• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo
কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা মামলায় কনস্টেবল গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ২ হত্যা মামলা
দুই যুবককে হত্যার অভিযোগ গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২১৭ জনের নাম উল্লেখ করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই দুই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দরা এলাকার হায়াত আলী ফকিরের ছেলে মো. জসিম ফকির (৩৬) ও কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকার বাসিন্দা শাহিনুর মাহমুদ শেখ (৪০)। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ওই দুটি হত্যা মামলায় বাদী হয়েছেন নিহত জসিম ফকিরের ভাই রিয়াজ ফকির ও নিহত শাহিনুরের স্ত্রী সালমা বেগম। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় গত ৪ আগস্ট বিকেলে আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে জসিম ফকির নিহত হন। পরে তার লাশ নিহতের পরিবার উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে নিহতের ভাই রিয়াজ ফকির বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ হেলাল, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে হুকুমের আসামি করে ১০৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া, অপর মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহেনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে হুকুমের আসামি করে ১০৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই মামলায় অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নাজমুস সাকিব খান বলেন, কালিয়াকৈর থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর একটি শুক্রবার রাতে নথিভুক্ত করা হয়েছে, অপরটি শনিবার সকালে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
গাজীপুরে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রিমিসহ ৯২ জনের বিরুদ্ধে মামলা 
আধিপত্য নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত কলেজছাত্র
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
গাজীপুরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেক মামলা
গাজীপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ ৫৭ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে লিখন (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করা হয়।  বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গুলিতে আহত লিখনের পিতা মনির হোসেন মামলার বাদী। তিনি জেলার শ্রীপুর উপজেলার লোহাগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বসবাস করেন গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার পশ্চিম জয়দেবপুরের নিয়ামত সড়ক এলাকায়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় শেখ হাসিনা ও আ ক ম মোজাম্মেল হক ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান মতি, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লা মণ্ডলসহ ৫৭ জন।
গাজীপুরে আন্দোলনে নিহত ২০ পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ২০টি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজারস্থ মোল্লা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ২০টি পরিবারকে ২০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা শামসুল ইসলাম বলেন, শহীদেরা আমাদের অনুপ্রেরণা, এক অদম্য চেতনার সাইরেন। এ আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী ভাইয়েরা ঘুমন্ত জাতিকে জাগিয়ে তুলেছেন। হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত বাংলার মাটি ও মানুষের হৃদয়ে আশার ঢেউ তুলেছে একবিংশ শতাব্দীর সাহসী যুবক আবু সাঈদ এবং তার সঙ্গীরা।  তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী আজীবন শহীদ পরিবারের পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ। যেকোনো প্রয়োজনে জামায়াতে ইসলামীকে স্মরণ করবেন, আমরা সর্বদা আমাদের সাধ্যমতো আপনাদের সুখে-দুঃখে সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এ জাতির প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও তার দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে। এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং মহানগর সেক্রেটারি আ স ম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যগণ, মহানগরের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য খায়রুল হাসান, মহানগর সহকারী সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য আফজাল হোসেন, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী, তুরস্ক ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীল ও তুকাত গাজী উসমান পাশা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের গাজীপুর মহানগর সভাপতি মাওলানা আবু হানিফসহ কর্মপরিষদ সদস্য ও থানা আমিরবৃন্দ।
সাবেক মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গাজীপুরে বিএনপি সমর্থক রাসেল হোসেন (২০) গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ আওয়ামী লীগের ১০৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে আহতের মামা মো. মিলন বাদী হয়ে কোনাবাড়ি থানায় এ মামলা করেন। এতে আসামি হিসেবে  আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১০৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্ট বিকেলে তিনি ও তার ভাগিনা মো. রাসেলসহ কোনাবাড়ী ও বাইমাইল এলাকার ৩০-৩৫ বিএনপি সমর্থক ও জনতা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিজয় মিছিল নিয়ে কোনাবাড়ী বাজারে যাচ্ছিল। পল্লী বিদ্যুৎ ফ্লাইওভারের নিচে পৌঁছালে এজাহারভুক্ত প্রথম তিন আসামির হুকুমের গুলিতে রাসেল আহত হন। এর আগে গত সোমবার রাতে কোনাবাড়ি থানায় সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হককে প্রধান আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
গাজীপুরের কালীগঞ্জে আলোচিত ফয়সাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. তৌহিদুল ইসলাম রিমনকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।  রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে কালীগঞ্জ পৌরসভার খঞ্জনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত তৌহিদুল ইসলাম রিমন কালীগঞ্জ পৌরসভার ভাদগাতী এলাকার মোসলেহ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে কালীগঞ্জের সাবেক এমপি জিতু মিয়ার ছেলে মো. হাবিবুর রহমান ফয়সাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি রিমন অটোরিকশা নিয়ে খঞ্জনা এলাকায় আসে। সে সময় খঞ্জনা গ্রামের মৃত রকমানের ছেলে মো. সাত্তার (৩৫), মো. আলামিন (৩৮) সহ অজ্ঞাত পাঁচ থেকে সাতজন রিমনকে আটকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে পার্শ্ববর্তী উত্তরগাঁও কুমারটেক গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে আলী হোসেন (৩৫), বক্তারপুর টেংরাটির রহম উদ্দিনের ছেলে রকমত উল্লাহ্ (২৬) ও নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থানাধীন কলিঙ্গা গ্রামের ফেকুনের ছেলে মো. মোশারফ হোসেন (৪০) জড়ো হয়ে এক পর্যায়ে রিমনকে টেনে হেঁচড়ে অটোরিকশায় তুলে কুমারটেক তালতলা এলাকায় নিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সড়কের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিমনকে মৃত ঘোষণা করেন। রাত ৮টার দিকে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান নিহত রিমনের লাশ উদ্ধার করেন। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। বাদ মাগরিব স্থানীয় হযরত শাহ্ বায়েজীদ মাজার সংলগ্ন ঈদগাঁহ্ মাঠে জানাজার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় নিহত রিমনের স্ত্রী রুমা আক্তার বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫-৭ জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। নিহত রিমনের বাবা মোসলেহ উদ্দিন মাষ্টার বলেন, রিমন রোববার বিকেলে কালীগঞ্জ থেকে বাড়ীতে আসার পথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশি মো. সাত্তার, মো. আল আমিন, আলী হোসেন, রকমত উল্লাহ্ ও মো. মোশারফ হোসেনসহ অজ্ঞাত ৫-৭ জন সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে। এ সময় তারা হাত-পা বেঁধে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রিমনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে অটোরিকশা দিয়ে পার্শ্ববর্তী কুমারটেক এলকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহাতাব উদ্দিন বলেন, মো. তৌহিদুল ইসলাম রিমনের স্ত্রী রুমা আক্তার বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫-৭ জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। তার নামে কালীগঞ্জ থানায় অস্ত্র, হত্যা, ধর্ষণ ও মাদকসহ অন্তত ৬টি মামলা রয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আন্দোলনে নিহত জাকিরের পরিবারকে জামায়াতের ২ লাখ টাকা অনুদান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত গাজীপুরের কাপাসিয়ার চরদুর্লভ খাঁ গ্রামের যুবক জাকির হোসেনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে তার পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাপাসিয়া উপজেলা শাখা। উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের গিয়াসপুর উচ্চবিদ্যালয়ের মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী কাপাসিয়া উপজেলা শাখা আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন শহীদ জাকির হোসেনের স্ত্রী ও তার বাবা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলা শাখার আমির ডক্টর মো. জাহাঙ্গির হোসেন, নায়েবে আমির মাওলানা শেফাউল হক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাউদ্দিন আইয়ুবী, জেলা ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি শামসুল আলম, কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ফরহাদ মোল্লা, সাংবাদিক ও সহযোগী অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটন, জামায়াত নেতা আবুল ফাত্তাহ, আবু নাঈম, ইমরান হোসাইন, ইমতিয়াজ বকুল, মাওলানা আলাউদ্দিন, মাওলানা জিয়াউর রহমান প্রমুখ। জাকির হোসেন ১৪ জুলাই শুক্রবার আড়াইটার সময় রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হয়। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব গ্রামের দরিদ্র কৃষক মো. আ. সামাদের বড় ছেলে।
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৮৫ জনের বিরুদ্ধে গাজীপুরে হত্যা মামলা
গাজীপুরের গাছা থানার বড়বাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া রংপুরের পীরগাছা এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় রাজমিস্ত্রি হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের গাছা থানার ওসি মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম। ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে মামলাটি করেছেন রংপুর জেলার পীরগাছা থানার জুয়ান এলাকার বাসিন্দা মো. ইনছার আলী (৬৮)। নিহতের নাম মো. মঞ্জু মিয়া (৪৩)। তিনি মো. ইনছার আলীর ছেলে। তিনি স্ত্রীসহ বাবার সঙ্গে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন বড়বাড়ী এলাকায় জয়বাংলা রোডে মোয়াজ্জেম সরকারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মামলায় কেন্দ্রীয় ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে রংপুরের আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদেরও আসামি করা হয়েছে। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (৭৬), রংপুরের পীরগাছা-কাউনিয়া এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য টিপু মুন্সি (৭৪), সাবেক মন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা (৭৩), গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান (৭০), সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল (৪৬), গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন (৫৮), কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম (৩৫) ও সাধারণ সম্পাদক ইনান (৩৪)। মামলায় শেখ হাসিনাসহ প্রথম ১৯ জনকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। মামলায় আরও ৫০০-৭০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওসি মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম বলেন, মামলাটি গত ২৪ আগস্ট রাতে রুজু করা হয়েছে। মামলার এজাহারে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রসহ মারপিট করে গুরুতর জখম করা ও গুলি করে খুন এবং এ কাজে হুকুম দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।