং তার মতো একই আদর্শে অনুপ্রাণিত শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করছে মিউজিয়ামটি৷ তিনি তরুণদেরকে কিভাবে বর্জ্য থেকে দরকারি, টেকসই এবং সাশ্রয়ী পণ্য তৈরি করা যায় তাও শেখাচ্ছেন৷ এগুলো বিদ্যালয়ের খেলার মাঠেও ব্যবহার করা যায়৷ জুমোকে ওলোউকেরে বলেন, আমরা সূত্র থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করি৷ গত কয়েকবছর ধরে বিভিন্ন পরিবার, বন্ধুবান্ধব, স্কুল এবং সংগঠন থেকে আমরা আবর্জনা সংগ্রহ করে আমরা আপসাইক্লিং করছি, রিসাইক্লিং নয়৷ সুতরাং আমরা দূষিত বর্জ্য ব্যবহার করছি না৷ আমরা এমন উৎস থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করি যা দূষিত নয়৷ জুমোকের এই সংগ্রাম সহজ নয়৷ কিন্তু তিনি তার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে চান৷ জুমোকে ওলোউকেরে বলেন, আমি যদি আজকে দশ কেজি প্লাস্টিক বোতল বাঁচাতে পারি, তাহলে সন্তুষ্ট হবো এবং কালকে আরো করতে উৎসাহিত হবো৷ তাছাড়া কে-ইবা ভেবেছিল বর্জ্যও দেখতে এমন সুন্দর হতে পারে?
যে মুরগির একটি ডিম কিনতে গুনতে হবে ১৬শ' টাকা!
মুরগি বা চিকেন খাবার হিসেবে প্রায় সব দেশেই জনপ্রিয়। দামও মানুষের অনেকটা নাগালের মধ্যে। তবে মুরগির ঝোল কিংবা ঝাল ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেন বা রোস্ট যেভাবেই পাখি প্রজাতির এই প্রাণীটির মাংস খাওয়ার কথা ভাবতে পারেন একজন সাধারণ বাংলাদেশি, তাতে কালো মুরগির কথা ভাবেন না প্রায় কেউই। কারণ খুব সাধারণ, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে কালো মুরগি পরিচিত নয়। কিন্তু এই কালো মুরগিকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুরগি। আর যে মুরগিই এত দামি তার ডিমতো ১৬শ' টাকা দাম হবেই।  এবার তাহলে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি এই মুরগির মূল্যটা জেনে নিন। এই এক মুরগির দাম নাকি কয়েক লাখ টাকা। শুনে চোখ কপালে ওঠার মতোই অবস্থা। না, আপনি ভুল পড়েননি। ইন্দোনেশিয়ার জাভা দীপে বেড়ে ওঠে বিরল এই মুরগির নাম আইয়াম চিমানি। আইয়াম অর্থ মুরগী আর চিমানি মানে সম্পূর্ণ কালো। বাস্তবে এই মুরগি দেখতে একদমই কালো। এই মুরগির হাড়, মাংস, এমনকি জিহ্বা-সবই কালো। শুধুমাত্র রক্ত অন্যান্য প্রাণীর মতোই লাল। তবে কেনো এই মুরগির সব অঙ্গপ্রতঙ্গ কালো? বিজ্ঞানীরা বলেন, ফাইব্রোমেলানোসিস নামের জেনেটিক মিউটেশন থেকে এই মুরগির রং কালো হয়ে থাকে। অন্যান্য জাতের মুরগির গায়ের রঙের জন্য শুধুমাত্র কয়েকটি কোষ দায়ী। আর আইয়াম চিম্যানির পুরোপুরি কালো হওয়ার পেছনে কারণ হলো এর প্রায় সব কোষের পিগমেনটেশন। যুক্তরাষ্ট্র, চায়না, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, নেদারল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ নানা মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার এই মুরগি সংগ্রহ করেন। অনেকে এর বাচ্চা কিনে লালন পালন করেন। পুরো মুরগি কালো হলেও এই মুরগির ডিম কিন্তু কালো নয়। সাধারন ডিমের মতোই এর রঙ। ইন্দোনেশিয়ায় এই মুরগীর সর্বোচ্চ দাম দুই হাজার থেকে ছয় হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশি টাকায় যা ছয় লাখ টাকার বেশি। প্রতিটি ডিমের দাম ১৬ ডলার যা ১৬০০ টাকার বেশি। ইন্দোনেশিয়ার বাইরে একেক দেশে একেক দামে বিক্রি হয় এটি। যুক্তরাষ্ট্রে যদিও আইয়াম চিম্যানি ২০০০ থেকে ৩০০০ ডলারে বিক্রি হয়। তবে ভালো মানের মুরগি ৯ থেকে দশ হাজার ডলার পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে ভালো মান বোঝা যায় মুরগির মুখ ও জিহ্বা কতটা কালো তা দেখে। যত কালো তত ভালো। খুবই শান্ত ও অনুগত স্বভাবের এই মুরগীর এতো বেশি দামের মূল কারণ মূলত এর মাংস। চর্বিহীন এই প্রাণীর মাংসের স্বাদ জাদুকরী। সাধারণ মুরগির মাংসের চেয়ে এই মাংসে আছে অনেক বেশি প্রোটিন। যার কারণে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ এটি অনেক বেশি পছন্দ করেন। এছাড়াও ভিটামিন এ ডি ই, আয়রন ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টিগুণ আছে এতে। আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র‌্যরডিকেলের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। শুধুমাত্র খাবার হিসেবেই নয় এই মুরগির বিভিন্ন অংশ ওষুধ ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেও ব্যবহার করা হয়। ইন্দোনেশিয়ানদের অনেকে এটিকে দামী পোষা প্রাণী হিসেবে বাড়িতে পুষে থাকেন।  ইন্দোনেশিয়ায় এই মুরগিটি মোটামুটি পরিচিত হলেও, অন্যান্য দেশে এগুলো হাজার হাজার ডলারে বিক্রি হয়। এটি স্পোর্টস চিকেন নামেও বিখ্যাত। প্রাণীটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অনেক ধরনের বিশ্বাস প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন, কালো রঙের কারণে এরা সুপারন্যাচারাল ক্ষমতার অধিকারি এবং পৃথিবীব্যাপী বিচরণ করতে পারে। এই মুরগির প্রথম ডিম খেলে সন্তানধারণ হয় বলেও স্থানীয়দের বিশ্বাস। তবে কোনো দম্পতি চাইলে প্রথম ডিমটি টাকা ছাড়াই তাদের দিয়ে দেন ইন্দোনেশিয়ানরা। বিভিন্ন ওষুধের কাজে এই মুরগি ব্যবহার করা হলেও তার নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম। এটি অসুস্থ্য হলে কালো রঙ ধীরে ধীরে বিবর্ণ হতে শুরু করে। তাই এই মুরগিকে সুস্থ্য রাখতে হলে অবশ্যই খুব সাবধানে এবং যত্ন সহকারে লালন পালন করতে হয়। সাধারণত ৬ থেকে ৮ বছর বাঁচে এই প্রাণী। এই মুরগির পালনও বেশ কষ্টসাধ্য এবং জটিল। এরজন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি মুরগির সঠিক জোড়া। সঠিক জোড়া না হলে তাদের মাধ্যমে অন্য জাতের মুরগির জন্ম নিতে পারে। যার রঙ কালো না হয়ে সাদা কিংবা অন্য রঙেরও হতে পারে।
হিমালয়ের ১৮ হাজার ফুট উঁচু থেকে লাফ দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড
বিশ্ব রেকর্ড করার জন্য নেপালের হিমালয় পর্বত থেকে স্কিইং করার সময় বিশাল লাফ দিয়েছেন ব্রিটেনের একজন নির্ভীক মানুষ। এই ব্যক্তির নাম জোশুয়া ব্রেগম্যান, বয়স ৩৪ বছর। এই ভয়ানক প্রচেষ্টা করার কারণে, জোশুয়া বিশ্বের সর্বোচ্চ স্কি-বেস জাম্পের জন্য একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। যেভাবে এই অনন্য কীর্তিটি করলেন তিনি: জোশুয়া, সবসময় দুঃসাহসিক কার্যকলাপ পছন্দ করেন এবং একটি ভ্যানেই জীবন কাটান। এই দুর্দান্ত প্রচেষ্টার জন্য, সহকর্মীদের সঙ্গে, দুই সপ্তাহ আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন জোশুয়া। স্কিইং করার সময় জোশুয়া যে পাহাড় থেকে লাফ দিয়েছিলেন তার নাম মেরা পিক। এর জন্য তিনি প্রথমে মেরা পিক পর্যন্ত হাইকিং করেন, উচ্চতায় পৌঁছে ক্যাম্পিং করেন। উল্লেখ্য, মেরা পিকের উচ্চতা ১৮ হাজার ৭৫৩ ফুট অর্থাৎ ৫  হাজার ৭১৬ মিটার। স্কি করার পর প্যারাসুট ব্যবহার করে মাটিতে নেমেছিলেন জোশুয়া। এই বিস্ময়কর কৃতিত্বের মাধ্যমে এখন গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছেন তিনি। এসেছিল অনেক বাধা জোশুয়া এবং তার সঙ্গীরা যখন প্রথম নিজেদের সম্ভাব্য স্কি স্পটে পৌঁছেছিলেন, তখন তারা একটি বড় পাথুরে ঢাল দেখতে পেয়েছিল। এর পরে জোশুয়ার মনে হয়েছিল যে তাঁর প্রচেষ্টা হয়ত ব্যর্থ হয়েছে। পরের বছর আবার চেষ্টা করতে হবে। তবে শীঘ্রই তিনি আশার আলো দেখতে পান। কিছু সময় পর, জোশুয়া স্কি করার জন্য সঠিক ঢাল খুঁজে পেয়ে, প্রথমে এটি পরিষ্কার করেছিলেন তিনি। জোশুয়া বলেছেন, এই রেকর্ড তৈরি করতে আমরা সবাই খুব পরিশ্রম করেছি। অক্সিজেনের অভাব, ক্রমাগত মাথাব্যথা এবং প্রায় ৬,০০০ মিটার উচ্চতায় ক্লান্ত শরীরকে দুর্বল করে দিয়েছিল। তবুও সব প্রতিকূলতা সামলে, দুই দিন পরে, জোশুয়া স্কিইং করার সময় লাফ দিয়ে ২০১৯ সালে তৈরি করা পুরনো রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন। স্কি-বেস জাম্পিং কী বেস জাম্পিংয়ের ঝুঁকির সঙ্গে স্কিইংয়ের রোমাঞ্চকে একত্রিত করে স্কি-বেস জাম্পিং। এর জন্য অনন্য বশক্তি এবং নমনীয়তার প্রয়োজন। এক কথায় বলতে গেলে, স্কি-বেসজাম্পিং হলো এমন একটি চরম খেলা, যেখানে উঁচু পাহাড় থেকে এক লাফে স্কি করতে হয়। বাতাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্যারাসুট নিয়ে মাটিতে অবতরণ করতে হয়। জোশুয়া মানব পাচার সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন: জোশুয়া এই রেকর্ডের মাধ্যমে একটি চ্যারিটি সংস্থার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল নেপালে মানব পাচারের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। জানা গিয়েছে, এই অনন্য রেকর্ড তৈরির পুরো খরচ জোশুয়া নিজেই বহন করেছিলেন। এর জন্য তিনি তার বন্ধুদের কাছ থেকে সেকেন্ড-হ্যান্ড স্কি সরঞ্জাম ধার নিয়েছিলেন এবং সস্তা পোশাকই পরতেন। এ প্রসঙ্গে জোশুয়া বলেছেন, ‘কিছু অর্জন করতে দামী জিনিস লাগে না, সাহস লাগে।’ সূত্র: অনলাইন