• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
আমতলীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ
বউয়ের অত্যাচারে চিরকুট লিখে স্কুলশিক্ষকের আত্মহত্যা
বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চিরকুট লিখে আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক স্কুলশিক্ষক। নিহতের নাম নজরুল ইসলাম। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু। নিহত নজরুল আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া এলাকার মো. খালেক খাঁনের ছেলে। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, দেড় বছর আগে নজরুল ইসলামের সঙ্গে আমতলীর হরিদ্রাবাড়িয়া এলাকার দুলাল ভূঁইয়ার মেয়ে খাদিজা বেগমের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে তাদের দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ লেগেই থাকত। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে শনিবার সকালে স্ত্রী খাদিজা বেগম তার বাবার বাড়ি চলে যান। কারণ হিসেবে তিনি তার ভাসুর ফেরদৌস খাঁনকে বলে যান রাতে তার স্বামী নজরুল তাকে মারধর করেছেন। ওই দিন শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশে একটি আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নজরুল ইসলামকে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে আমতলী থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম’ লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। নিহত শিক্ষক নজরুল ইসলামের বড় ভাই ফোরদৌস খাঁন বলেন, ‘স্ত্রীর অত্যাচারের কারণে আমার ভাই আত্মহত্যা করেছে, এমন একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানাই।’ এ বিষয়ে আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন, স্ত্রী আটক
‘মা তুমি ভালো থেকো, চিরদিনের জন্য চলে গেলাম’
বরগুনায় ব্রিজ দুর্ঘটনা, ২ তদন্ত কমিটি গঠন
‘আমার কিছুই রইল না, সব হারিয়ে আমি অসহায়’
‘মাইক্রোবাস নদীতে পড়ার পর চেষ্টা করেও দরজা খুলতে পারিনি’
বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ৯ বরযাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে তিন জনই একই পরিবারের এবং অন্য ছয় জন তাদের নিকটাত্মীয়। তাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামে। শনিবার (২২ জুন) দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া হাট ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস ও অটো খালে ডুবে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন মাদারীপুরের শিবচরের সাবেক সেনাসদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজও। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামি মুন্নি বেগম (৪০), তার সন্তান তাহিয়া (৭), তাসদিয়া (১১), আরেক মামি ফাতেমা বেগম (৪০), রুমি বেগম (৪০)। এ ছাড়া আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং মেয়ে রিদি (৫)। জানা গেছে, গত বুধবার (১৯ জুন) সকালে শিবচর থেকে মাহাবুব এবং তার পরিবারের সদস্যরা খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুক্রবার বরপক্ষ এসে বিয়ে করে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরে তারা মাইক্রোবাসযোগে বউভাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাহাবুব ও তার পরিবারের সদস্যদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি হলদিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ লোহার ব্রিজ পার হওয়ার সময় ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এতে ওই ৯ জন নিহত হন। মাইক্রোবাসে থাকা কনেপক্ষের স্বজন সোহেল মিয়া বলেন, ‘মাইক্রোবাসে আমরা কনেপক্ষের ১৬ জন যাত্রী বরের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। পথে হলদিয়া হাট সেতু পার হওয়ার সময় সেটি ভেঙে যায়। এতে  মাইক্রোবাস ও ইজিবাইকটি নদীতে পড়ে যায়। নদীতে পড়ে যাওয়ার পর আমরা বের হওয়ার চেষ্টা চালাই। কিন্তু দরজা খুলতে পারিনি। পরে মাইক্রোবাসের জানালার কাঁচ ভেঙে আমরা কয়েকজন অনেক কষ্টে বের হতে পারলেও বেশির ভাগই ভেতরে আটকা পড়ে।’ এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিরা বেঁচে আছেন। এখন আর কেউ নিখোঁজ নেই। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
নিহত ৯ বরযাত্রী, সেই সেতু সম্পর্কে যা জানা গেল
বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ৯ বরযাত্রী নিহত হয়েছেন। এ প্রাণহানীর ঘটনায় নির্মাণকারী ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার মানুষ। শনিবার (২২ জুন) দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া হাট ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস ও অটো খালে ডুবে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন মাদারীপুরের শিবচরের সাবেক সেনাসদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজও। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামি মুন্নি বেগম (৪০), তার সন্তান তাহিয়া (৭), তাসদিয়া (১১), আরেক মামি ফাতেমা বেগম (৪০), রুমি বেগম (৪০)। এ ছাড়া আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং মেয়ে রিদি (৫)। জানা গেছে, গত বুধবার (১৯ জুন) সকালে শিবচর থেকে মাহাবুব এবং তার পরিবারের সদস্যরা খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুক্রবার বরপক্ষ এসে বিয়ে করে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরে তারা মাইক্রোবাসযোগে বউভাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাহাবুব ও তার পরিবারের সদস্যদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি হলদিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ লোহার ব্রিজ পার হওয়ার সময় ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এতে ওই ৯ জন নিহত হন। এদিকে সেতু ভেঙে ৯ জনের প্রাণহানীর ঘটনায় নির্মাণকারী ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধার বিচার দাবিতে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে।  জানা গেছে, আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ২০০৮-০৯ অর্ধ বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত চাওড়া নদীর উপর হলদিয়া হাট এলাকায় আয়রণ সেতু নির্মাণের করা হয়। ওই ব্রীজের নির্মাণ কাজ পান তৎকালীন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদুল ইসলাম মৃধা। অভিযোগ রয়েছে ব্রীজ নির্মাণকালে ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা দায়সারা সেতু নির্মাণ করেছে। নির্মাণের পাঁচ বছরের মাথায় সেতুর মাঝের বিম ভেঙে যায়। পরে গত ১০ বছর ধরে ওই ভাঙা সেতু দিয়ে হলদিয়া ইউনিয়ন ও চাওড়াসহ উপজেলার অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষ চলাচল করে আসছে।  হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, ‘সেতু নির্মাণকালে ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা দায়সারা সেতু নির্মাণ করেছে। ফলে নির্মাণের অল্প দিনের মধ্যেই সেতুর মাখঝানের বিম ভেঙে গেছে। ওই ভাঙা সেতু দিয়ে অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষ চলাচল করতো। এই ভাঙা সেতু মেরামতের জন্য আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বহুবার জানিয়েছি কিন্তু তিনি আমলে নেয়নি। যার ফলে আজ ৯ জনের প্রাণ গেল। ঠিকাদার দায়সারা সেতু নির্মাণ করায় এবং উপজেলা প্রকৌশলী সংস্কার না করায় তাদের শাস্তি দাবি করছি।’ ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা বলেন, ‘আমি যথাযথ ভাবেই সেতু নির্মাণ করেছি। সেতু নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম করিনি।’ আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী  আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমতলীতে আমার যোগদানের আগে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কিছুই জানি না।’ বরগুনা জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। এ সেতু নির্মাণ যে ঠিকাদার অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বরগুনা-১ আসনের সাংসদ গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিক্ষুব্ধ মানুষকে শান্ত করেছি। সেতু নির্মাণে অনিয়মের কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে।’
ঘূর্ণিঝড় রেমাল / বরগুনায় বাঁধ ভেঙে ২৭ গ্রাম প্লাবিত
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির তোড়ে আমতলীর বালিয়াতলী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর প্রভাবে এরইমধ্যে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার ২৭ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুই উপজেলার ২৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে উপজেলা নির্বাহী অফিস। বন্ধ রয়েছে আমতলী-বরগুনা রুটের ফেরি চলাচল। রোববার (২৬ মে) স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।  আমতলীর আরপাঙ্গাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেলী পরভীন মালা বলেন, ‘পায়রা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পশুর বুনিয়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৩০০ ফুট ভেঙে গেছে। এর ফলে বালিয়াতলী ও পশুরবুনিয়া গ্রাম ২-৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে বোরো ধানের খেত।’  তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে এ বাঁধ ভেঙে গেছে।’ পশুরবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘পাউবো কর্মকর্তা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি করেছেন। তারা দায়সারাভাবে বাঁধ নির্মাণ করেছেন।’ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হিমেল বলেন, ‘আমতলীর পশুরবুনিয়া বাঁধ দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তালতলী উপজেলার তেতুর বাড়িয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ৩ থেকে ৪ জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে সেখানের কয়েক শ’ পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’ জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে আমতলীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের আরপাঙ্গাশিয়া, তারিকাটা, লোছা, বৈঠাকাটা, বাসুগি, নয়াভাঙ্গলী, ফেরিঘাট, খাদ্যগুদাম সংলগ্ন চর, ওয়াপদা চর, পশ্চিম ঘটখালী, আংগুলকাটা, গুলিশাখালীর জেলেপাড়া তলিয়ে গেছে। তালতলী উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের মরানিদ্রা, আগাপাড়া, মেনিপাড়া, গোড়াপাড়া, অংকুজানপাড়া, মোয়াপাড়া, নামিশেপাড়া, ছোবাহাপাড়া, খোট্টারচর, জয়ালভাঙ্গা, আশারচর, তেতুল বআড়িয়া, জয়ালভাঙ্গা, সকিনা, আমখোলা গ্রামও প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি মাপক মো. আবুল কালাম বলেন, ‘রেমাল’-এর প্রভাবে পায়রা নদীতে আজ সকাল থেকে ৪-৫ ফুট বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর প্রভাবে তেতুল বাড়িয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শনিবার বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া ‘রেমাল’ মোকাবিলায় উপজেলায় ৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘যেখানে বাঁধ ভেঙে গেছে সেখানে জিওব্যাগ ফেলার জন্য পাউবো এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার ২২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আমতলী-বরগুনা রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’
মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে হাফেজ নিহত 
বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া গ্রামে বজ্রপাতে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) রাত পৌনে ৮টার সময় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান তিনি। আব্দুল্লাহ ওই গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে।  জানা গেছে, আব্দুল্লাহ মাছ ধরার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের বিলে যান। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে  তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।  খবর পেয়ে স্বজনরা তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।  নিহত আব্দুল্লাহর শিক্ষক এরশাদ উল উলুম মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মো. ফয়জুল্লাহ জানান, হাফেজ আব্দুল্লাহ তার মাদরাসা থেকেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কোরআনে হাফেজ হয়। 
নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১ : বরগুনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কারাগারে ৫
বরগুনার আমতলীতে চাঞ্চল্যকর হিরন গাজী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৬৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাছলিমা বেগম।  মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের আগে হিরন জানতে পারেন নয়ন মৃধা তার সমর্থকদের নিয়ে পূর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট কেনার জন্য টাকা বিতরণ করছেন। এই তথ্য জানার পরে তাদের বাধা দিতে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হিরন বের হন। তার সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১২ জন গিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষের লোকজন হিরনকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।   শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাছলিমা বেগম বাদী হয়ে অটোরিকশা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধাসহ আরও ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বৃহস্পতিবার রাতে মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার নয়ন মৃধা, সন্দেহভাজন সোহাগ প্যাদা, মাহবুব, গোলাম কিবরিয়া ও মেহেদি নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, ‘মোর স্বামীরে আবুল বাশার নয়ন মৃধা তার ভাই এ জেড এম ছালেহ পান্নু মৃধা ও আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে খুন করা হয়েছে। আমি এই খুনের কঠিন বিচার চাই।’ আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, হিরন গাজী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় প্রধান আসামি আবুল বাশার নয়ন মৃধাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, আগামী ২৮ এপ্রিল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 
বরগুনায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১, আটক ৩
বরগুনার আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী সহিংসতায় ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় হিরন গাজী (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে জিজ্ঞাসাবাদের আটক করা হয়েছে ৩ জনকে। বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের পূর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে হিরন গাজী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দীন মৃধার সমর্থক ছিলেন।   নিহত হিরন গাজীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে মামলা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। আমতলী থানা পুলিশ রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য হিরন গাজীর মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।   এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার মৃধা বলেন, বুধবার রাতে আমার কর্মীরা পূর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে গণসংযোগ করার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী নয়ন মৃধার নেতৃত্বে পান্নু মৃধা, সোহাগ প্যাদাসহ ৭-৮ জন আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ছুরিকাঘাতে হিরন গাজী নামের আমার এক কর্মী নিহত হন। আমি হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।    আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় বুধবার রাতে হিরন গাজী নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাতেই লাশ উদ্ধার করে আজ সকালে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। হিরন গাজী এলাকায় একজন চিহ্নিত অপরাধী ছিলেন।