• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
জামায়াত আমিরের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ছাত্র-জনতার ঋণ পরিশোধ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার
ঐক্যবদ্ধ জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ছাত্র-জনতার ঋণ পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) মাদারীপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে হলে আল্লাহভীরু লোকদের হাতেই দেশের নেতৃত্ব তুলে দিতে হবে। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর দেশকে গুম-খুনের রাজ্যে পরিণত করেছিল। তারা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। আলেমদেরকে জেলে পুরে হত্যা করেছে। তারা গোটা দেশকে বৃহৎ কারাগারে পরিণত করেছিল। এই দুঃশাসন থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন সময় আন্দোলন ও সংগ্রাম হয়েছে। অবশেষে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে এদেশের ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত করেছে।       তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা যে স্বপ্ন নিয়ে জীবনের বিনিময় দেশকে মুক্ত করেছে আমাদেরকে সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ছাত্র-জনতার ঋণ পরিশোধ করতে হবে।  তিনি আরও বলেন, আমরা বিগত দেড় যুগ একটি বর্বর জাহিলি যুগ পার করে এসেছি। সে যুগে আমাদের অধিকার ছিল না, গণতন্ত্র ছিল না। ধর্মীয় অধিকার ছিল না। আইনের শাসন ছিল না। অর্থনৈতিক অধিকার ছিল না। আমাদের অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান ও খাবার ছিল না। নিরন্ন মানুষের আহাজারি এবং বস্ত্রহীন মানুষের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শেখ পরিবারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জিম্মি হয়ে জাহিলিয়াতের অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। গোলাম পরওয়ার বলেন,  আবু সাঈদ ও তার বীর সাথীরা ফ্যাসিবাদের সামনে বুক পেতে দিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে বিজয়ী করেছে। প্রয়োজন হলে আরও লক্ষ আবু সাঈদ রক্ত দিয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নব্য ফ্যাসিবাদের মোকাবেলা করবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করতে চেয়েছিল, কিন্তু করতে পারেনি। শেখ হাসিনা নিজেই নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। আরটিভি/এফএ-টি
বিএনপির সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই: জামায়াতের নায়েবে আমির
জামায়াত আমিরের সঙ্গে ব্রাজিল রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার চায় জামায়াত
পিএসসির তিন সদস্য নিয়োগ নিয়ে প্রতিবাদ জামায়াতে ইসলামীর
ছাত্রশিবিরের নতুন প্রতিজ্ঞা
জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’ বছরের শুরুতে নতুন করে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে সংগঠনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া এক পোস্টে এ প্রতিজ্ঞার কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার হাত ও মুখ থেকে অপর মুসলিমরা নিরাপদ থাকে, সে ব্যক্তিই প্রকৃত মুসলিম। আর যাকে মানুষ তাদের জান ও মালের জন্য নিরাপদ মনে করে সে-ই প্রকৃত মুমিন। (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি) অন্যত্র তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের ক্ষতিসাধন করে বা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, করে সে অভিশপ্ত। (সুনানে তিরমিজি: ১৯৪১) পোস্টে আরও বলা হয়, আমি নিজেকে প্রকৃত মুসলিম ও মুমিন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, সে কারণে অনলাইন-অফলাইনে কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ করব না; অন্যের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজকর্ম করব না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি।  সবশেষে প্রশ্ন রেখে বলা হয়, আপনি হয়েছেন তো?  আরটিভি/আইএম-টি
কুয়েত সফরে জামায়াত আমির
কুয়েত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে দেশটিতে চার দিনের সফরে গেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সফরকালে কুয়েত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত সুধি সমাবেশে যোগ দেবেন তিনি। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে কুয়েত এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কুয়েত বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ডা. শফিকুর রহমানকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কোরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কুয়েত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি খতিব হাফেজ মাওলানা নুরুল আলমসহ সংগঠনের নেতারা। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় আরদিয়া সানাইয়ার টেন্টে (খেমায়) প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে প্রীতি সমাবেশে ডা. শফিকুর রহমানের যোগদান করার কথা রয়েছে। আরটিভি/একে/এস
আ.লীগ কখনও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না: জামায়াত আমির
আওয়ামী লীগ কখনও গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরে মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মিরপুর পূর্ব থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সুধী সমাবেশ ও আত্মকর্মসংস্থান সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী বাকশালীরা ক্ষমতায় থাকার জন্য জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা করে দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না। তারা অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে গদিতে থাকার জন্য যা ইচ্ছা তাই করেছে। তাই তাদের বিদায়টাও মোটেই সম্মানজনক হয়নি।  তিনি বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় এমন লজ্জাজনক বিদায় অতীতে কারোরই হয়নি। আর যারা এভাবে একবার বিদায় নিয়েছে তারা আর কখনোই দৃশ্যপটে ফিরে আসতে পারেনি বরং তাদেরকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের পতিত স্বৈরাচার আবারো ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিচ্ছে। নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াত আমির বলেন, ছাত্র আন্দোলনের দাবি ছিল খুবই যৌক্তিক। কিন্তু তারা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে সমাধান করতে চায়নি বরং রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার করে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে। মূলত তারা অতি ছোট দাবিকে উপেক্ষা করতেই হাজার হাজার মানুষ খুন করে নির্মম পাশবিকতার পরিচয় দিয়েছে।  তিনি বলেন, তারা শুধু আবু সাঈদ বা মুগ্ধের মত ছাত্রদের নয় বরং সব শ্রেণি ও মানুষের ওপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়েছে। তাদের থেকে রেহাই পায়নি নারী, শিশু এমনকি বৃদ্ধরাও। মায়ের কোলে দুগ্ধজাত সন্তানও নিরাপদ ছিল না। এরপরও ফ্যাসিবাদীরা ক্ষমতায় দিবা স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু জনগণ তাদেরকে সে সুযোগ কখনও দেবে না বরং যেকোনো মূল্যে দেশে ফ্যাসিবাদী অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী অপশাসন-দুঃশাসনে রাষ্ট্রের সব সেক্টর ধ্বংস করা হয়েছে। তারা ব্যাংক-বীমাসহ অর্থনৈতিক সব প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। মূলত তারা জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা বলে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে নিয়েছেন। জনগণ তাদের এমন অপশাসন ও দুঃশাসনে ফিরতে চায় না। আরটিভি/এফএ/এআর
হাসিনা ও তার পরিবার মিলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে: জামায়াত আমির
শেখ হাসিনা সরকার ও তার আত্মীয়-স্বজন মিলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।  শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাংকের টাকা লোপাট করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে। মানবিক দেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের আপামর জনগণের জনপ্রিয় ইসলামী ব্যাংক ধ্বংস করেছে শেখ হাসিনা পরিবার। ডাকাত এস আলমকে লেলিয়ে দিয়ে পরিবার মিলে টাকা লোপাট করেছে। তিনি বলেন, আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা এই দেশে আর কোনো মাইনোরিটি মেজরিটির কথা শুনতে চাই না।  এ সময় প্রশ্ন রেখে জামায়াত আমির বলেন, কীসের মেজরিটি আর মাাইনোরিটি? যারাই বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করবে তারা সবাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের গর্বিত নাগরিক। রাষ্ট্রের সংবিধান সকলকে সমান অধিকার দিয়েছে। আল্লার সংবিধানও তাদেরকে সমান অধিকার দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগে দেশে চাঁদাবাজি দখলদারি ছিল। ফুটপাত থেকে সবকিছু দখল হয়ে গিয়েছিল। এখন আর দখলদারি নেই। আমাদের সন্তানরা এজন্য জীবন দেইনি যে, বাংলাদেশে এখনও চাঁদাবাজি চলবে। আমরা চাঁদাবাজি ও দখলদারি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই এবং আমরাই এটা পারব। কারণ, আমরা সেই দল, যাদের একজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজি দখলদারির অভিযোগ নেই।  কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও জেলার নেতারা বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। এ সময় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কয়েক হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/আইএম/এস
জামায়াতের স্বপ্নের বাংলাদেশে মামা-খালুর তদবির চলবে না: ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর স্বপ্নের বাংলাদেশে মামা-খালুর তদবির চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা জামায়াতের আয়োজনে সুধী সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, তা হবে হিংসা-হানাহানি ও সন্ত্রাসমুক্ত। স্বপ্নের সেই বাংলার তরুণরা আল্লাহকে ভয় করবে। তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে। মানুষকে ভালোবাসবে, বিপদ-আপদে পাশে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, স্বপ্নের সেই বাংলাদেশে মামা-খালুর তদবির চলবে না। যার যার যোগ্যতায় চাকরি পাবে প্রার্থীরা। আর নারীদের সম্ভ্রমহানী হবে না। আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। একজন শিশু জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নাগরিকের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে। জামায়াত আমির বলেন, বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক বেশি। একদিকে জনসংখ্যা অন্যদিকে প্রাকৃতিক সম্পদ। এই দুইয়ের সমন্বয় সাধনে আমাদের দেশের গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু আমরা দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বেড়াজালে পড়ে মারাত্মক ক্ষতির মধ্যে পড়েছি। সর্বশেষ দুঃশাসনের কঠিন অধ্যায় এদেশের মানুষের জানা রয়েছে। শুধু ক্ষমতার জন্য এই দুঃশাসন জনগণের ওপর চালিয়ে দেশের সব অর্গানকে বিকল করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, বিতাড়িত ফ্যাসিবাদ সাড়ে ১৫ বছরে দেশের মানুষকে শুধু খুন আর গুম উপহার দিয়েছে। সেই ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার আর সুযোগ নেই। কারণ, এটা জনগণ চাইবে না। জনগণ শান্তি চায়। জনগণের চাওয়া একটাই, দেশের নাগরিকরা পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে।  এ সময় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতের একার পক্ষে রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব নয়। দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জনকল্যাণমূলক সরকার গঠন করতে পারলে দেশ উপকৃত হবে। দেশ ভালো হলে দেশের মানুষ হিসেবে আমরা উপকৃত হবো। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজাউদ্দিন জোয়ার্দার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য যশোর অঞ্চলের পরিচালক মো. মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন, আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আল্লামা শামীম সাঈদী, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, জামায়াতের মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া অ্যান্ড ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক আ,ছ,ম তরিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া কুওয়াতুল ইসলাম আলীয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা তরিকুল ইসলাম প্রমুখ। আরটিভি/এসএইচএম/এস
শেখ হাসিনা দেশে আসবেন ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: রেজাউল করিম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাঁসিতে ঝোলার জন্য দেশে আসবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর দারুস সালামের গোলারটেক ইদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনা দেশে এলে ওয়েলকাম জানাবো। হাসিনা দেশে এলে সব খুনের হিসাব নেওয়া হবে। তিনি দেশে আসবেন ফাঁসিতে ঝোলার জন্য। জামায়াতের এ নেতা বলেন, শেখ হাসিনার বিগত দিনে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে অন্যায়ভাবে দেশে গুম-খুন করা হয়েছে। আর দেশকে ডাকাতের খনিতে পরিণত করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমাদের কিছু বন্ধু পুরানো ক্যাসেট বাজাচ্ছেন। এসব ভুয়া ক্যাসেট ভুলে বাজাচ্ছেন কি না? নাকি তাদের মাথায় সমস্যা আছে, তা দেখতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা এনে দিলেও এখন পর্যন্ত এর সুফল পায়নি মানুষ। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা নতুন স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিয়েছে। এখন দেশের শান্তির জন্য দরকার আল্লাহর আইন। এছাড়া ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বন্ধ করে শহীদ পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের আহ্বানও জানান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় এ নেতা। আরটিভি/এসএইচএম
গুপ্ত নয়, ৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর ছাত্রশিবিরের সম্মেলন হয়েছে: জাহিদুল
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নবনির্বাচিত সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্রশিবির গুপ্ত নয়, ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর শিবিরের সম্মেলন হয়েছে। এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রশিবির নিয়ে আমাদের আগের প্রজন্মের ভাইয়েরা তো বলেছেন; আগের প্রজন্মকে কীভাবে উনারা সে সময় রান করেছেন। প্রত্যেকটা জিনিসের আসলে এভাবে প্রজন্মের একটা স্টেপ বাই স্টেপ থাকে, সময়টাকে উপলব্ধি করে তারা সেই আলোকে ডিসিশন নেন। এ সময় তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির মিছিলের সংস্কৃতি দিয়ে কমিটি প্রকাশ করে না।  এই নেতা বলেন, শিবির সন্দেহ শিবির সন্দেহ শিবির সন্দেহ—মানে এত বেশি এটাকে রিড করা হয়েছে, মানে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলা যাবেও—এটা একটা সার্টিফিকেশন। জাহিদুল ইসলাম বলেন, আপনাদের ঢাকা ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী আমি মনে করি। আপনারা এখানে যারা আছেন অনেক সাক্ষী আছেন এ ঘটনাগুলোর। এরপর আমাদের ৫ আগস্টের পরবর্তী যে বাংলাদেশ এখানে আসলে ইমোশনাল অনেকগুলো বিষয় আছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে এখন আমাদেরকে প্রশ্ন করা হয়- আপনারা কি গুপ্ত; এত বড় একটা নির্যাতিত এত বড় একটা ভিকটিম সংগঠনের ওপর এই শব্দগুলো আরোপ করা—আমি জানি না এটা মানবতার কোন লেভেল থেকে প্রশ্নগুলো বা এই জিনিসগুলো আমাদের মনের মধ্যে আসে। তিনি বলেন, আজকে ছাত্রশিবিরের এ প্রোগ্রাম কী প্রমাণ করে, ছাত্রশিবির গুপ্ত কোনো বিষয়? শিবিরের সায়েন্স ফেস কী প্রমাণ করে, শিবিরের গুরুত্ব কোন অংশে কম?  ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি বলেন, আমাদের সেই ৭৭ সাল থেকে প্রত্যেক বছর কেন্দ্রীয় সভা থেকে শুরু করে একেবারে ইউনিট পর্যন্ত প্রত্যেকটা সেটআপই হয়েছে। ছাত্রশিবির প্রত্যেকটা কাজ প্রত্যেকটা মুহূর্ত প্রত্যেকটা সময় কন্টিনিউ করেছে। আগে মিডিয়ার ভাইয়েরা আমাদের কাছে আসতেন না, ইভেন আমরা যদি কোন একটা বিষয়ে বলতাম যে ভাই এটা কেউ আমাদের প্রচার করুন সেটাও তারা করতেন না। কেন করতেন না সেটা তাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। ইভেন এমনও হয়েছে যে আমাদের নিউজ কাভারেজের কারণে অনেক সাংবাদিকের চাকরি নিয়ে টানা শুরু হয়েছে এরকম ঘটনা অসংখ্য। তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের একজন সদস্য হিসেবে একটা মোর‌্যাল ভ্যালুস আমরা ক্রিয়েট করি সেটা হলো—নিজেকে এত বেশি উপস্থাপনের কিছু নাই। যেটা আমাদের শিশির মনির ভাই অনেকগুলো প্রত্যাশার কথা বলেছেন। যেমন, শিবিরের কিছু কমিটি এখন হচ্ছে দেখছি; কমিটি হওয়ার পর মাশাল্লাহ উনার পেছনে একটা গ্রুপ মিছিল করে; আবার উনার কমিটি হইছে কেন- পালটা আরেকটা গ্রুপ বিশাল মিছিল করে। তো এই ধরনের মিছিলের সংস্কৃতি দিয়ে আমরা আমাদের কমিটি প্রকাশ করি না, কমিটির ঢাকঢোল পেটানোর প্রয়োজনও ফিল করি না এবং আমরা দায়িত্বের অনুভূতিটাকে বেশি ফিল করি। আরটিভি/একে/এআর