• ঢাকা শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
প্রতিবেশীদের স্বার্থের কারণে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থসংশ্লিষ্টতার কারণে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।  শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৪’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এ সংলাপের আয়োজন করেছে। অন্যান্য বিভিন্ন ইস্যুর পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুর পরিপ্রেক্ষিতেও বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের আলাদা আলাদা স্বার্থ রয়েছে। গত আট বছরে এই সংকট নিরসনে বড় প্রতিবেশীর কাছ থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা প্রত্যাশার চেয়ে কম। তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের বিষয়টিকে আমি এভাবে দেখি যে, তাদের নিজেদের স্বার্থ আছে বলে আমাদের পাশে এসে সমস্যার সমাধান তারা করেনি। ফলে এই সমস্যা আমাদের জন্য বড় ধরনের বোঝা তৈরি করেছে। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্যই হুমকি হয়ে থাকবে না, তা ছড়িয়ে পড়বে অন্যখানেও। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে চীন কেন এগিয়ে আসেনি, এমন প্রশ্ন উঠতে পারে। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, বঙ্গোপসাগরে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে চীনের কাছে মিয়ানমার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে ভারত চিন্তা করেছে রাখাইনের কালাদান প্রকল্প তার উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর প্রবেশাধিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই প্রকল্পের জন্য ভারতের কাছে মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার কোনো বিকল্প নেই। সার্বিক বিবেচনায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহসাই আশার আলো দেখা যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন এক পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি, আমরা পরিস্থিতির বলি হয়েছি। আমি কাউকে দায়ী না করেই বলি, সবাই নিজের স্বার্থ দেখবে। এতে করে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে। শিগগিরই এবং খুব সহজে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হবে বলে টানেলের শেষ প্রান্তে কোনো আলো দেখা যাচ্ছে না। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হলে এটা বাকি বিশ্বের জন্য ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা অনেক উঁচুতে। কিন্তু ধৈর্য একেবারেই কম। প্রতিটি পরিবর্তনে ফল আসতে সময় লাগে। আমি বিশ্বাস করি, বিভিন্ন বিষয়ের সমাধানের জন্য আমাদের আরও কিছুটা ধৈর্যের প্রয়োজন। রাজনীতিবিদ, তরুণ প্রজন্মসহ সমাজের সবারই এই ধৈর্যের প্রয়োজন। আরটিভি/এসএইচএম  
২ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে, আশা জয়শঙ্করের
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে এশিয়া সোসাইটি ও এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘ভারত, এশিয়া ও বিশ্ব’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তার দাবি, ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক বিষয় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় না। জয়শঙ্কর বলেন, সম্পর্ক নিয়ে আগাম কোনো ধারণায় উপনীত না হওয়ার অনুরোধ করব সবাইকে। বিষয়টা এমন নয় যে, ভারত তার সব প্রতিবেশী দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। এভাবে চলেও না। এমনটা হয়ও না। এভাবে শুধু আমরা (ভারত) না, কেউই কিছু অর্জন করতে পারে না। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে নিঃশর্তে সহায়তা করেছে ভারত। সম্প্রতি দুই দেশে সরকার পরিবর্তনের বিষয়টি নয়াদিল্লির জন্য বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে—এমন মন্তব্যের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। জয়শঙ্কর বলেন, দিন শেষে প্রতিটি প্রতিবেশীর নিজস্বতা থাকে। আমরা তাদের বলব না যে তোমাদের প্রবাহ আমাদের পছন্দ অনুযায়ী হোক। তেমন বলা আমাদের ইচ্ছাও নয়। আজকের দুনিয়ায় এটাই সত্য। প্রতিটি দেশই নিজের পছন্দ অনুযায়ী নীতি ঠিক করে। অন্যদের সেই মতো বোঝাপড়া করতে হয়। সেইভাবে এগোতে হয়।  এ প্রসঙ্গেই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির কথা ওঠে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যদের থেকে বাংলাদেশের বিষয়টি একটু আলাদা।  গত এক দশকে আমরা এমন কিছু প্রকল্পে কাজ করেছি যা উভয় দেশের জন্যই মঙ্গলজনক। সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বেড়েছে। এ অঞ্চলের লজিসটিক খাতের উন্নয়ন হয়েছে। জয়শঙ্কর এ কথা বলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর। বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সূত্রগুলো ওই বৈঠককে কার্যকর, ইতিবাচক ও গঠনমূলক হিসেবে বর্ণনা করেছে। জয়শঙ্কর বলেন, প্রতিটি দেশ তাদের নিজেদের ভাবনা অনুযায়ী চলে। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আপনাকে যেকোনো বিষয় জেনেবুঝে সে অনুযায়ী সাড়া দিতে হবে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে সবকিছুর শেষে আমরা অনুধাবন করব যে, প্রতিবেশী হিসেবে আমরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। এক দেশ অপর দেশের উপকারে আসতে পারে। এতেই সবার স্বার্থ নিহিত। বাস্তবিকতাই সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি ঠিক করে দেয়। ইতিহাসের শিক্ষা তেমনই। আরটিভি/একে/এসএ
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:২৯

প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এই চোরাচালান ঠেকাতে কোস্টগার্ডকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদরদপ্তরে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নাবিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নিজস্ব চাহিদা বিবেচনায় সরকার এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি করছে না। তাছাড়া বিদ্যমান ডলার সংকটের মধ্যেও সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ সার আমদানির মাধ্যমে জোগান অব্যাহত রেখেছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী দেশসমূহে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে। তাই কোস্টগার্ডের মূল দায়িত্বের অংশ হিসেবে সমুদ্র ও নৌপথে ইলিশ ও সারসহ বিভিন্ন পণ্যের চোরাচালান বন্ধ করতে হবে। এ সময় কোস্টগার্ডের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে নৈতিকতার স্খলন দেখা দিলেও কোস্টগার্ড এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা নৈতিক মানদণ্ড বজায় রেখেছে ও অর্পিত দায়িত্বের ক্ষেত্রে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। সেজন্য তাদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতি নেই। উপদেষ্টা কোস্টগার্ড সদস্যদের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানে তাদের অতীত ঐতিহ্য ও সম্মান সমুন্নত রেখে অস্ত্রসহ বিভিন্ন ক্রয় ও সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি এ সময় কোস্টগার্ডের আবাসন, জনবল, অস্ত্র এবং টহল ও উদ্ধারকারী নৌযান ক্রয় ও সংগ্রহসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এসএইচএম  
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৫২

রাজধানীতে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের
রাজধানীর শাহীনবাগে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে মো. রনি (২৮) নামে একযুবক প্রাণ হারিয়েছেন। একই ঘটনায় নিহত রনির বড় ভাই রফিক (৩২) আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে তাস খেলার সময় কথা-কাটাকাটির জেরে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৩টার দিকে মো. রনি (২৮) নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। রনির ভাই রফিককে (৩২) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত রনি ভাড়ায় বাইক চালাতেন। তার ভাইয়ের চায়ের দোকান রয়েছে। রনির ভাগ্নে জুয়েল বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে রনিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে প্রতিবেশী মোরশেদ। এ সময় রনির ভাই এগিয়ে এলে তিনিও হামলার শিকার হন। তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, শাহীনবাগে ৬ নম্বর গলির বাসার কাছে তাস খেলার সময় রনি ও রফিককে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় চারজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসবাদ করা হচ্ছে। মূল যে আসামি, তাকে গ্রেপ্তারে ঢাকার বাইরে একটি টিম কাজ করছে। কী কারণে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।  
২৫ মে ২০২৪, ১৭:২১

প্রতিবেশীর বিষে প্রাণ গেল ৯ হাঁসের 
নোয়াখালীর কবিরহাটে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ধান খেতে কীটনাশক বিষ প্রয়োগ করে ৯টি হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী নারী এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।  এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে চর গুল্লাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।    ভুক্তভোগী রোওশন আরার লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা ধানশালিক ইউনিয়নের লামছি প্রসাদ গ্রামের মো. মাহবুল (৬৫), আবদুল হক (৩৫), আবুল বাসার (৩০)। তারা তার পাশের বাড়ির প্রতিবেশী। ওই নারী ছোট পরিসরে কিছু হাঁস, মুরগি পালন করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ক্রোধের কারণে প্রতিবেশীরা তাকে না জানিয়ে তাদের ধানের জমিতে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে ৯টি হাঁস তাদের জমিতে পানি খাওয়ার জন্য গেলে আকস্মিক বিষক্রিয়ায় সঙ্গে সঙ্গে ৫টি হাঁস মারা যায়। আরও ৪টি হাঁস মারা যাওয়ার উপক্রম হলে জবাই করে দেন ওই গৃহবধূ।  কবিরহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী নারী মৃত ৯টি হাঁস থানায় নিয়ে আসেন। ওসি সাহেব হাঁসগুলো দেখে মাটিতে পুঁতে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন। তাৎক্ষণিক একটি লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়