• ঢাকা সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
এক ইঞ্চি মাটিও বিদেশি অপশক্তিকে দেওয়া হবে না: ড. মাসুদ
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করলেন জামায়াতের আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমাদের দল মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তবে ভারতের সহযোগিতায় স্বাধীনতার সুফল না পাওয়ার শঙ্কা ছিল। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় দলের অবস্থান নিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিলাম না। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, ভারতের সহযোগিতায় যদি দেশ স্বাধীন হয় তাহলে স্বাধীনতার সুফল পাওয়া যাবে না। এরপরেও এটা সঠিক যে- জামায়াত চেয়েছিল অখণ্ড পাকিস্তান। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের নিপীড়ন, নির্যাতন, খুন এবং বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের কারণে সারা জাতি ফুঁসে উঠেছিল, মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। সেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশকে আমরা আমাদের কলিজা দিয়ে ভালোবেসে কবুল করে নিয়েছি।’  তিনি বলেন, ‘তখনকার সময়ে আমাদের চিন্তা বিজয়ী হয়নি, সেই সময় আমাদের চিন্তা পরাজিত হয়েছে, আমাদের সিদ্ধান্ত পরাজিত হয়েছে। এখান জনগণ মূল্যায়ন করবে আমাদের সেই ভূমিকা কতটা যথার্থ ছিল।’ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জামায়াতে ইসলামী বেশি সুবিধা পাচ্ছে- এমন আলোচনাকেও ‘মিথ্যা প্রচার’ দাবি করেছেন ডা. শফিকুর রহমান। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘নিষিদ্ধের রাজনীতি আমাদের সমর্থনের বিষয় না। এটি জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিষয়। অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা, সেটি জনগণই ঠিক করবে।’ নির্বাচন প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সংস্কার করবে আর কিছু সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। আমরা মনে করি নৈতিক দায়বদ্ধতা আছে বর্তমান সরকারের। তারা তাড়াহুড়া নেই বলে এই বিষয়টি টেনে লম্বা যেন না করে এই কথা আমরা বারবার বলেছি।’ আরটিভি/এসএপি/এআর
ঢাবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে শিবিরের শুভেচ্ছা
‘যে ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি হয়েছিল, সেখানেই আ.লীগের বিচার হবে’
জামায়াত নেতাদের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে শাহবাগে শিবিরের সমাবেশ
একটি ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় জামায়াত: বুলবুল
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, জামায়াত একটি ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই সমাজব্যবস্থায় কোনো বৈষম্য, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব থাকবে না।  শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, দেশের মানুষ আজ বুঝতে পেরেছে ইসলাম ব্যতীত শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। শান্তিকামী মানুষ আজ দলে দলে ইসলামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ করেছে।  তিনি বলেন, ক্ষমতার পালাবদলের জন্য ছাত্র-জনতা জীবন আর রক্ত দেয়নি। ছাত্র-জনতার অর্জিত বিপ্লবের সুফল ভোগ করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনে কাজ করতে হবে। আমি কি পাবো, আমার দল কী পাবে! এই হিসাব করার সময় এখন নয়। জামায়াতের এই নেতা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পরাজিত শক্তি তাদের বিদেশি প্রভুদের ষড়যন্ত্রে সামনে প্রতিবিপ্লবের অপপ্রচেষ্টা চালাবে। সেটি ভয়ংকর রূপ নিতে পারে। সেজন্য সকল রাজনৈতিক দলকে ছাত্র-জনতার পক্ষে এককাতারে অবস্থান নিতে হবে।  নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, কোনো একটি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে পরাশক্তি প্রথমেই ঐ রাষ্ট্রের জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। দলমত, জাতি-গোষ্ঠী, ধর্মবর্ণ সকলে বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয়ে এক ও অভিন্ন থাকতে পারলে কোনো পরাশক্তি এ দেশের অগ্রযাত্রার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।  তিনি বলেন, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং তার পরবর্তী সকল আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের বিজয় হয়েছে যুব সমাজের হাত ধরে। তাই যুব সমাজকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।   জামায়াতে ইসলামী দেবীনগর ইউনিয়ন সভাপতি মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি গোলাম মুর্শেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য জেলা নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক লতিফুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু বকর, ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সেক্রেটারিসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/আরএ/এআর
সুইজারল্যান্ডে আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, যা বললেন জামায়াতের আমির
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনায় মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি। সেখানে ডা. শফিকুর রহমান লেখেন, ‘সুইজারল্যান্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এবং আরেকজন উপদেষ্টার সাথে প্যারিসে অনুরূপ যে আচরণ হয়েছে তাতে প্রমাণ হয়, আওয়ামী লীগ তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্র ত্যাগ করতে পারেনি। ’ সবশেষে তিনি লেখেন, ‘স্বতঃসিদ্ধ কথা- কয়লা ধুইলেও ময়লা যায় না।’ এদিকে এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে নিজ দেশের সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুধু অনভিপ্রেতই নয়, বরং দেশ ও জনগণের মর্যাদার ওপর প্রচণ্ড আঘাত।’ তিনি বলেন, ‘৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ফ্রান্সে যাওয়ার পথে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা এয়ারপোর্টের সামনে আসিফ নজরুলের সঙ্গে কতিপয় দুষ্কৃতকারী উদ্ধত ও অশোভন আচরণ করেন এবং দলীয় স্লোাগান দিতে থাকেন। আমরা এ অনভিপ্রেত ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।’ প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির মিটিং যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশে ফিরছিলেন তিনি। উপদেষ্টা গাড়ি থেকে বিমানবন্দরে নামার পর কয়েকজন লোক এসে তাকে ঘিরে ধরেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সুইজারল্যান্ড শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান ছিলেন। জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত উপদেষ্টাকে বিরক্ত ও হেনস্তা করেন তারা। তখন তারা জয়বাংলা, জয়বন্ধু শ্লোগানও দেন। আরটিভি/এসএপি  
শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে যা বললেন জামায়াত আমির
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুন, গুম ও হত্যা মামলা আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখনই চাইবে ভারতকে তখনই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে।   শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নীলফামারী জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনাকে নিয়ে জামায়াত আমির বলেন, একজন শাসক সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করেছেন। তিনি যখন কথা বলতেন তখন মানুষ বলতো, ‘ও হাসিনা আমরা আর হাসি না’। তিনি মানুষকে উত্তেজিত করতেন এবং হাসানোরও চেষ্টা করতেন। তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন ছিলেন তার উজির নাজিররাও তেমন ছিলেন। কে কত মিথ্যা বলতে পারে সেই প্রতিযোগিতা ছিল গত ১৫ বছরে। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছর জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে। দলীয় কার্যালয়গুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। বাড়িতেও থাকতে পারেনি নেতাকর্মীরা। বাড়িতে বসলেও জঙ্গি হিসেবে আখ্যা দিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। শুধু জামায়াত নয়, বিরোধী মতের সবার ওপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। অন্যায়ের বিচার হতে হবে, না হলে অন্যায়কারীরা উৎসাহ পাবে, অপরাধ কমবে না।  তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বিডিআর বিদ্রোহের নামে পরিকল্পিতভাবে মেধাবী সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। আর এটি শেখ হাসিনার নির্দেশেই করা হয়। গত ১৫ বছরে যত অন্যায় অত্যাচার জুলুম করা হয়েছে, তা ছিল শেখ হাসিনার মদদেই। ছাত্র-জনতার ত্যাগকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, যেসব কারণে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে তা যেন পূরণ হয়। ছাত্র-জনতার দাবিগুলো সর্বাগ্রে পূরণ করা হোক। নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াত ক্ষমতায় এলে দাবি আদায়ের জন্য এ দেশের মানুষকে সংগ্রাম করতে হবে না। বিনা সংগ্রামে জনগণের দাবি পূরণ করা হবে। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের আইন হাতে তুলে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত কোনো অন্যায় করবে না, অত্যাচার করবে না। মানুষের ক্ষতি করবে না। যেখানে অন্যায় দেখবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেবেন। কর্মী সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।  এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।  আরটিভি/আইএম/এআর
ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে জামায়াত আমিরের বিবৃতি
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেওয়া সেই বিবৃতি তিনি বলেন, গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আমি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।  ‘আমরা আশা প্রকাশ করছি, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছেন, বিশ্ববাসী তার বাস্তবায়ন দেখতে চায়।’ বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সফলতা কামনা করেন ডা. শফিকুর রহমান। উল্লেখ্য, ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৯৫ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। জয়ের জন্য তার প্রয়োজন ছিল ২৭০টি। কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬ ইলেকটোরাল ভোট। আরটিভি/আরএ
নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে শপথ নিতে হবে: জামায়াত আমির
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। জামায়াত আমির বলেন, ৭ নভেম্বর ষড়যন্ত্রকারীরা দেশটাকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু বীর জনতা সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। তবে, ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। ৭ নভেম্বর ব্যর্থ হয়ে তারা কথিত বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন দেশপ্রেমী ও চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সীমান্তকে অরক্ষিত করে ফেলে। তিনি বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অপশাসন-দুঃশাসনমুক্ত, বৈষম্যহীন, ইনসাফপূর্ণ, তারুণ্য সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জনগণের জানমাল আমাদের কাছে পবিত্র আমানত। আমরা দেশ ও জাতির স্বার্থে সব সময় দায়িত্বশীল আচরণ করে এসেছি। কিন্তু আমরা এ দেশে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত-নিপীড়িত রাজনৈতিক দল।  তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আমাদের দলকে দুই দফা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা বরাবরই পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করে এসেছি। তারপরও আমাদের নিষিদ্ধ হতে হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, ‘গরম ভাতে বিড়াল বেজার’। জামায়াতের এই নেতা বলেন, জামায়াত দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারই দেশে নেতিবাচক ও নির্মূলের রাজনীতির সূচনা করেছে। তারা আমাদের দিয়ে নাস্তা করারও ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিইনি। আলোচনা সভায় দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মোহাম্মাদ রেজাউল করিমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/আরএ/এআর
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের আহ্বান জামায়াতের
৭ নভেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনের আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বুধবার (৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সকল মুক্তিকামী জনতা রাজপথে নেমেছিল। বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামির আমির বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মেজর জে. খালেদ মোশাররফ পালটা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করেছিলো। তখন আমাদের দেশপ্রেমিক সিপাহি ও জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ৭ নভেম্বর নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার স্লোগান দিয়ে রাজপথে নেমে খালেদ মোশাররফের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হেফাজত করেছিল। আমাদের দেশপ্রেমিক সামরিক বাহিনী বারবার দেশকে বিদেশি আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছে। ৫ আগস্ট দেশের ছাত্র-জনতা অনেক তাজা প্রাণ ও রক্তের বিনিময় দেশকে সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত করেছে এবং দেশের সামরিক বাহিনী ছাত্র-জনতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা এমনি এক সময় ৭ নভেম্বর পালন করতে যাচ্ছি যখন জাতি নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জাতিকে আবার ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নানামুখী চক্রান্ত শুরু হয়েছে। জাতি আবার ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদীরা পুনরায় ফিরে এলে জাতি এক মহাসঙ্কটে নিপতিত হবে। এ অবস্থায় জাতিকে রক্ষা করার জন্য দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল-মত-নির্বিশেষে এবং বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই সকল প্রকার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার দীপ্ত শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আমি জামায়াতের সকল শাখা ও দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আরটিভি/এমএ-টি
ছাত্রশিবিরের এবারের প্রকাশনায় জুলাই আন্দোলনের বীরত্বগাঁথা
ছাত্রশিবিরের এ বছরের প্রকাশনায় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ ও সাহসী ভূমিকা বীরত্বগাঁথা গল্পগুলো স্থান পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মূল স্পিরিট ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধারণ করে আসছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ছাত্রশিবিরের ২০২৫ সালের প্রকাশনা সামগ্রীর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। শিবির সেক্রেটারি বলেন, জুলুম ও নির্যাতনের মূলোচ্ছেদ করে একটা বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করার লক্ষ্যেই ইসলামী ছাত্রশিবির গঠিত হয়, যা জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মূল চেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই এ বছর আমরা আমাদের প্রকাশনায় এই আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ ও সাহসী ভূমিকা বীরত্বগাঁথা গল্পগুলো স্থান দিয়েছি। এসময় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সমাজে প্রচলিত জাহেলিয়াতপূর্ণ চিন্তা ও মূল্যবোধ আমাদের জাতির অগ্রগতি ও মঙ্গলকে বাধাগ্রস্ত করছে। এসব ভুল ধারণার বিরুদ্ধে ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রতিস্থাপন অপরিহার্য। তিনি বলেন, ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানবতার সঠিক পথপ্রদর্শন করে। ইসলামী সংস্কৃতি ও নীতির মাধ্যমে আমরা আমাদের চিন্তা ও নীতি-নৈতিকতায় আমূল পরিবর্তন আনতে পারব, যা সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যাবে। এটি আমাদের জাতির প্রকৃত মুক্তি ও সমৃদ্ধির পথে একমাত্র সঠিক দিশা। কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো জাতির মন-মগজে জেঁকে বসা হীনম্মন্যতা ও জাহেলিয়াতকে দূর করে ইসলামের সুমহান ও শাশ্বত আহ্বান পৌঁছে দেওয়া। ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঠিক অনুধাবন তরুণ ছাত্রদের মধ্যে গড়ে তোলার প্রয়াসে ছাত্রশিবির কাজ করে যাচ্ছে। পশ্চিমা বয়ান শুনে যারা ইসলামকে শুধুমাত্র একটি ধর্ম হিসেবে মনে করেছে, তাদেরকে ইসলামের বিশালতা বোঝানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, যার ধারাবাহিকতায় আমরা আমাদের প্রকাশনা সামগ্রী সেই আলোকে সাজিয়েছি। কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেল ছাড়াও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ঢাকাস্থ শাখা সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, প্রতি নতুন বছরেই আকর্ষণীয় প্রকাশনা সামগ্রী প্রকাশ করে ছাত্রশিবির। এবারের প্রকাশনার মধ্যে রয়েছে তিন পাতা ক্যালেন্ডার, এক পাতা বড়ো ক্যালেন্ডার, এক পাতা ছোটো ক্যালেন্ডার, ডেস্ক ক্যালেন্ডার, ইয়ার প্লানার, ইংরেজি বড়ো ডায়েরি, বাংলা বড়ো ডায়েরি, মাঝারি ডায়েরি ও পকেট ডায়েরি, ইসলাম ও সচেতনতামূলক বাণী সংবলিত স্টিকার প্রভৃতি। শিবির সভাপতি এসব প্রকাশনা সামগ্রী ছাত্রসমাজ ও সুধীমহলের নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংগঠনের সকল স্তরের জনশক্তির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আরটিভি/এএইচ